সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত। মিথ্যার পতন অবশম্ভাবী।
রোববার বিশ্ব বন্ধু দিবসে একজন বান্ধবীর হাতে রাখিবন্ধন পড়িয়ে দিচ্ছে তার বন্ধু।
আমরা বাঙ্গালী না বাংলাদেশী এ নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ আছে। এই মতভেদ আমাদের সংস্কৃতিতেও দারুন প্রভাব ফেলেছে।
আমরা যদি বাঙ্গালী হই তাহলে আমাদের নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা অথবা নিজস্ব কোন সংস্কৃতি বলতে কিছুই থাকার কথা নয়। এক্ষেত্রে পৃথিবীর সকল বাংলা ভাষাভাষীদের রীতিনীতি, আচার-আচারণই বাঙ্গালী সংস্কৃতি হিসেবে গন্য হতে হবে। উদাহরণ সরূপ বলা যেতে পারে কোন বাংলা ভাষী যদি পশ্চিমা বিশ্বে অবস্থান করেন তাহলে পশ্চিমা বাংলা ভাষীদের সংস্কৃতিও বাঙ্গালী সংস্কৃতি হিসেবে পরিগনিত হবে আবার কলকাতার বাঙ্গালী ভাষাভাষীদের সংস্কৃতিও বাঙ্গালী সংস্কৃতির অর্ন্তভূক্ত হবে। এক্ষেত্রে নিজস্ব কোন সংস্কৃতির কথা চিন্তা করা যায়না। আর যদি আমরা বাংলাদেশী হই তাহলে আমাদের একটি নিদিষ্ট সীমারেখা এবং স্বতন্ত্র একটি সংস্কৃতি থাকবে যা পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তের বাংলা ভাষাভাষীদের চেয়েও ভিন্ন হতে পারে।
রাখিবন্ধন, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জলন ইত্যাদি কলকতার বাঙ্গালী/অবাঙ্গালী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি। এ দেশের হাজার বছরের সংস্কৃতিতে এর কোন স্থান নেই। কারণ সংস্কৃতি বলতে আমরা একটি দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর আচার-আচারণ, রীতিনীতিকে বুঝে থাকি। বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশ তাই এদেশের সংস্কৃতিতে রাখিবন্ধনের কোন স্থান নেই। তবে ইদানিং আমরা এসব সংস্কৃতির দিকে ঝুকে জাচ্ছি।
আমরা কি আজ বুঝে-শুনে এসব সংস্কৃতির অনুসরণ করছি? তবে কোন মহল কি আমাদের হাজার বছরের লালন করা সংস্কৃতিকে উচ্ছেদের ষড়ষন্ত্রে লিপ্ত? আমাদের তরুণ সমাজকে সচেতন হতে হবে। শুধু শুধু দেশপ্রেমিকের বুলি আওড়ালে হবেনা দেশের সংস্কৃতিকেও মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে। তাছাড়া আমরা যারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে ঘোষণা করি তারা কি করে হিন্দু সংস্কৃতিকে অনুসরণ করতে পারি? হ্যাঁ, কেউ যদি হিন্দু ধর্মালম্বী হয়ে থাকেন তাদের অধিকার রয়েছে রাখিবন্ধন, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনের তবে মনে রাখতে হবে এটা বাংলাদেশের মত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জাতীয় সংস্কৃতি নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।