আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুরে এলাকাম কাতার



ঘুরে এলাকাম কাতার মনোরম ও পরি”ছন্ন শহর দোহা মিজান রহমান আরব সাগরের তীরে কাতার অব¯ি’ত। কাতারের রাজধানী দোহা, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম কাতার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, কাতার দেশের প্রধান শহরও বটে। কাতারের পাশ্ববর্তী দেশগুলো যেমন বাহরাইন, সৌদি আরব, ওমান, সুদান, ইরান, কুয়েত ইত্যাদি। অবশ্য ভ্রমণের জন্য কেউ হয়তো কাতার যায় না, বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ কাতার যান কাজের জন্য বা ব্যবসার জন্য। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো ভ্রমণ এবং একটি গোষ্ঠীর হয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা।

সে মোতাবেক আমরা ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত বছরের শুর“র দিকে কাতার ভ্রমণের সুযোগ পাই। মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা-এর আগে আমার হয়নি। তবে আফ্রিকা মহাদেশে ইতিপূর্বে ভ্রমণ করেছি। ভ্রমণের আনন্দ বর্ণনা করা কঠিন, যারা ভ্রমণে বেড়িয়েছেন তারাই-এর আনন্দ অনুভব করতে পারবেন। আমরা যে দলটি কাতার ভ্রমণের জন্য তৈরি হয়েছি তারা যথাসময় আনুষ্ঠানিকতা ও অন্যান্য কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে সমাধা করে তারিখ ও সময় অনুযায়ী জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাই।

আমাদের টিকেট ছিলো কাতার এয়ারওয়েজের। ঢাকা থেকে ঠিক সময়ে বিমান উড়লো, খুব ভালো লেগেছে। অনেকে বলেন, বিমান যখন রানওয়ে দিয়ে হঠাৎ ওপরে ওঠা শুর“ করে তখন নাকি অনেকের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। সে জন্য অবশ্য বিমান বালারা চকলেট দেন সব যাত্রীদের। আমার তেমন কোন অসুবিধা হয়নি, তবে ১০/১২টি চকলেট নিতে ভুল করিনি।

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যখন আকাশে পাখির মতো উড়তে শুর“ করলো টেরই পেলাম না। এ যাত্রপথে ৬ ঘন্টার জার্নি। কখন যে মেঘের ওপর চলে গেলো আর হারিয়ে গেলো বাংলাদেশ ভাবতে লাগলাম। আমাদের বিমান উড়ছে, সামনে টিভি স্কিনে সব দেখা যায়। দেখলাম বিমানটি ৫০ হাজার ফুট উ”চতা দিয়ে উড়তে শুর“ করলো এবং ৭০০ মাইল গতিতে চলছে।

মনে হয় যেন ভলভো (ঢাকা-কোলকাতা) এসি গাড়িতে শুয়ে আছি। কেমন করে ৬ ঘন্টা চলে গেলো বুঝতেই পেলাম না। দুপুরের দিকে দোহা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছলাম। এয়ারপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে হোটের্লে উদ্দেশ্যে সবাই রওয়ানা হলাম। আমাদের শহরে যাওয়ার জন্য আমাদের টিম লীডার গাড়ি ঠিক করেছেন এয়ারপোর্টে গিয়েই।

বিমানবন্দর থেকে আমরা যে হোটেলে থাকবো তার দূরত্ব ৩০ কিঃ মিঃ-এর বেশি হবে না। যেতে বেশি একটা সময় লাগলো না। হোটেলে পৌঁছে হাত-মুখ ধুয়ে খাবার পর্বটি সেরে আমরা সবাই একটু বিশ্রাম নিলাম। বিশ্রাম কি হয়, চোখে ঘুম আসেনি, শুধু শুয়েই থাকছি। সন্ধ্যার দিকে যে যার মতো করে বেড়াতে বের“লাম।

অনেকে আবার হোটেলে শুয়েই সময় অতিবাহিত করলো। বিদেশের মাটিতে বেড়ানো বা নতুন নতুন শহর পরিদর্শন এ যে আনন্দ তা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না শুধু উপভোগ করা যায়। আমাদের সফর সঙ্গী ১৫ জনের মধ্যে ক’জন ছিলাম সাংবাদিক। অন্যরা বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। কাতারে আমরা বেশ ক’দিন থেকেছি।

