আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণিকাবৃত্তি ( যৌনকর্মী ) পেশা ভোটার নিবন্ধন ফরমে না রাখার সিদ্ধান্ত

---- পূর্বানুমতি ছাড়া এ ব্লগের কোন লেখা সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি, এডিট করে কপি , পূনর্মুদ্রণ নিষিদ্ধ ----

মঈনুল হক চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ঢাকা, অগাস্ট ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-যৌনকর্মী পরিচয় ছবিসহ ভোটার তালিকার কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারে (সেন্ট্রাল ডাটাবেজ) রাখার প্রস্তাব নাকচ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ পেশাকে সামাজিকভাবে নিরুৎসাহিত করতেই ভোটার নিবন্ধন ফরমে পেশা নির্দেশিকায় ' গণিকাবৃত্তি' না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন। ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ণের সময় নিবন্ধন ফরমে ১৪টি পেশার নাম (সরকারি চাকরি, বেসরকারি চাকরি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যাংকার, ব্যবসা, শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র/ছাত্রী, গৃহিনী, দিনমজুর, বেকার) উল্লেখ ছিল। এর বাইরে কেউ পেশার ঘরে তথ্য দিতে চাইলে 'অন্যান্য' ঘরটি ব্যবহার করা হতো। নিবন্ধন ফরমে অন্তর্ভূক্তির জন্য 'গণিকাবৃত্তি'সহ ৩০টি নতুন পেশার তালিকা স�প্রতি ইসির কাছে প্রস্তাব আকারে জমা দেয় ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রকল্প।

'গণিকাবৃত্তি' ছাড়া বাকিগুলো অনুমোদন করা হয়। ছহুল হোসাইন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "নিবন্ধন ফরমে পেশাটি রাখার পর গণিকাবৃত্তিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মনে হতে পারে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সামাজিকভাবে নিরুৎসাহিত করতেই প্রস্তাবনাটি নাকচ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এই পেশার যে কেউ 'অন্যান্য' অপশনটি ব্যবহার করবেন। " এই নির্বাচন কমিশনার জানান, যদিও ইসি কোনো পেশার স্বীকৃতি দেয় না; নির্বাচন কমিশনের ভোটার নিবন্ধন ফরমের পেশার ঘরে ' গণিকাবৃত্তির্ ' রাখা হলে তা পেশার স্বীকৃতির মতো মনে হয়।

কিন্তু সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে এই পেশাকে নিরুৎসাহিত করা হয়। এ নিয়ে কয়েকজন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন উল্লেখ করে ছহুল হোসাইন বলেন, "জেলা প্রশাসন যৌনকর্মীদের কোনো লাইসেন্স দেয় না। অনেকে গণিকাবৃত্তির জন্য নোটারি করে কার্যক্রম চালায়। " আরও যেসব পেশার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে-ধোপা, কামার, কুমার, জেলে, মিস্ত্রী, প্রহরী, তাঁতি, পরিচ্ছন্ন কর্মী, মাঝি, কুলি, মুচি, বাবুর্চি, শিল্পী, হকার, রিক্সা/ভ্যান চালক, নাপিত, দর্জি, বিচারক, ঠিকাদার, ড্রাইভার, নার্স, সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবী, অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি চাকুরিজীবী, ইমাম/পুরোহিত/পাদ্রী, গৃহকর্মী, হেকিম/কবিরাজ, কসাই এবং মালি। পেশা ছাড়া নিবন্ধন ফরমে ভোটারের জন্য আরো ২৭টি তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো পেশার নাম তো উল্লেখ থাকে না। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটের) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক এস এম লুৎফুল কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে জানান, কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারে ভোটারের যত বেশি তথ্য সংগ্রহে রাখা যায় ততই তা কাজে আসবে। তথ্যভাণ্ডারের বহুমুখী ব্যবহারও নিশ্চিত করা যাবে। যেমন কয়জন প্রতিবন্ধী রয়েছে, কী ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে-তাও তথ্য ভাণ্ডারে থাকছে। প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির প্রকল্পের শুরুর দিকটায় পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন লুৎফুর কবীর।

'ইসির তথ্য সংগ্রহ মানেই পেশাগত স্বীকৃতি নয়। জাতীয় পরিচয়পত্রে পেশার নাম না থাকায় এতে করে কোনো কিছু যায়-আসেও না। তবে কখনো কখনো পরিসংখ্যান জানতেই এই তথ্যভাণ্ডার ভূমিকা রাখতে পারে। কোন পেশায় কয়জন ভোটার রয়েছে- তা সহজেই জানা যাবে। "বলেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এসএএ/১৯৩১ ঘ.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।