রানিং এন্ড রানিং...
এখানে ‘সামসং’ সম্পর্কে চমকপ্রদ এবং অনেকের অজানা কিছু কথা :
১৯৩৮ সালে লি বিয়ং জুল পরিবার যখন ‘দেগু’ শহরে এসে প্রথম ‘সামসং’ এর শুটকি ও সবজির ব্যবসা শুরু করেন তখনকার কোরিয়ার চেহারা দেখলে আঁৎকে উঠবেন নির্ঘাত! মনে হতে পারে ৪০০ বছর আগের আমার ঢাকা ছিল পৃথিবীর আধুনিকতম উন্নত শহরগুলোর একটা। আর ১৯৩৮ এর দেশবিভাগের ক্রান্তিকালে আমরা বাস করছিলাম পৃথিবীর স্বর্গে। ‘সামসং’ এর ‘ইলেকট্রনিক্স’ শাখা এখন পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয়। ২০০৮ এর অর্থনৈতিক মন্দাকালে এই গ্রুপের ১৭৩ বিলিয়ন ডলারের (শুধুমাত্র কোরিয়ার আভ্যন্তরীন) আয় ছিল পৃথিবীর তাবৎ দেশ এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের ‘রেঙ্কিং’ এ ৩৫তম, যা কিনা আর্জেন্টিনার মত দেশের জি ডি পি’র চাইতেও বেশি। একজন ব্যক্তির একক উদ্যোগ কি করে পুরো দেশের অর্থনীতিকে পরিবর্তন করে দিতে পারে তা দেখতে হলে দেখতে হবে ‘সামসং’কে।
অথচ এইতো ১৯৮০ তে ওরা প্রথম সাদাকালো টিভি তৈরী করে যাত্রা শুরু করেছিল ‘ইলেকট্রনিক্স’ এর! এরপর আর পিছন ঘুরে তাকাতে হয় নি। ’৬০/ ’৭০ এর দশকের স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট পার্ক এর বিদেশী পণ্য দেশে ঢুকতে না দেয়ার রক্ষনশীল নীতিমালা নিঃসন্দেহে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে ‘সামসং’কে, একই সাথে দেশের অপরাপর ‘ইন্ডাস্ট্রি’কেও। একক প্রতিষ্ঠান হিসেবের কোরিয়ার সর্বমোট রপ্তানীর ২০ ভাগ হলো ‘সামসং’-এর, এটাও সম্ভবত পৃথিবী শীর্ষ; এমনি করে ‘সামসং’ এর শীর্ষত্বে’র হিসাব দিয়ে আসলে শেষ করা যাবে না। কি নেই ওদের! ‘লাইফ ইন্সুরেন্স’ থেকে শুরু করে ‘শিপিং’, ‘এরোস্পেস’ থেকে ‘এন্টারটেইনমেন্ট’, ‘রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট’! মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার থেকে শুরু করে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা ‘বার্জ খলিফা’ তৈরী করেছে ‘সামসং কন্সট্রাকশন’ই। যাই হোক এ নিয়ে বিস্তারিত অন্য কোনো সময় বলা যাবে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।