যখন দেখি চাওয়া-পাওয়া শূন্যতে মিলায়... তখন আমি এই শহরে কষ্ট বেচে খাই :-(
প্রথম অংশ দেখতে - Click This Link
হাইব্রিড থিওরি (২০০০-২০০২)
২০০০ সালের ৪ অক্টোবরে লিংকিন পার্ক তাদের প্রথম অ্যালবাম হাইব্রিড থিওরি প্রকাশ করে। অ্যালবামটি লিংকিন পার্কের বিগত দশ বছরের সাধনার ফল, এটি সম্পাদিত হয় সঙ্গীত প্রযোজক ডন গিলমোর কর্তৃক। লিংকিন পার্কের জন্য হাইব্রিড থিওরি ছিল একটি ব্যাপক সাফল্য। প্রকাশের প্রথম বছরেই এটির ৪.৮ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় যা অ্যালবামটিকে ২০০১ সালের সবচেয়ে সফল অ্যালবামের স্বীকৃতি দেয়। এই অ্যালবামের ক্রলিং এবং ওয়ান স্টেপ ক্লোজার লিংকিন পার্ককে ঐ বছরের রেডিও প্লে-লিস্টের অন্যতম সফল অল্টারনেটিভ রক ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এছাড়া অ্যালবামটির অন্যান্য গান বিভিন্ন সিনেমা যেমন- ড্রাকুলা ২০০০, লিটেল নিকি, ভ্যালেনটাইনে প্রদর্শিত হয়। হাইব্রিড থিওরি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের সেরা হার্ড রক শিল্পীর পুরস্কার জিতে এবং অন্য দুই পুরস্কার, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডঃ সেরা নতুন শিল্পী ও সেরা রক অ্যালবামের মনোয়ন পায়। এমটিভি লিংকিন পার্ককে বেস্ট রক ভিডিও এবং বেস্ট ডিরেকশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে তাদের ইন দ্য ইন্ড গানের মিউজিক ভিডিও-এর জন্য। হাইব্রিড থিওরি লিংকিন পার্ককে সেরা হার্ড বিভাগে গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড এনে দেয় যা ব্যান্ডের সাফল্য ও খ্যাতিকে এক উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যায়।
এসময় লিংকিন পার্ক বিভিন্ন কনসার্টে অনেক বিখ্যাত ব্যান্ড ও শিল্পীদের সাথে গান করার আমন্ত্রণ পায়।
এছাড়া লিংকিন পার্ক নিজেরাই প্রজেক্ট রিভোলুশন নামে একটি সঙ্গীত সফরের আয়োজন করে যেখানে বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য শিল্পীও গান করে। এক বছরের মধ্যে লিংকিন পার্ক ৩২০ এরও বেশি কনসার্টে গান করে। এত কম সময়ের মধ্যে লব্ধ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা লিংকিন পার্ক তাদের প্রথম ডিভিডি, ফ্র্যাট পার্টি অ্যাট দ্য প্যাঙ্কেল ফেস্টিভল এ লিপিবদ্ধ করে, এটি ২০০১ সালের নভেম্বরে প্রকাশ পায়। সাবেক বেস গিটারিস্ট ফিনিক্স এসময় আবার ব্যান্ডে যোগ দেয় এবং লিংকিন পার্ক রিএনিমেশন নামে একটি রিমিক্স অ্যালবাম প্রকাশ করে। ২০০২ সালে জুলাইয়ের ৩০ তারিখে এই অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়।
রিএনিমেশন বিলবোর্ডে দ্বিতীয় স্থান দখল করে এবং প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ২৭০,০০০ সংখ্যক কপি বিক্রি হয়।
মিটিওরা (২০০২-২০০৪)
