এখনো গেলনা আঁধার...............
বৃহস্পতি থেকে শনি। টানা তিনদিনের আত্মগোপন শেষে গেল রোববার ঢাকায় ফিরেছেন সদ্য বিবাহিত তারকা দম্পতি অপূর্ব-প্রভা। মাঝখানে তিনদিন নানা গুজব-গুঞ্জন আর উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়ে অপূর্ব এখন আত্মপক্ষ সমর্থন করার চেষ্টা করছেন বেশ ঠাণ্ডা মাথায়, ভেবেচিন্তে। অন্যদিকে অপূর্বকে সঙ্গে নিয়ে প্রভা ঢাকা ফিরলেও এখনও মুখ খোলেননি।
রোববার ঢাকায় ফিরে দু’জনে উঠেছেন উত্তরার এক অনাত্মীয়ের বাসায়।
যতদূর জানা গেছে, দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতার সর্বোচ্চ কূটনৈতিক আলাপ শুরু হয়েছে রোববার থেকেই। এরই মধ্যে অপূর্ব তার নববধূকে নিয়ে নিজ বাসা থেকে ঘুরে এসেছেন। দোয়া নিয়ে এসেছেন মায়ের কাছ থেকে। কী বললেন মা? অপূর্বের কণ্ঠে সাদামাটা জবাব। লাইন টু লাইন নাটকের ডায়ালগের মতো বললেন, বাবা-মা বললেন, যা হওয়ার হয়েছে।
সব চুলোয় যাক। সত্যি করে বলো তোমরা হ্যাপিতো? তোমরা যদি সুখে থাকো, সে সুখটা আমাদেরও। এদিকে নিজেদের এমন অনভিপ্রেত ঘটনার কথা স্বীকার করে অনুকম্পা প্রকাশেও দ্বিধা করেননি অপূর্ব। বললেন, এটাতো স্বাভাবিক- কারোর মা-বাবাই এমনটা আশা করেন না। সে জন্য উনাদের চলমান অভিমান একদম স্বাভাবিক।
এই অভিমানের আঁচটুকু নিতে আমার একটুও কষ্ট হচ্ছে না। আসলে কি বলবো, আমরা জানতাম না বিষয়টি এমন হয়ে যাবে। আবার এমন হওয়ার পেছনে যে বড়সড় কোন কারণ রয়েছে সেটাও না। অপূর্ব দাবি করছেন, তাদের এই হঠাৎ বিয়ে একরকম দুর্ঘটনার মতো মনে হলেও, এর পেছনে রয়েছে টানা এক বছর তিন মাসের আত্মিক সম্পর্ক। এমন অভিমতের বিপরীতে অপূর্বর প্রতি জিজ্ঞাসা ছিল, আপনার সঙ্গে প্রভার এক বছর তিন মাসের সম্পর্ক।
ভালো কথা। অন্যদিকে প্রভার সঙ্গে রাজীবেরও তো প্রায় আট বছরের বন্ধুত্ব-প্রেম। সর্বশেষ এনগেজমেন্ট। প্রেমিক হিসেবে পাল্লাটা কিন্তু রাজীবের দিকেই ভারি। তাই নয় কি? এবার একটু থামলেন ঠাণ্ডা মাথার অপূর্ব।
বললেন, আমি মানছি আপনার কথা। আমি আসলে চাই না অতীত নিয়ে কোন মন্তব্যে যেতে। আবার না গিয়েও পারছি না। তাতে করে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়-হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একটু জিরিয়ে অপূর্ব ফের জবাবে ফেরেন।
বলেন- প্রভার বয়স কত? মাত্র ২৩। এ বয়সে ও কতটা টেকেল দিতে পারবে সেটাও একটু বিবেচনার বিষয় আছে। ও চায়নি এনগেজমেন্ট হোক। ও চেয়েছে ধুমধাম করে ঐ এনগেজমেন্টের অনেক আগেই আমাদের বিয়েটা হোক। কিন্তু আমি পারিনি।
এর জন্য দায়টা আমার উপরেই বর্তায়। ঐ সময় কিছু করার ছিল না আমার। একটা ছেলের বিয়ে করতে হলে মিনিমাম কিছু প্রস্তুতি থাকা লাগে। আমার সেটা ছিল না। তাছাড়া, আমার প্রত্যাশা ছিল সবকিছু সুন্দরভাবে করবো।
সবাইকে ডেকে, সবার সম্মতি নিয়ে, সবার উপস্থিতিতে বিয়েটা করবো। আমি তৈরি ছিলাম না বলেই প্রভা ঐ ঘটনার শিকার হয়। অপূর্ব আরও বলেন, আজ আমি এটাও বলে রাখি- প্রভার সঙ্গে আমার বিয়েটা না হলে হয়তো অন্য কারো সঙ্গে হতো। তবুও ঐ ছেলেকে বিয়ে করতো না প্রভা। এদিকে রোববার ঢাকায় ফিরে গতকাল থেকে অপূর্ব শুটিং শুরু করেছেন।
গতকাল ছিলেন ‘গুলশান এভিনিউ’র সেটে। অন্যদিকে প্রভারও দু’একদিনের মধ্যে শুটিং শুরু করার কথা জানিয়েছেন অপূর্ব। পারিবারিকভাবে মেনে নিয়ে কবে নাগাদ বিবাহোত্তর সংবর্ধনা দেয়া হবে- এমন প্রশ্নে অপূর্ব বলেন, সব হবে। পাত্র হিসেবে আমিতো ভাই একেবারে ফেলে দেয়ার মতো ছেলে না। আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডও খারাপ নয়।
এখানে মেনে না নেয়ার কোন কারণ নেই। তবে একটু সময় লাগবে। বললামইতো, সবার মধ্যেই একটা অভিমান কাজ করছে এখন। আরেকটি কথা। অনেকেই বলছেন আমরা বিয়ের পর হানিমুনে কক্সবাজার গিয়েছি।
না যাইনি। মধুচন্দ্রিমাটা এখন আগুনে ঝলসানো রুটি হয়ে আছে! আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
মানবজমিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।