আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিউইয়র্কেও ছারপোকা!



যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ছারপোকার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। অ্যাসিউর্ড এনভায়রনমেন্ট নামের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ কোম্পানির হিসাব মতে জুন পর্যন্ত গত বারো মাসে এ উপদ্রব পাঁচগুণ বেড়েছে। এ বছর নিউইয়র্কের সিনেমা হলগুলো, মেয়েদের অন্তর্বাস রাখার গুদামঘর-ভিক্টোরিয়াস সেকরেট এবং অ্যাবারক্রমবি এন্ড ফিচ নামে খুচরা কাপড় বিক্রয়ের দোকান ছারপোকার দৌরাত্ম্যের কথা জানিয়েছে। এই ক্ষুদ্র প্রাণীগুলো দুটি তীক্ষ্ণ ছোট শূল মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে রক্ত পান করে। রক্তপানের পর যখন এরা শূলটি বের করে নেয় তখন স্থানটি প্রচণ্ড চুলকায় ও ফুলে উঠে।

এরা দেয়ালের ফাটল, কাপড়-চোপড় এমন কি কম্পিউটার কেসিং-এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে। কোন খাবার ছাড়াই এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে বলে এদের সম্পূর্ণ মূলোৎপাটন করা খুবই কঠিন। এদিকে, নিউইয়র্কের অন্যান্য ভবনের মতো এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়েও ছারপোকার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে বলে ভবন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। ভবনটির নিচতলায় ইউনিফর্ম রাখার গুদামঘরে এ কীট বাসা বেঁধেছে। অবশ্য ইতিমধ্যে গুদামঘরটি ও এর আশপাশের অঞ্চল পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে।

তবে এটা পরিষ্কার নয় যে, নিউইয়র্ক শহরে হঠাৎ করে এমন ছারপোকার বিস্তার কি করে ঘটল। যদিও অনেকে মনে করছেন বহু আন্তর্জাতিক ট্রাভেল এ শহর হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি হতে পারে। অ্যাসিউর্ড এনভায়রনমেন্ট-এর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ব্যারি ব্যাক বলেন, ল্যাপটপ ব্যাগ, ব্রিফকেস, স্যুটকেস সবখানে এ পোকার দৌরাত্ম্য। লোকজন দেখামাত্র আঁতকে উঠছে। নগর প্রশাসন ছারপোকা দমনে ৫ লাখ ডলার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

কিন্তু টাকা দিয়ে তো শুধু সমস্যার সমাধান হবে না। লোকজন বলছে, ছারপোকার ক্রমবর্ধমান উপদ্রব আমাদের জন্য যে লজ্জা বয়ে আনছে তার ক্ষতিপূরণ হবে কি দিয়ে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তাদের সহকর্মী, ক্লায়েন্ট এমনকি বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনরা পর্যন্ত ছারপোকা আক্রান্তদের বাড়িতে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে। সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হল ছারপোকা উপদ্রুত বাসা বা ভবনে বসবাসকারী কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে যেতেও চরম আপত্তি অনেকের। ব্রুকলিনে বসবাসকারী জেরেমি স্প্যারিগ বলেন, অতি পরিচিত বন্ধু হলেও আপনাকে জড়িয়ে ধরতে চাইবে না; এমনকি যোগাযোগের জন্য যতোটা কাছাকাছি আসা দরকার তা করতেও ভয় পাচ্ছে লোকজন, যেন আপনি একজন কুষ্ঠ রোগী।

(শীর্ষ নিউজ )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.