হাইব্রিড থিওরি এবং রিএনিমেশনের ব্যাপক সাফল্যের পর লিংকিন পার্ক অনেকটা সময় ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে সফর করে। এসময় তারা নতুন কিছু গানের সরঞ্জাম দিয়ে গান করে, সফরের সময় বাসে অবসর সময়েও তারা গান করে। লিংকিন পার্ক ঘোষণা দেয় যে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে তার তাদের নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছে যার নাম গ্রীসের পাহাড়ি অঞ্চল মিটিওরা-এর নামে রাখা হবে। এই অ্যালবামে তারা নিউ মেটাল এবং র্যা প রক ধরণের গানের বাইরেও অন্যান্য ধারার গান অন্তর্ভুক্ত করে।
এখানে জাপানের এক বিশেষ বাশির কাজও রয়েছে। লিংকিন পার্কের এই অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালের ২৫শে মার্চ এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার চার্টে শীর্ষস্থান দখল করে।
প্রথম সপ্তাহেই মিটিওরা পৃথিবীব্যাপী প্রায় ৮০০০০০ কপি বিক্রি হয়। ঐ সময়ে বিলবোর্ড চার্টে অ্যালবামটি সবছেয়ে বেশি বিক্রিত অ্যালবামের খেতাব অর্জন করে।
অ্যালবামের “সামহোয়্যার আই বিলং”, “ব্রেকিং দ্য হ্যাবিট”, “ফেইন্ট” এবং “নাম” গানগুলো রেডিওতে ব্যাপক সাফল্য পায়। ২০০৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে অ্যালবামটির প্রায় তিন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এই সাফল্য লিংকিন পার্ককে আরেকটি প্রজেক্ট রিভোলুশন করতে উদ্বুদ্ধ করে যেখানে অন্যান্য সঙ্গীত শিল্পীরাও গান করে। তাছাড়া মেটালিকা লিংকিন পার্ককে আমন্ত্রণ জানায় সামার স্যানিটেরিয়াম ট্যুর ২০০৩ এ গান করার। এ কনসার্টে পৃথিবী বিখ্যাত অনেক ব্যান্ড অংশগ্রহণ করে।
এই সফরকালে টেক্সাসে তাদের করা গান নিয়ে লিংকিন পার্ক একটি অ্যালবাম এবং লিভ ইন টেক্সাস নামে ডিভিডি প্রকাশ করে। ২০০৪ সালের প্রথম দিকে পৃথিবীব্যাপী সঙ্গীত সফরের আয়োজন করে, এর নাম মিটিওরা ওয়ার্ল্ড ট্যুর।
মিটিওরা লিংকিন পার্ককে বেশ কয়েকটি পুরস্কার এবং সম্মান এনে দেয়। এমটিভির সেরা রক ভিডিও পুরস্কার ব্যান্ডটি অর্জন করে। এছাড়া তারা ভিউয়ার্স চয়েস এ্যাওয়ার্ড অর্জন করে তাদের ব্রেকিং দ্য হ্যাবিট গানের মিউজিক ভিডিওর জন্য।
ব্যান্ড সদস্য :
বর্তমান সদস্য
চেস্টার বেনিংটন - কন্ঠ।
মাইক শিনোডা - কন্ঠ, রিদম গিটার, কি-বোর্ড, এমছি, বিট্স।
ব্র্যাড ডেলসন - গিটার।
ফিনিক্স - বেজ গিটার।
জোসেফ হান - টার্নটেবল, বিটস্, ডি.জে.।
রব বুর্ডন - ড্রাম।
পূর্বের সদস্য
স্কট কোযিওল - শুধু ওয়ান স্টেপ ক্লোজার (One Step Closer) গানে বেজ গিটার বাজিয়েছেন।
মার্ক ওয়েকফিল্ড - অল্প দিনের জন্য গায়ক হিসেবে ছিলেন। তার জায়গায় পরে চেস্টার বেনিংটন এসেছেন। মার্ক ওয়েকফিল্ড এখন ট্যাপরুট (Taproot) ব্যান্ডে কাজ করছে।
লিংকিন পার্ক'এর এ্যালবামগুলোর ডাউনলোড লিঙ্ক :
LINKIN PARK – REANIMATION
ডাউনলোড: http://bit.ly/9BODgx
LINKIN PARK – HYBRID THEORY
ডাউনলোড: http://bit.ly/dmYFEc
LINKIN PARK – METEORA
ডাউনলোড: http://bit.ly/dfKFmM
LINKIN PARK – MINUTES TO MIDNIGHT
ডাউনলোড: http://bit.ly/93y5hX
LINKIN PARK – LIVE IN TOKYO [2010]
ডাউনলোড: http://bit.ly/cnvmMO
TRANSFORMERS – REVENGE OF THE FALLEN (OST) [Mixed]
ডাউনলোড: http://bit.ly/9LqWHq
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।