চরম অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজমান দেশে। সংবিধান, আদালত পাড়া, বাজার, বিপনি কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ তাবৎ ক্ষেত্রে নৈরাজ্য প্রকট আকার ধারণ করছে। বিদেশী শক্তির প্রভাব এবং দেশের মাথা মোটাদের যৌথ উন্মাদ নৃত্য চলছে। খুব সাধারন বোধগম্য হলো বিদেশি প্রভাব থাকবে, কিন্তু তাকে কাটানোর চেষ্টা থাকতে হবে। সাধারন জনগণ এক্ষেত্রে সরাসরি জড়াতে পারে না ।
প্রথম ধাপে থাকে রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে জড়িত দন্ডমুন্ডেরা। রাষ্ট্রের 'সরকার' এবং 'আমলা' গং এ ক্ষেত্রে মৌলিক অবস্থানে থাকে। ব্যুউপনিবেশিক রাষ্ট্রে এ দুটিই কলুষিত থাকে।
তবে সরকারের মাঝে বিশেষ করে নেতৃত্ব স্থানীয়দের মধ্যে দেশ প্রেমিক থাকলে এসমস্যা কাটানোর বড় একটি নোক্তা যোগ হয়। 'আমলা' কে ধ্বংস করার জন্য এটি কাজ দেয়।
'আমলা' নিজে কখনো পরিশুদ্ধ হতে পারে না।
বাংলাদেশে ২টি সমস্যাই সমান তালে বিরাজমান। এখানে খোদ সরকার বা রাষ্ট্রের কর্তারাই এ দু'প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য বা সম্পর্ক বোঝেন কিনা বা মানেন কি না এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। অবশ্য যারা আরেকটু পেছনে তাকাতে চান, তথা এদেশের জন্ম থেকে শুরু করতে চান
তাহলে সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বৈ কি। স্বাধীন দেশের 'সংবিধান' আদৌ 'সংবিধান' হয়ে উঠার মতো পর্যায় অতিক্রম করেছে কি না তা বোঝা জরুরী।
তারপর আসে আদালতের, আইনের প্রশ্ন, জনগণের মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে। প্রাথমিক সমস্যা চিহ্ণিত এবং সমাধান না করায় আমাদের অবস্থা হিরক রাজার দেশের মতো। এখনো আমরা জানিনা ঠিক কোনটা আমাদের মৌলিক অধিকার। কারণ সাংবিধানিক অধিকার এক জিনিস, আর মানব সত্তা হিসেবে আরেক জিনিস। ব্যুউপনিবেশিক মননে গড়ে উঠা বিচার বিভাগ তাই বোঝে না মানুষ আর সংবিধান এর মাঝে আন্ত:সম্পর্কের বিষয় বস্তু।
এগুলোতে যেহেতু এত লেজে গোবরে অবস্থা সেখানে আপনি আমি যতই দেশ প্রেম বা মানব প্রেমের বুলি আওড়াই অস্থিরতা এখানে বাড়বেই, সাধারণ মানুষ নিগৃহিত হবেই। সে ফুটন্ত কড়াই থেকে জলন্ত আগুনে লাফ দেয়ার সময় শুধু মুক্তি স্বপ্ন দেখবে কিন্তু বাস্তবে
জলাই তার নিয়তি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।