থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
মাহমুদুর রহমানের যে বিচার হয়েছে, সেটার বিববণ পড়ে মনে হল সুপ্রিম কোর্ট ভুল রায় দিয়েছেন। [ Click This Link ]
মাহমুদুর রহমান যদি 'চান্স এডিটর' হয়ে থাকেন, তা হলে তো বলতে হয় উচ্চ বিচারালয়ের যত বিচারক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন, এদের কিছু বাদে তো সবাই-ই তো 'জাজেস বাই চান্স'।
আমরা রফিকুল হক, মওদুদ আহমেদ, আজমালুল হোসেন, শাহদীন মালিক, ইত্যাদি নামগুলোকে উচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসাবে দেখি না। তারা উকিল হিসাবেই থেকে গেছেন।
অথচ তাদের জুনিয়ররাই বিচারপতি হয়েছেন। এটাই প্রমান করে যে ঘষা উকিলরাই বিচারপতি হন আমাদের দেশে।
কম-বেশি সকলেই জানেন যে বেশির ভাগ বিচারকই তো এককালে ঘষা উকিল ছিলেন। ঘষা উকিল ছিলেন বলেই তাদের মক্কেল সংখ্যা কম ছিল। তাদের সামনে রাজনীতি করে পেট চালানো ছাড়া আর কোন উপার ছিল না।
তাদের অনেকরই সুপ্রিম কোর্টে দশ বছরের প্রাক্টিসের অভিজ্ঞতা নাই। প্রথম-আলো'র মিজান খান তেমন একটা রিপোর্ট দিয়েছিল মাসখানেক আগে।
উচ্চ আদালতে অনেক বিচারকই বিচারপতি হতে পেরেছেন তাদের রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় ছিল বলে। এখন তারা তাদের নামের আগে 'মাননীয়' চান। কয়েকদিন পরে হয় তো বলবেন তাদের নামের আগে 'মহামান্য' বলতে হবে।
তারা বিচারপতি হয়ে খুঁজে ফেরেন কেন পুলিশ তাদের স্যালুট করল না। তারা খুঁজে ফেরেন কেন তাদের জন্য রেলগাড়ি অপেক্ষা না করে 'সঠিক সময়ে' স্টেসন ছেড়ে চলে গেল?
তাঁদের এহেন আচরণ কিন্তু তাদের আইনের প্রতি আনুগত্যের চেয়ে তাদের পারিবারিক অ-শিক্ষার দিকটাকেই হাই-লাইট করেছে।
অযোগ্যদের দেশ চালাবার একটা নমুনা হচ্ছে আমাদের উচ্চ আদালত। এই প্রথা ভাংতে হবে। আমাদের সরকারের উচিৎ হবে ভালো ভালো লোকদের উচ্চ আদালতে বিচারক হিসাবে নিয়োগ দেয়া।
যদি বিসিএস আর অনান্য চাকরী নিতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে এত কড়াকড়ি হয়, তা হলে সাংবিধানিক পদ উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে কেন কড়াকড়ি করা হয় না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।