এক্সট্রা এনার্জি এক্সচেঞ্জার
শ্রাবণের আকাশ। কিন্তু তাতে নেই কালো মেঘের ঘনঘটা। ছিল না বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও। প্রকৃতিতে বর্ষণ থাকলেও গানের সুরে আর যন্ত্রের বাদনে শ্রাবণ যেন ফিরে পেয়েছিল তার স্বরূপ।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন মিলনায়তনে ‘হূদয়ে মন্দ্রিল ডমরু গুরু গুরু’ নামের অনুষ্ঠানে গানে গানে বর্ষার আবহ সৃষ্টি করেছিলেন শিল্পীরা।
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজন করেছিল বর্ষার গানের এই আসর। মঞ্চের চারপাশে নানান গাছের ছায়া। সামনে ও পেছনে ছোট-বড় গাছ আর ফুলের টব। মাঝখানে বসেন শিল্পীরা। তাঁদের দুই পাশে যন্ত্রী।
আলোছায়ার খেলার সঙ্গে যেন তবলার বোলে শুরু হলো মেঘের গুরু গুরু। পরপরই সমবেত কণ্ঠের গান ‘ওই আসে ওই অতি ভৈরব হরষে’। এরপর আ ফ ম সাইফুদ্দৌলাহ পাঠ করলেন ‘কাল আষাঢ়স্য’। তারপর আবার গান। একক কণ্ঠে অভীক দেব ‘এ কী গভীর বাণী’ ও মহুয়া মঞ্জরী ‘কখন বাদল ছোঁওয়া’ গাইলেন।
রিআ মাহমুদ পাঠ করলেন ‘এই পুরাতন হূদয় আমার’। ছিল সমবেত গান ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে’। এরপর একে একে অনুপম পাল ‘বজ্রমানিক দিয়ে গাঁথা’, সেমন্তী মঞ্জরী ‘এই শ্রাবণের বুকের মাঝে’, কৃষ্টি হাফিজ ‘কাল সমস্ত রাত্রী’, নাইমা ইসলাম ‘আমি কী গান গাব যে’, অভয়া দত্ত ‘আজ যেমন করে’, সাইফুল্লাহ পারভেজ ‘মনে হল যেন’, শারমিন সাথী ইসলাম ‘আমি শ্রাবণ আকাশে’ গানগুলো গাইলেন। মাঝখানে সমবেত কণ্ঠের পরিবেশনায় ছিল ‘হূদয়ে মন্দ্রিল’, ‘এসো নীপবনে’, ‘এ ভরা বাদর মহা ভাদর’ ও ‘আজি বারি ঝরে’। প্রকৃতিতে বৃষ্টি না এলেও বর্ষার এই গান যেন বৃষ্টি হয়ে ঝরেছিল শ্রোতার শ্রবণে।
ভিজেছিলেন তাঁরা সুরের ধারায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।