সবার ওপর মানুষ সত্য... তার ওপর ....
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ (ছবি: উইকিপিডিয়া)
আইম্যাক্স মেলবোর্ন মিউজিয়ামে দেখে এলাম হাবল থ্রিডি। পয়তাল্লিশ মিনিটের এই ডকুমেন্টারি মুভিটি হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং তার সার্ভিসিং মিশন ৪ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এর বর্ননা তে চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে মহাকাশে হাবল এর বিভিন্ন ক্যাপচার এবং এর সার্ভিসিং মিশন এর ঘটনাপ্রবাহ।
মুভিটির প্রডিউসার এবং ডিরেক্টর টনি মেয়ারস এর সাথে রেকর্ডিং এ ব্যস্ত লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও
হাবল এর ক্যামেরায় ধারনকৃত হেলিক্স নেবুলার ছবি
শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন একটি নক্ষত্র থেকে ঘন্টায় ৬লক্ষ মাইল বেগে বের হওয়া গ্যাসের ছবি
নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ সংক্ষেপে এইট এস টি হলো এখন পর্যন্ত অন্যতম বড় স্পেস টেলিস্কোপ। এটি ১৯৯০ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এর সহায়তায় এটিকে বানাতে নাসার মোট সময় লাগে ১০ বছর এরও বেশি সময় এবং এতে অংশ নেয় ১০ হাজার এর ও বেশি বিজ্ঞানী এবং টেকনিশিয়ান। বর্তমানে এটিকে পরিচালনা করছে স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইন্সটিটিউট। উৎক্ষেপন এর পর থেকেই এটি মহাকাশের বিভিন্ন অজানা তথ্যের অনুসন্ধানে ব্যস্ত আছে। কয়েক ট্রিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের গ্যালাক্সী, তার বিভিন্ন সৌরজগত, গ্রহ উপগ্রহ এবং ব্লাকহোল এর ছবি ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পেয়েছি হাবল এর কল্যানে। হাবল এর ডাটা এবং ছবি থেকে এসট্রোনোমির অনেক পুরাতন কিছু সমস্যা এর সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে বিজ্ঞানীরা।
হাবলের ডাটা থেকে এখন আরো নিপুনভাবে নির্নয় করা যাচ্ছে আমাদের এই মহাবিশ্বের বয়স, এটি কিভাবে কোন গতিতে ছড়িয়ে যাচ্ছে। হাবল এর ডাটা খেকে আরো একটি বড় আবিস্কার হলো ব্লাক হোল বিষয়ক। আগে ধারনা করা হতো শুধু অল্প কিছু গ্যালাক্সীর মাঝেই ব্লাক হোল আছে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিটি গ্যালাক্সীর মাঝেই ব্লাক হোল থাকার সম্ভবনা অনেক বেশি।
স্পেস শাটল আটলান্টিস এ যাত্রার প্রাক্কালে মহাকাশযাত্রীরা
হাবল এ কাজ করছেন এসট্রোনটরা
হাবল এ কাজ করার সময় একজন আরেকজনের পা জায়গামত বসিয়ে দিচ্ছেন
স্পেস শাটল আটলান্টিস এর ভেতর কাজ করছেন মেগান ম্যাকআর্থার
এবার চলে আসি মুভির দিকে। ২ জন এসট্রোনট এবং ৫ জন মিশন স্পেশালিস্ট ২০০৯ সালে হাবল স্টেশনে যান এর সার্ভিসিং করতে।
তাদের সংগে যায় আইম্যাক্স এর একটি থ্রিডি ক্যামেরা। মুভিটিতে দেখানো হয় মিশনে অংশগ্রহনকারীদের ট্রেনিং মিশন, তাদের যাত্রা, মহাকাশের -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে হাবলের সার্ভিসিং, স্পেস এ খাওয়া দাওয়া সহ হাবল এর ক্যামেরায় ধারনকৃত কিছু ছবি। যাদের স্পেস নিয়ে আগ্রহ আছে, তারা চাইলে দেখতে পারেন ছবিটি, গাটের পয়সা উসুলই হবে, তবে থ্রিডি দেখতে ভুলবেন না।
তখ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেট।
ছবি: উইকিপিডিয়া, আইম্যাক্স ডট কম ডট এইউ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।