পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
এই ত কিছুদিন আগেও কামরুলের নিকট কম্পিউটারের রহস্য উদঘাটন হয় নি। বয়স তার কুরি বাইস হলেও কম্পিউটারের মাউসে হাত রাখা হয় নি। তবে শিক্ষিত হওয়ার বরকতে কম্পিউটারের নাম কয়েকবার শুনেছে। তার থেকেও ব্যাকডেটের পোলাপাইনের নিকট কম্পিউটারের গুনাগুন বর্ণনা করতে গেলে নিজেকে বেশ মডার্ন মডার্ন মনে হয় কামরুলের নিকট।
বড় ভাইদের চেয়ারের পেছনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মনিটরে চোখ রেখে রেখে সে কিন্তু নিজেই নিজেই আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছে যে, তীর চিহ্ন ব্যাবহার করেই কম্পিউটারের সমস্ত কাজ করতে হয়। কিন্তু ঐ তীর চিহ্নের সে কি নাম দিবে, বা আসলেই ওটার নাম কি সে দিকে তার মনোযোগ দেবার টাইম কোথায়? মূল কথা হচ্ছে কম্পিউটার বুঝা, এমনি ক্ম্পিউটার দর্শনে সে আপাতত বিশ্বাসি। এবার তার বুঝার চেষ্টা চলছে, ঐ প্রধান তীর চিহ্ন কিভাবে এদিক সেদিক নেয়া যায়, তার জন্য সে অনেক্ষন সময় নষ্ট করলেও বুঝতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কামরুলকে। প্রথমে কনফিউশন থাকলেও এবার সে ঠিকই শিউর হতে পেরেছে যে হাতের মাউস দিয়েই ঐ তীর চিহ্নকে উপরে নিচে নেয়া যায়। এই ভাবে সে একটা একটা করে একদিন কম্পিউটারের সব শিখবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
যাইহোক সময় সবসময় পরিবর্তনশিল, কামরুলের জীবনেও পরিবর্তন আসল। তার বন্ধু বান্ধবের অনেকেই কম্পিউটার কিনল, ফলে মাঝে মাঝে তার কম্পিউটারে হাত দেবার সুযোগ সৃষ্টি হলো, ফলে কম্পিউটারের গন্ডি পেড়িয়ে এবার সে ইন্টারনেটের দিকে মনোনিবেষ করল।
অনেকের কাছে বলতে শুনেছে, ইন্টারনেটের ভিতর নাকি বিশ্বটা ঢুকানো আছে। কাজেই এর রহস্য তার উদঘাটন করা চাই ই চাই। ফলে তার বন্ধুদের ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই শেয়ার করে ঘড়ে নেট আনল।
এখন কামরুলের বাহিরে যাওয়া কমে গেল।
একজনের সাহায্য নিয়ে ইয়াহুতে একটা আইডি বানাল, সে জন্য যদিও তাকে যথেষ্ঠ কাঠ খরি পুরাতে হয়েছে। আরেকজনের সাহায্যে ইয়াহু চ্যাটরুমে আনাগুনা করেই সে বুঝতে পারল, না- আসলেই ইন্টারনেটের ভিতর আলাদা একটা বিশ্ব আছে। বেশ কিছুদিন কেটে গেল চ্যাটরুমে বিচরণ করে। এর মধ্যে সে একাধিক আইডি নিজেই বানিয়ে ফেলেছে এবং যথেষ্ট বন্ধুও হয়েছে তার।
জিবনে মাঝে মাঝে সে এখন নতুন দিগন্ত দেখতে পায়। কখনো কখনো তাকে এখন মেয়ে সাজতে হয়। মেয়ে সেজে মেয়ে নামের আইডি দিয়ে চ্যাটকরলে যথেষ্ট সম্মান ও ভালবাসা পাওয়া যায়, তাই সে সূযোগটা হাত ছাড়া করতে পারল না।
কিন্তু কত দিন আর ভাল লাগে এই ইয়াহুতে, তাই ফেসবুকে চলে আসল। মাসাল্লাহ ফেসের অবসথা যাই থাকুক ফেসবুকে তার ছবির কোন কমতি থাকল না।
এখানেও সেই একই অবস্থা, মেয়ে নিকের কদর বেশি। তাই সবরকমের কৌশল অবলম্বন করে অল্পদিনেই অসংখ বন্ধু বান্ধব বানিয়ে ফেলল। বেশ জমজমাটই ছিল কিছুদিন। কিন্তু কিছুদিন পরে সে আবিস্কার করতে পারল এ সব পুলাপানের কাজ। তাই অন্য কিছুর সন্ধানে নামল।
টুইটারে ইংলিশ অত ভাল না থাকার কারণে জমল না।
এবার সে আবিস্কার করল ব্লগের বাংলা ব্লগের। কিন্তু কোন ব্লগেই ইয়াহু কিংবা ফেসবুকের মত লাখে লাখে দর্শক না পেয়ে মনটা খারাপ হলেও এক পর্যায় মনটা কিছুটা ঠান্ডা হলো সামুর দেখা পেয়ে। সামুতে চট করে একটা একাউন্ট করে নিল। ব্যাস এবার কামরুলকে পায় কে!!! সারাদিন ব্লগে ঘাপটি মেরে বসে থাকে আর কমেন্ট করে।
কমেন্ট করে আর ফেৎনা সৃষ্টি করে। কখনো কখনো সে বাজে ভাষায় গালাগালি করতেও দ্বিধা করে না। ইয়াহুর চ্যাটরুমে ঢুকে যত গালি সে শুনেছে সব এখানকার ব্লগারদের ফিরিয়ে দেবে বলে পণ করল। এ ভাবেই চলতে থাকল কামরুলের গল্প।
বি.দ্র. এটি একটি সম্পুর্ন কাল্পনিক গল্প, কারো নামের সাথে কিংবা কারো চরিত্রের সথে মিলে গেলে আমি সম্পুর্ন ভাবে নির্দোষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।