আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এইসব দিনরাত্রি



বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধু ও বড়ভাইদের মাঝে গলাবাজ বলে সুখ্যাতি থাকলেও পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমি আশরাফুলের মত "সম্ভাবনাময়" হিসেবে সুপরিচিত। বুদ্ধিমান পাঠক "সম্ভাবনাময়ে"র মানে বুঝে নেন। ) তো এটেনডেন্সের জন্য ক্লাসে যাই। পিছনের বেঞ্চে বসে বক্তৃতা দেই। এই তো বেশ চলে আমার দিনকাল।

তবে এর মাঝে চড়াই-উৎরাইও অনেক পার হতে হয়। গণিত ক্লাসে ম্যাডামের দুর্বোধ্য লেকচার না বুঝে যখন ডিপার্টমেন্ট থেকে বের হই তখন শুনি আমারই সহপাঠী বন্ধু গান গায়, "চলে গেছ তাতে কি, নতুন একটা পেয়েছি...তোমার চেয়ে অনেক সুন্দরী..."। আমার গলায় এই গান আর আসে না। ইনকোর্স পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসে। সম্ভাব্য 'শুন্য' পাওয়ার দুশ্চিন্তায় খাবি খেতে থাকি ক্রমশ।

বান্ধবী বলে, "তুই তো প্রাইমারী স্কুলের টিচারও হইতে পারবি নারে। " চিন্তায় পড়ে যাই। বান্ধবীরে বলি, "তোমার হবু জামাই (ভবিষ্যত আর্মির ডাক্তার) কে বইল যাতে ক্যান্টনমেন্টের কোন প্রাইমারী স্কুলের টিচার হিসেবে ঢুকায় দেয়। আমাদেরও তো বউ-বাচ্চা নিয়ে খাইতে হবে। " বান্ধবী আশ্বাস দেয়।

আমি তার আশ্বাসে ভরসা রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু নিশ্চিন্ত হতে পারি না। প্রায়ই শুনি ক্লাসের অমুক বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেল, তমুক বান্ধবীর এনগেজমেন্ট হল, ঐ বান্ধবীর বাচ্চা হল, সেই বান্ধবী হানিমুনে গিয়েছে। আর বাদ বাকি বান্ধবীরা পরিচয় করিয়ে দেয়, "এ হল, অমুক। হাসিমুখে সালাম দেই।

জোরে-সোরে করমর্দন করি। পরে বন্ধুরা বলে, "সব বান্ধবীরা তো আমাদেরকে তাদের সন্তানের মামা বানায় দিল, কেউ বাবা বানাইতে চাইল না। " ভেতর থেকে মোচড় দিয়ে ওঠে। বান্ধবীদের বিয়ে হয়, এনগেজমেন্ট হয়, আমাগোরে খাওয়ায় না। এভাবে কাটে আমাদের "এইসব দিনরাত্রি"।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।