সত্যেই হোক মোদের লক্ষ্য
‘ইসলাম’ আল্লাহ পাক উনার মনোনীত, ওহীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ এবং সন'ষ্টিপ্রাপ্ত দ্বীন যা কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত থাকবে। ওহী ব্যতীত কারও পরিবর্তন পরিবর্ধন করার অধিকার নেই। রোযা ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। রমাদ্বান শরীফ-এর রোযার জন্য চাঁদ দেখা শর্ত। শা’বানের ২৯ তারিখ রমাদ্বান শরীফ-এর ২৯ তারিখ চাঁদ না দেখে রোযা ও ঈদ পালনের তারিখ নির্ধারনের অধিকার ইসলাম কাউকে দেয়নি।
আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “আল্লাহ পাক উনার নিকট মাসের সংখ্যা ১২টি। (সূরা তওবা) প্রতিটি মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা না গেলে মাসের দিনের সংখ্যা ৩০ দিন হবে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, চাঁদ দেখে রোযা শুরু কর, চাঁদ দেখে ইফতার কর অর্থাৎ ঈদ কর। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে যদি চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ৩০ দিন পূর্ণ কর।
” (মিশকাত শরীফ) শা’বান মাসে রমাদ্বান শরীফ-এর রোযা রাখলে রমাদ্বান শরীফ-এর রোযা হবে না। আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “রমাদ্বান শরীফ-এ যে ব্যক্তি মুকীম অবস্থায় থাকবে তার উপর রোযা ফরয; রুগ্ন ও মুসাফিরগণ অন্য মাসে ক্বাযা করবে। ” চাঁদ দেখার নিয়ম রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত। এটা মনগড়া কোন রসম রেওয়াজ নয়। এটা অস্বীকার করা কুফরী।
নতুন চাঁদই হল সময় নির্ধারনী, কোন রাষ্ট্র প্রধান ধর্ম ব্যবসায়ীর হিসাব নিকাশ বা জ্যোতিষীর ক্যালেন্ডার নয়, আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “নতুন চাঁদ সেটা মানুষের জন্য সময় নিরূপণকারী ও হজ্জের সময় নিরূপক। ” (সূরা বাকারা) শাসক শ্রেণী ও ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মীয় বিধানের উপর প্রভাব খাটাতে গিয়ে চাঁদ দেখার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতকে ধর্মীয় অনুষঙ্গ থেকে খারিজ করে ফেলেছে। এরা মনে করেছে এটি একটি পুরনো রেওয়াজ। এর দ্বারা ধর্মীয় বিষয়ে এরা যে কতটা অজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ তা সহজেই অনুমান করা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।