Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience
১
বাবা, মোরগ কেন ডাকে ? - শিশু পুত্রের সরল জিজ্ঞাসা ।
-কেউ মিথ্যা কথা বললেই মোরগ ডেকে ওঠে, রাশিয়ান পিতা উত্তরের ছলে নীতিশিক্ষা দেবার চেষ্টা করেন ।
- তাহলে খুব ভোরে সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন এক সঙ্গে এত মোরগ ডাকে কেন ?
- কারন তখন প্রাভদা, ইজভেস্তিয়া (কমিউনিষ্ট নিয়ন্ত্রিত রাশিয়ান দৈনিক) ছাপা হয় !
২
মেলার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া রুশ বালককে আশ্বস্ত করে মিলিশিয়া বলছে,
- চিন্তা কোরো না, তোমার হারিয়ে যাওয়ার খবর আমরা রেডিও-র মাধ্যমে প্রচার করব । তোমার বাবা-মা সেই খবর শুনে তোমাকে এসে নিয়ে যাবেন ।
- তাহলে প্রচারটা বিবিসির মাধ্যমেই করবেন, রুশ বালকের তাৎনিক জবাব, আমার বাবা-মা বিবিসি ছাড়া অন্য কিছু শোনে না ।
৩
প্রশ্ন : সোভিয়েত দেশে মাংসের এত আকাল কেন ?
উত্তর : ভেড়াগুলো মেতে আছে বিজ্ঞান নিয়ে, গাভীগুলো জেনারেলদের স্ত্রী হয়ে বসে আছে, পার্টি আর সরকারের বড় বড় পদগুলো দখল করে রেখেছে শুয়োররা, আর এসব দেখে মুরগি গুলো হাসতে হাসতে মরে গেছে ।
৪
পোস্টারের দোকানে সোভিয়েত ক্রেতার প্রশ্ন :
- পলিটব্যুরোর সদস্যদের পোস্টার আছে ?
- আছে এই দেখুন । ( বিক্রেতা কয়েকটি ছবি বের করে দেখায় । )
- না এগুলো চলবে না ।
- তবে এটা দেখুন ।
(কফিনে শায়িত লেনিনের ছবি দেখায় এবার ) এটা চলবে ?
- ঠিক এটা নয়, তবে পলিটব্যুরোর সবার এরকম ছবি দিতে পারবেন ?
৫
সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং চলছে । কমরেড পপস্কি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, কমরেড স্তালিন আমি মাত্র তিনটি প্রশ্ন করতে চাই । যদি আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশ হয়ে থাকি, তাহলে আমাদের মোটর গাড়ি কলকারখানার কি হল ? যদি আমরা কৃষিতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ হয়ে থাকি, তাহলে আমাদের দৈনন্দিন রুটির কি হল ? যদি আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পশুপালক দেশ হয়ে থাকি, তাহলে আমাদের রোজকার মাংসের কি হল ?
কমরেড স্তালিন রুষ্ট্র চোখে তাকালেন কমরেড পপস্কির দিকে । যেন তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না এমন সব প্রশ্ন শুনতে হবে । তারপর তিনি বললেন ইতিমধ্যেই আমরা যথেষ্ট দেরি করে ফেলেছি ।
আজ আর এইসব প্রশ্নের জবাব দেবার মত অবকাশ নেই । পরবর্তী বৈঠকে আমি এইসব প্রশ্নের যথোচিত জবাব দেব ।
পরের সপ্তাহে মিটিং শুরু হল । পার্টির এক সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আমার শুধু একটাই প্রশ্ন আছে,
-কমরেড পপস্কির কি হল ?
৬
গ্রাম থেকে এক বুড়ি এসেছেন ওয়ারশতে বেড়াতে । শহরের মাঝখানে স্তালিনের মূর্তি দেখে তিনি জানতে চাইলেন মূর্তিটা কার ।
এক সদ্য বিপ্লবী তাঁকে ব্যাখ্যা করে বললেন
- এটা মহান স্তালিনের মূর্তি । নাৎসি বাহিনীর হাত থেকে তিনিই আমাদের মুক্ত করেছেন।
- ঈশ্বর তাঁকে দীর্ঘজীবী করুক । বুড়ি বললেন, কমিউনিস্টদের হাত থেকেও যদি তিনি আমাদের মুক্ত করতেন !
