জীবন এর গল্প অােছ বািক অল্প
মকাল প্রতিবেদক
রাজধানীতে যানজট নিরসনে সরকারের নেওয়া উড়াল সড়ক প্রকল্পের রূপরেখা অনুমোদন করা হয়েছে। এ রূপরেখা অনুযায়ী উড়াল সড়ক হবে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালীর সামনে) পর্যন্ত। ২০১১ সালের প্রথমদিকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ রূপরেখা অনুমোদন করা হয়।
উড়াল সড়কটি হবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে কুড়িল-বনানী, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মগবাজার রেলক্রসিং-খিলগাঁও-কমলাপুর-গোলাপবাগ হয়ে কুতুবখালীর আগ পর্যন্ত। পরে তা ঢাকার বাইরে বাইপাস সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। রাজধানীর কুড়িল, মহাখালী, মানিক মিয়া এভিনিউ, পলাশী ও মগবাজারে এর বাইলেন নামবে। পরে সড়কটি কাঁচপুর ও নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
উড়াল সড়কটি সাধারণত রেল লাইনের পাশ দিয়ে যাওয়ায় বেসরকারি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। সরকারি জায়গাতেই এই সড়ক হবে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়ও কম লাগবে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা শহরে বিদ্যমান যানজট ও ট্রাফিক
ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ। যানজট থেকে উত্তরণে তিনি নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণের জন্য বলেছেন।
এর মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প একটি। প্রকল্পটি পিপিপির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।
জধানীর যানজট নিরসনে গত বছরে উড়াল সড়ক প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটি তৎকালীন বাংলাদেশ বিনিয়োগ নির্দেশিকা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য গত বছরের ১৭ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
চলতি বছরের ৪ মার্চ নয়টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সমীক্ষা যাচাই প্রস্তাব পাওয়া যায়। পরে এ আবেদন মূল্যায়ন করে সুপারিশের জন্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়। কমিটি চারটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে এ কাজের জন্য নির্বাচিত করে। এগুলো হলো_ ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (থাইল্যান্ড), সিকদার রিয়েল এস্টেট- কেসিসি জেভি (বাংলাদেশ-কোরিয়া), গ্যামন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট লিমিটেড-বায়োগ্যাস ট্রাভঙ্ক পাবলিকস এসএ কনসোর্টিয়াম (ইন্ডিয়া-ফ্রান্স), চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (চায়না)। আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাক্যোগ্য ৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রস্তাব চাওয়া হবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হবে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।