যে ক’দিন থেকেছি হোটেলে থাকা ছাড়া আর কোন গত্যান্তর ছিলো না। অবশ্য ব্যাক্তিগত খরচ ছাড়া অন্যান্য খরচ আমাদের বহন করতে হয়নি। তাই খাওয়া-থাকার বিষয়টি মোটেও চিন্তা করতে হয়নি। তথাপি পাঠককে জানাতে হয়, কাতারে হোটেলের ভাড়া বেশি। অন্যান্য জিনিষপত্রের দামও কম নয়, অন্য দেশের তুলনায় এ দেশে পণ্যের দাম অনেকটা বেশি।

কারণ এটি তেলসমৃদ্ধ দেশ। জীবন যাত্রার মান এখানে উন্নত। তবে কম দামের মধ্যে থাকা-খাওয়ারও ব্যব¯’া রয়েছে। যারা অন্য দেশ থেকে এখানে চাকরি করতে আসেন তাদের জন্যই এ ব্যব¯’া। কাতারের দোহা শহরটি বেশ একটা বড় নয়, তবে এখানে অনেক হোটেল ও মার্কেট রয়েছে।

এখানে বেশিভাগ বিদেশীরা কাজ করে থাকেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, ইয়েমেন ও ভূটানের লোকজন এখানে কাজ করছে। তবে যেটুকু শহর রযেছে তা যেন সাজানো-গোছানো পরিপার্টি। কোথাও একটুকরা ময়লা নেই। যে যার কাজ করে চলেছেন, কারো দিকে কারো খেয়াল নেই।

শহর যেন নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ। সর্বত্রই যেন সিইকিউর। রাজনৈতিক তৎপরতা নেই, নেই কোন ঝামেলা ও পুলিশ। কাতারে অনেক বাঙালী কাজ করেন। অনেকের সঙ্গে কথা ও দেখা হয়েছে।

দাওয়াত দিয়েছেন অনেকে, অনেকের দাওয়াত রক্ষা কররেছি, আবার কারোটা রক্ষা করতে পারিনি। বেশ ক’জন বাঙালী হোটেলে এসে দেখা করে গেছেন। দেশী মানুষ পেয়ে ওখানকার বাঙালীরা খুব খুশি হন, কেউ কেউ গিফটও দিয়েছেন। আমরা যে হোটেলে থাকছি, সেটির নাম রিজেন্সি হোটেল, দোহা শহরের প্রাণকেন্দ্রে হোটেলটির অব¯’ান। হোটেলের ফোন নং-০৯৭৪-৪৩৬৩৩৬৩১, ওয়েভ পেইজ-িি.িযড়ঃবষ-ৎবমবহপু.পড়স প্রয়োজনে যে কেউ যোগাযোগ করে হোটেলে থাকার ব্যব¯’া করে নিতে পারবেন।

আমরা জানি তেলের দেশ, মর“ভূমির দেশ কাতার, তবে মৎস্য সম্পদ কিছু রয়েছে, কারণ সমুদ্র থেকে জেলেরা মাছ আহরণ করে থাকে। কাতারের প্রধান আয়ের উৎসই তেল। তেল ছাড়া কাতারের আর কিছুই নেই। নিজেরা কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তৈরি করে থাকে তবে বেশিরভাগই দেশের বাইর থেকে আনা হয়। কাতারে চলছে রাজতন্ত্র।

রাজ পরিবারের লোকজনই রাজা হন এবং দেশ পরিচালনা করেন, এটা তাদের দেশের নিয়ম। কাতার পরিচালনার জন্য আমিরের ৪৫ সদস্যের পরামর্শক কাউন্সিল রয়েছে। এ সদস্যরা নিজেদের মধ্যেই কাজ ভাগবাটোয়ারা করে থাকেন। মূলত গণতন্ত্রের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা সেখানে যাই। আমাদের এসাইনমেন্ট ছিলো কাতারের রাজতন্ত্রের কিছু নমুনা সংগ্রহ করা ও সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা।

আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকাজ করতে সক্ষম হয়েছি। কি কি কাজ করবো, কোথায় যাবে সব প্লান আগ থেকেই করা সুতরাং কোন অসুবিধা হয়নি। আমাদের ভ্রমণ বিষয় কাতারীয়ানদের সাহায্য এবং ঐ দেশের বসবাসরত বিদেশীদের কাছ থেকে তথ্য ও উপাথ্য সংগ্রহ করেছি। (চলবে) দ্বিতীয় কিস্তি বাংলাদেশীরা কঠোর পরিশ্রম করছে কাতারে কাতারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অব¯’া দৃঢ় মিজান রহমান কাতারের কথা আরো বলতে গেলে যা বলতে হয় তা হ”েছ- সুন্দর শহর কাতার, রাস্তার ডান দিক দিয়ে হাটতে হয়। কোথাও কোন ড্রেন নেই, নেই কোন ডাস্টবিন।

