ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস জানায়, ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ম্যানহ্যাটানের অ্যাপার্টমেন্টের বাথরুমে হফম্যানের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ওই সময় তার হাতে একটি সিরিঞ্জ বিদ্ধ ছিল বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা।
এরই মধ্যে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। আর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তার মৃত্যুর মূল কারণ বের করার চেষ্ট করছেন।
এক সূত্রে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, হফম্যানের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীরা হেরোইন খুঁজে পেয়েছেন।
কিছুদিন আগে ৪৬ বছর বয়সী হফম্যান টিএমজিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, ২৩ বছর তিনি মাদক থেকে দূরে ছিলেন কিন্তু বছর খানেক আগে থেকে তিনি মাদক সেবন শুরু করেন। ওইসময় হেরোইনও গ্রহণ করতেন তিনি।
দি ওয়াল স্টিট জার্নাল জানায়, চিত্রনাট্যকার ডেভিড ক্যাটজ সবার আগে হফম্যানের মৃতদেহ দেখতে পান। তিনিই পুলিশকে দুপুরে খবর দেন।
২০০৬ সালে ‘কাপোটি’ সিনেমায় আমেরিকান কথাসাহিত্যিক ট্রুম্যান কাপোটির ভুমিকায় অভিনয় করে সেবছরের সেরা অভিনেতার অস্কার জয় করেন হফম্যান। পরবর্তীতে, ২০০৭ সালে ‘চার্লি উইলসনস ওয়ার’, ২০০৮ সালে ‘ডাউট’ এবং ২০১২ সালে ‘দ্য মাস্টার’ সিনেমার সুবাদে হফম্যান অর্জন করেন চারটি অস্কার মনোনয়ন ।
স্কুলজীবন থেকেই মঞ্চ নাটকের সঙ্গে সংযুক্ত হফম্যানকে ধরা হয় ব্রডওয়ের প্রভাবশালী শিল্পীদের একজন হিসেবে। মঞ্চে নিয়মিত অভিনয়ের পাশাপাশি টিভিনাটক এবং সিনেমায় তিনি অভিনয় শুরু করেন নব্বই এর দশকের শুরু থেকেই। ২৬ বছরের অভিনয় জীবনে অস্কার ছাড়াও তিনি অর্জন করেছেন বাফটা, এমি, টনি অ্যাওয়ার্ডসের মতো সম্মানজনক পুরষ্কার।
তার আলোচিত সিনেমার দীর্ঘ তালিকার মধ্যে আরও রয়েছে ‘বুগি নাইটস’, ‘সেন্ট অফ আ ওম্যান’, ‘রেড ড্রাগন’ এবং ‘মানিবল’। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে ২০১৩ সালের সিনেমা ‘হাঙ্গার গেইমস’ সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তি ‘দ্য হ্যাঙ্গার গেইমস: ক্যাচিং ফায়ার’-এ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।