৭
স্তালিনের চুরুট গেছে হারিয়ে । ঘটনা ঘটেছে সকালবেলায় ।
সন্ধ্যের মধ্যেই মিলিশিয়া গ্রেপ্তার করছে শ-খানেক লোককে । ইতিমধ্যেই ক্রেমলিনের ঝাড়ুদার চুরুট খুঁজে পেয়েছে ডিভানের তলায় এবং স্তালিনের হাতে সেটা তুলেও দিয়েছে । স্তালিন তখন ফোন করলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকে
- আর কষ্ট করতে হবে না । চুরুট খুঁজে পাওয়া গেছে ।
- কিন্তু স্যার আমরা কি করি এখন ? যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই স্বীকার করেছে যে তারাই চুরুট চুরি করেছে ।
- কী ? এখনও একজন স্বীকার করে নি ? তবে চালিয়ে যান তদন্ত !
৮
স্থান : পেত্রোগ্রাদ । কাল : ১৯১৭ সাল । পাত্র-পাত্রী : এক দঙ্গল বিপ্লবী ও সাধারন নাগরিক ।
রাস্তাঘাটে বিপুল হইচই শুনে এক বৃদ্ধ তাঁর দাসীকে পাঠালেন ব্যাপার কি জেনে আসতে । সে ফিরে এসে খবর দিল বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে !
- বিপ্লব, আহা কি দারুন ব্যাপার ! আমার বাবাও বিপ্লবী ছিলেন ।
কী ভালোই না লাগছে শুনতে । তা, এই বিপ্লবীরা কি চাইছে ?
- চাইছে দেশে যেন কোন ধনী না থাকে ।
- আর আমার বাবা চাইতেন, দেশে যেন কোন গরীব না থাকে ।
৯
সফল বিপ্লবের পর বাড়ি ফিরে এসে বলশেভিক বলছে তার মা কে ,
- এখন সব পাওয়া যাবে দোকানপাটে । খাবার দাবার কাপড় চোপড়, যা চাও ।
বিদেশেও যেতে দেবে এখন থেকে ।
- ঠিক জারের আমলে যেমন ছিল তাই না ? খুশিতে ডগমগ হয়ে মা বললেন ।
১০
আমেরিকায় গেছে সোভিয়েত দেশের শ্রমিকদের একদল প্রতিনিধি ।
উদ্দেশ্য, মোটরগাড়ি কারখানা পরিদর্শন করা, সেখানকার ওয়ার্ক কালচারের হাল হকিকত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া । মার্কিন গাইডকে প্রশ্ন করলেন এক শ্রমিক :
- এই কারখানার মালিক কে ?
- ফোর্ড
- আর এই কারখানার সামনে পার্ক করা অতগুলো দামী গাড়ি কার ?
- কারখানার শ্রমিকদের ।
এবার আমেরিকার শ্রমিক প্রতিনিধিদল ফিরতি সফরে গিয়েছে সোভিয়েত দেশের গাড়ি তৈরির কারখানা দেখতে । রুশ গাইডকে এক কারখানার শ্রমিকের প্রশ্ন :
- এই কারখানার মালিক কে ?
- কারখানার শ্রমিকরা ।
- আর কারখানার সামনে দাঁড় করানো ওই দামী গাড়িটা কার ?
- কারখানার ডিরেক্টরের ।
১১
কারখানার কাজে যেতে দেরী হয়ে গিয়েছিল । আর দেরী হলেই শাস্তি ।
তাই রুশ শ্রমিক বাসা থেকে স্রেফ দৌড় লাগালো কারখানার দিকে । প্যান্ট পরার সময় পায়নি সে । প্যান্টটা হাতে নিয়েই দৌড়চ্ছে সে । তবু তার দেরি হয়ে গেল কারখানায় পৌছতে । কারন পথে বহু মানুষ তাকে অসংখ্যবার থামিয়েছে, জানতে চেয়েছে প্যান্টটা কোথা থেকে কিনেছে, কত দাম, সে ওটা বিক্রি করবে কিনা ইত্যাদি ।
১২
স্তালিন বক্তৃতা দিচ্ছেন শ্রমিকদের সামনে :
- আপনাদের মঙ্গলের জন্য আমি আমার শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত ।
উপস্থিত শ্রোতা শ্রমিকদের কাছ থেকে একটা চিরকুট এসে পৌছল তাঁর হাতে ।
তাতে লেখা :
- তাহলে আর দেরি করছেন কেন, কমরেড ?
( কমন পড়লে নিজগুনে মা করে দিয়েন পিলিজ )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।