রাস্তায হাজার হাজার গাড়ী চলাচল করে কিš‘ কোন হর্ণের শব্দ নেই। রাস্তায় কোন হকার নেই, নেই কোন ধুলাবালি। ১০ কিঃ মিঃ হাটলেও একটুকরো কাগজ পাওয়া দুষ্কর। দোকানপাঠগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজানো, মাঝে মাঝে মার্কে দেখা গেছে। কোন মার্কেটে তেমন কোন কোলাহর নেই, যে যার কেনাকাটা করছেন।

দোকানগুলো ঠিক সময় খোলা হয়ে এবং নির্দিষ্ট সময় বন্ধ করা হয়। কাউকেই যেন কোন কাজের কথা বলতে হয় না। বাংলাদেশীরা বিদেশে গিয়ে এত সুন্দর সময় মেইনটেন করেন, তারাই আবার দেশের মাটিতে এলে যেন সব পাল্টে ফেলেন। একেই বলে নিয়েমের বাস্তবরূপ। আমরা কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখিছি তার মধ্যে বিশেষ করে ডামসাব, হাইপার ও ইরানী মার্কেট।

সব জিনিষি কেনার জন্য ইরানী মার্কেটকে সবাই পছন্দের। এখানকার মার্কেটগুলোতে একটা জিনিষি লক্ষ্য করেছি তা হ”েছ-এক মার্কেটেই সব জিনিষ পাওয়া যায়। মার্কেট ঘোরার পর দেখলাম আলবিদা এলাকা। এ এলাকাটি আরব সাগরের তীরে তাই এখানে সবাই বেড়াতে আসেন। দার“ণ পরিবেশ, আলবিদা এলাকায় গেলে আর আসতে মন চায় না।

মাঝে মাঝে খেজুর গাছ ও বসার জন্য বেঞ্চ রয়েছে। সারা দিন বসে আড্ডা জমালেও কোন অসুবিধা নেই। পাশের সাগরের কলতানে মুখরিত করে তোলে গোটা এলাকা। তবে কাতারের নাগরিকদের এদিকে কোন ভ্র“ক্ষেপ নেই। তারা যেন সবাই রাজা-বাদশা।

কেউ বেড়াতে গেলে আলবিদা এলাকা ঘুরে না এলে তার কাতার যাওয়া সার্থক হবে না। কাতারের রাজনৈতিক অব¯’া ও ইতিহাস ইত্যাদি বর্ণনা করতে গেলে অনেক কিছুই বলতে হয়। যেমন-এক সময়ের দরিদ্র দেশ কাতার তেলের কারণেই রাতারাতি ধনী দেশে পরিণত হয়। ১৯৩০ সালে মুক্ত বাজারে ধ্বস নামার আগেও কাতারে জীবন-যাত্রা বেশ কঠিন ছিলো। ক্ষুধা-দারিদ্র, অপুষ্টি ও বিভিন্ন রোগ ছিলো সেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী।

এসব কারণে ১৯৩০ সালের প্রথম দিকে যখন তেল অনুসন্ধানকারী দল প্রথমবারের মতো কাতারে আসে তখন সেখানকার আমির তাদের খুশি মনেই অভ্যর্থনা জানান। ১৯৩৫ সালে তিনি প্রেট্রোলিয়াম ডেপলপমেন্ট কাতার (পিডিকিউ)-এর জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দেন। এ প্রতিষ্ঠানটিও পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কাতার জেনারেল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বা সংক্ষেপে কিউজিপিসি’র র“প নেয়। সেই সময় পিডিকিউ ছিলো ইরাক পেট্রোলিয়াম কোম্পানি বা সংক্ষেপে আইপিসি’র অধীনে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। আমেরিকা, বৃটিশ ও ফ্রান্সের তেল ব্যবসায়ীরা তখন পিডিকিউ নিয়তন্ত্রণ করতো।

১৯৩৯ সালে অনুসন্ধানকারী দল কাতারে তেলের সন্ধান পায়। তবে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কারণে পরবর্তী ১০ বছরে আর তেল উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। যুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে বৃটিশ সরকার দোহায় পলিটিক্যাল এজেন্ট বা প্রতিনিধি পাঠায়। এর আগে দেশটি ছিলো মুলত বাহরাইনের পলিটিক্যাল এজেন্টদের ঘাঁটি। এর পর দ্র“ত কাতর বদলে যেতে থাকে।

