সামু ব্লগ ভালবাসি। নিয়মিত ব্লগ পড়ি।
দেশের সিরাজগন্জ ও পাবনা এই দুই জেলায় এ্যানথ্রাস্ক রোগীর সংখ্যা ১০০ জনের ও বেশী। শেষ রোগীগুলো সনাক্ত করা হয় পাবনার সাথিঁয়া ও শাহজাদপুর উপজেলায়। এর আগেও এ এলাকাগুলোতে গত বারো মাসে এ্যানথ্রাস্ক সংক্রমণ হয়েছে।
উওরবঙ্গের এ জেলাগুলোতে অনেক গরুর খামার আছে এবং মুটোমুটি প্রতিটি পরিবারে গরুপালন করা হয়। এখন উদ্বেগের বিষয় দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এইসব এলাকার গরুর খামার হতে দেশের বিভিন্নএলাকায় দুধ ও মাংস সরবরাহ করা হয় বিশেষ করে মিল্ক ভিটার একটি ফ্যাক্টরী আছে। দেখা যাচ্ছে ঐ এলাকার খামারীরা অসুস্থ গরুগুলো জবাই করে মাংস বিক্রি করছে এবং প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার গরু পাশের জেলায় বিক্রি হচেছ কম দামে,যে কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। উৎস যেহেতু গরুর মধ্যে তাই ঐ এলাকায় সংক্রমণ বেশী।
ঐ এলাকায় কেন বারবার এ্যানথ্রাস্ক সংক্রমণ হচেছ এ ব্যাপারে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বলছে তারা ওখানে ভ্যাকসিন খুব কম দামে দিলেও গরুগুলোকে ঠিকমতো ভ্যাকসিনেট করা হচেছনা। এ বিষয়ে তারা বলছে ওখানে যে গরুর সংখ্যা আছে তার বিপরীতে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর এর অতটা জনবল নেই তাই ভ্যাকসিন দেয়া যাচেছনা সব গরুগুলোকে । এ কারণে আক্রান্ত হচেছ গরুগুলো। এক্ষেত্রে তারা খামারীদের নিজ উদ্যেগে তাদের গরুগুলোকে ভ্যাকসিনেট করার তাগিদ দিয়েছে। আর আড়াই মাস পর যেহেতু কুরবানীর ঈদ তাই দেশব্যাপী আরো আশঙ্কা আছে এ্যানথ্রাস্ক সংক্রমণের।
তাই এখন ই সরকারের এ বিষয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ খুব প্রয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।