মনের জানালায় দাঁড়িয়ে ভাবনাগুলোর মিলিয়ে যাওয়া দেখি। গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ হয়ে, ঐ দূর দিগন্ত পানে...
আমি কান পেতে রই ও আমার আপন হৃদয়গহন-দ্বারে বারে বারে
হুম কান পেতেই শুনছিলাম। সকাল বেলাকার আমেজটা হৃদয়-আকাশে ছড়িয়ে দিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত ছেড়ে দিয়ে মগ্ন হয়েই শুনছিলাম। এক সময় বেজে উঠলো অদিতি মহসিনের কণ্ঠে "আমি কান পেতে রই"।
কি যে ছিল সেই কণ্ঠে, সেই সুরে, সেই বাণীগুলোতে, গান শুনতে শুনতে আমি হারিয়ে যাচ্ছিলাম নিজের গহীনে।
শুনতে পাচ্ছিলাম কোন এক গোপনবাসীর গোপন কথা। যে বাণীগুলো এদ্দিন ভাষা খুঁজে পাইনি, এই গানের মধ্যে দিয়ে সেই গোপনকথারা যেন প্রাণ পেল। যেন আমাই বলছে, আমি আছি, তোমা মাঝে, সঙ্গোপনে, অন্তরালে, নিভৃতে। সেই কি তবে প্রাণ!
রবি বাবুর শেষ কোন্ গান এমন করে নিজের সমস্ত সত্তা দিয়ে উপলব্ধি করেছি ভেবে পাচ্ছিনে। প্রণতি রবি ঠাকুরকে, প্রণতি শিল্পীকে।
আমি কান পেতে রই ও আমার আপন হৃদয়গহন-দ্বারে বারে বারে
কোন্ গোপনবাসীর কান্নাহাসির গোপন কথা শুনিবারে-- বারে বারে ॥
ভ্রমর সেথা হয় বিবাগি নিভৃত নীল পদ্ম লাগি রে,
কোন্ রাতের পাখি গায় একাকী সঙ্গীবিহীন অন্ধকারে বারে বারে ॥
কে সে মোর কেই বা জানে, কিছু তার দেখি আভা।
কিছু পাই অনুমানে, কিছু তার বুঝি না বা।
মাঝে মাঝে তার বারতা আমার ভাষায় পায় কি কথা রে,
ও সে আমায় জানি পাঠায় বাণী গানের তানে লুকিয়ে তারে বারে বারে ॥
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।