হঠাৎ পাওয়া এতো টাকা নিয়ে কাতারের আমির কি করবেন সে বিষয়ে সাহায্য করার জন্য বৃটেন একজন অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে সেখানে পাঠায়। তবে এ বিষয়ে কাতারীয়ানরা বেশ সতর্ক ছিলো। আব্দুল্লাহ ও তার পিতা প্রথম মহাযুদ্ধের আগে রাজনৈতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে তারা জানতেন কিভাবে বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা পরামর্শগুলোর ভেতর একটা ভারসাম্য রাখতে হয়। হাসান কামিল নামে একজন ইজিপশিয়ানকে অতিরিক্ত অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীকালে হাসান কামিল বেশ কয়েক দশক ধরে কযেকজন আমিরের সঙ্গে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।

বয়সের কারনে আবদুল্লাহ ১৯৪৮ সালে সিংহাসন ত্যাগ করেন। তার ছেলে আলী (রাজত্বকাল ১৯৪৯-১৯৬০) সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনিই কাতারের তেল প্রাচুর্য যুগে প্রবেশ করার নেতৃত্বে দেন। তখন কাতারের উত্তোলিত তেলের পরিমাণ খুব বেশি না থাকলেও জনসংখ্যা কম থাকায় কাতারীয়ানদের পার-ক্যাপিটাল ইনকাম বা মাথাপিছু আয় বিপুলভাবে বেড়ে যায়। এ কারণে কাতার রাতারাতি বিশ্বের কাছে একটি ধনী দেশে পরিণত হয়।

প্রথম দিকে তেল বিক্রির অর্থের বেশির ভাগই তারা দেশে আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলার পেছনে ব্যয় করে। ১৯৫২ সালে কাতারে প্রথম স্কুল চালু হয় এবং একই সঙ্গে দেশের স্বা¯’্য সুরক্ষা কার্যক্রমকে উন্নত করা হয়। কাতারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৫৯ সালে। অনেক চড়াই উৎরাইয়ে ১৯৭১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আমির শেখ আহমেদ জেনেভাতে কাতারের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তবে ততোদিনে দেশে তার অব¯’ান অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল।

১৯৭২ সালের ২২ ফেব্র“য়ারি খলিফা এক প্রসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ আহমেদকে সরিয়ে নিজেই দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এরপর ক্ষমাতাচ্যুত আহমেদকে দুবাইয়ে নির্বাসনে পাঠানো হয়। পরিসংখ্যান দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যায়-কাতারের অফিসিয়াল নাম-দৌলত কাতার, জনংখ্যা-৮লাখ, আয়তন-১১ হাজার বর্গ কিলোমিটার, রাজধানী-দোহা, গুর“ত্বপূর্ণ শহর- আল রাইয়ান, আল ওযাকরাহত, উমসাইড ইত্যাদি, সরকার-কাতারের প্রধান হিসেবে রয়েছেন কাতারের আমির আইনসভা-পরামর্শক কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ৪৫ জন। এর মধ্যে ৩০ জন সর্বসাধারণের ভোটে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন। আর বাকি ১৫ জন আমির কর্তৃক মনোনীত হয়, ছুটির দিন ৩ সেপ্টেম্বর (স্বাধীনতা দিবস), জনগোষ্ঠী-২০ ভাগ কাতারী তবে প্যালেস্টাইন, ইজিপশিয়ান, ইয়েমেনী, পাকিস্তানী, ইনডিয়ান ও ইরানীরা বসবাস করেন।

ভাষা-আরবি, রাজনৈতিক দল-নেই, স্বা¯’্য-প্রথামিক চিকিৎসা ফ্রি, শিক্ষা-উ”চ শিক্ষা বিনামূল্যে, মিডিয়া-অনেক মিডিয়ার মধ্যে বিশ্বখ্যাত আল জাজিরা টিভি চ্যানেল, অপরাধ-অপরাধের মাত্রা কম, স্পোর্টস-খেলা ধুলার পৃষ্টপোষকতায় সরকারের ভূমিকা অগ্রগণ্য। এ সব দিকে দিয়ে বিবেচনা করে কাতারকে বিশ্বের মধ্যে একটি অন্যতম তেলসমৃদ্ধ ধনী দেশ বলা চলে। যা ইউরোপে ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের একটি গুর“ত্বপূর্ণ অব¯’ান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.