আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক ডজন বি পজিটিভ (+)

পরাঞ্জয়ী...

১। শুধু ইতিবাচক কথা ব্যাবহার করবে: তুমি যদি তোমাকে বলতেই থাকো "আমি পারি না" তুমি হয়তো তোমাকে বুঝিয়েই বসে আছো যে এটাই সত্যি, এই নেতিবাচকচিন্তাকে ঝেটিয়ে(মানে ঝাটা দিয়ে ) ইতিবাচক কথার সাথে রিপ্লেস করো। নিজেকে বলো তুমি তোমার সর্বোচ্চটা করবে অথবা তুমি তোমার সর্বোত্তম চেষ্টা করবে (চ্রম সত্যি কথা) ২। যেসব অনুভুতি ইতিবাচক না লাত্থি! আই রিপিট, লাত্থি মেরে ফেলে দাওঃ যখন তোমার মন খারাপ থাকে, কখনো নেগেটিভ চিন্তা ধ্যান ধারনারে প্রশ্রয় দিবা না বা তোমাকে আচ্ছন্ন করতে দিবা না। যদিও এটা যদি দিনে কিছু ঘন্টার জন্যও হয়, তোমার নেগেটিভ চিন্তাকে একপাশে সরিয়ে রাখো (পার্লে ডাস্টবিনে ফেলে দিবে) এবং শুধু ফোকাস করো তোমার জীবনের ভালো ভালো প্রাপ্তির উপর।

৩। সেই সব শব্দ ব্যবহার করো যা শক্তি এবং সফলতাকে ধারন করে। তোমার চিন্তাকে সেই সমস্ত শব্দ দ্বারা পূর্ণ করার চেষ্টা করো যা তোমাকে শক্তিশালী, সুখি, এবং জীবনের নিয়ন্ত্রক রুপে প্রকাশ করে। তুমি শেষ হয়ে গেছো, তুমি অসফল এই সমস্ত বাজে শব্দ চিন্তা বাদ দিয়ে, এই সকল ইতিবাচক শব্দকে ফোকাস করার জন্য একটি স্থির চেষ্টায় নিয়োজিত করো নিজেকে। ৪।

অনুশীলন করো ইতিবাচক বিবৃতি বা কথা। পজিটিভ চিন্তা অনুশীলনীর অন্যতম জনপ্রিয় অনুশীলন হচ্ছে পজিটিভ বিবৃতি, এর মানে এই যে, তুমি একটি ইতিবাচক বাক্য বার বার নিয়মিত বলতে থাকবা নিজেকে, যেমন: "আমি-ই সুখী হওয়ার যোগ্য", "আমি ভালোবাসার প্রাপক"। এই সকল কথা বিশ্বাস করতে হবে সত্য হিসেবে, এবং নিজেকে বার বার মনে করিয়ে দিতে হবে যে এটা তোমাকে আরো পজিটিভ হতে সাহায্য করবে। ৫। তোমার চিন্তা নিয়ন্ত্রন করো।

সাইকোথেরাপিস্ট দ্বারা ব্যাবহৃত এই কৌশল তোমাকে সাহায্য করবে নিজের চিন্তা-ভাবনা কে নিয়ন্ত্রন করতে, যখন তোমার মন খারাপ হতে থাকে অথবা তুমি উদ্বিগ্ন অনুভব করতে থাকো। একটি সুখী স্বপ্ন তৈরী করো, একটি ইতিবাচক স্বপ্ন, অথবা নিজেকে পজিটিভলি সান্ত্বনা দিতে থাকো, খারাপ চিন্তাকে নিয়ন্ত্রনের জন্য। ৬। বিশ্বাস করো যে তুমি সফল হবে। বাস্তবে এমন কিছু নেই যে নিজেকে বিশ্বাস করলেই তুমি সফলতা তৈরী করতে পারবে।

তবু নিজেই সেই বেনিফিট অফ ডাউট নাও (বেনিফিট অফ ডাউট - আমি তোমাকে বেনিফিট অফ ডাউট দিচ্ছি এর মানে এরমন যে, "আমি প্রমান করতে পারবো না যে তুমি ভুল বা মিথ্যা বলছো কিন্তু সন্দেহ করছি, তুমি এই সন্দেহের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারো, মানে বেনিফিট অফ ডাউট টা তোমাকে দিলাম) এবং বিশ্বাস করো যে তুমি সফল হবে তোমার লক্ষ্য পূরণ করেই। ৭। যা যা ঠিক মতো হয়নি তা বিশ্লেষন করো। পজিটিভলি ভাবা মানে এই না যে নেগেটিভ চিন্তাগুলোকে পুরোটাই পাশ কাটিয়ে যাওয়া। নিজেকে কিছু সময় দাও চিন্তা করতে কি কি তোমাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে এসেছে, এর ফলে তুমি ভবিষ্যতের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবে এবং সামনে আরো একটি ইতিবাচক আগামীর জন্য এগুতে পারবে।

৮। নিজেকে কৃতিত্ব দাও। মাঝে মাঝে যখন আমরা হতাশ হই তখন আমরা শুধু মনোযোগদেই খারাপ জিনিসগুলোর উপরেই অথবা সেই ভুল গুলোর উপরে যা আমরা করেছি, নিজেকে কৃতিত্ব কখনো দেই না। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ভাবো যা তুমি অর্জন করেছো, যদিও তুমি অন্যান্য অনেক কিছু ধ্বংস করেছো (কস কিরে মমিন! ঝাতি ঝানতে চায়!) ৯। নিজের ব্যাপারে সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করো, মানে নিজেকে ক্ষমা করে দাও।

তোমার কৃত ভুল কাজগুলোর জন্য সারাদিন পিটাইলেও তো সেগুলো ফিরে আসবে না বা পরিবর্তীত হবে না, নিজেকে শুধাও যে "তুমি মুক্ত ও ক্ষমা প্রাপ্ত এত্ত মন খারাপের কিচ্ছু নেই বাছা, আল ইজ ওয়েল, আল ইজ ওয়েল! " ১০। অতীত থেকে শিক্ষা নাও! (চ্রম বাস্তব্বাদী কথা) অতীত তোমার পিছনেই রয়েছে, যত খারাপ কিছুই ঘটে থাকুক না কেন ওগুলো তুমি পরিবর্তন করতে পারবে না। যখনই তুমি অতীতের কোন নেতিবাচক ভাবনা ভাবো একই সাথে এটার ভবিষ্যতের উজ্জ্বল সম্ভাবনার সাথে প্রতিস্থাপন(শব্দটা কি কঠিন হয়ে গেল? :S) করো। ১১। মনে রাখবা, ঘটনা যা ঘটছে তা ভয়ানক খারাপ হতে পারে, তা যত খারাপ কিছুই ঘটুক না কেন সেটা কোন বেফার্ণা, খোদার কাছে কৃতজ্ঞ হও জীবনে ভালো ভালো জিনিসের পাশা পাশি আমার মতো একটা দোস্ত পাইছো ১২।

এটাকে একটা সুযোগ হিসেবে নাও। কিছু কিছু সময় আমাদের জীবনের দৃশ্যত নেগেটিভ জিনিসগুলো আমাদেরকে সুযোগ দেয়, যা ছাড়া আমরা এতটা শক্ত হতে পারতাম না বাঁচার জন্য। হতে পারে তোমার চাকরী হারানো তোমার জীবনেরব্যাবসা শুরু করার একটি সুযোগ। (অনূদিত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।