কান্দু দাদু বলছিল সেই
বৃষ্টিভেজা একরাতে
গাত্রখানি পুড়ছিল তার
ভীষণ নাকি খরতাপে।
ডাইনে ঘুরে বামে ঘুরে
কান্দে থেকে ডাক ছেড়ে
অগ্নিজ্বরে পুড়ছে শরীর
ফোস্কা বুঝি যায় পড়ে।
বৃষ্টি ভিজে আমরা কিসে
শান্তি খুঁজি বুক জুড়ে
কান্দু দাদুর জ্বালায় মনে
আগুন ধরে ধপ করে।
চুবিয়ে তাকে খালের জলে
ঠাণ্ডা করি ঘাড় ধরে
ঢুকলে পেটে বিলের পানি
কান্দু বটে হাঁপ ছাড়ে।
এই তো তারই বছর বাদে
আগুন ঝরা চৈত মাসে
দুপুর রোদে মরছি পুড়ে
কান্দু হাসে, আর হাসে।
হচ্ছেটা কী, আমরা শুধাই
ভাঙা গলায় হ্যাঁসফেসে
কান্দু যদি পাগল হলো
এগিয়ে আর কাজ কিসে?
কুটুম-বাড়ি যাবার থেকে
জরুরী কাজ সবচেয়ে
কান্দুটাকে পাঁজায় করে
বদ্যিবাড়ি চল নিয়ে।
বৃষ্টি ঝরে বৃষ্টি ঝরে
ও হে আমার বুক জুড়ে
শ্যামল সুধা পান করেছি,
কান্দু বলে হাঁক ছেড়ে।
কিসের সুধা কেমন সুধা
বলতো দাদু মন খুলে
আমরা পুড়ি অথচ তুমি
ভিজছো যাদু কোন বলে?
বৃষ্টিতে গা ফোস্কা পড়ে
অগ্নিতেও বুক জুড়ে
টের পেয়েছি একটুকু তা
কান্দু দাদুর হাত ধরে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।