সবকিছু অন্ধকার হতে শুরু , অন্ধকারেই শেষ... ভাঁড় শো মীরাক্কেলে এক বাংলাদেশী জাউড়ার করা কমেডি স্লটটা দেখলাম। দেখার সময় প্রতিটা ডায়লগেই জামিল নামের কুলাঙ্গারটাকে থাবড়াতে মন চাচ্ছিলো। এদের মানসিক দৈন্যতা এতটাই যে দেশের সম্মান কিভাবে রাখতে হয় সেইটাই জানে না, আমার দেশের বাইরে আসার পর প্রথম দিকে কোন এক আড্ডা এর সময়, আমি বাংলাদেশকে নিয়ে কিছু হতাশামূলক কথা বলে ফেলেছিলাম, তো সেই তখন ভারতীয় এক সিনিয়র ব্যাচমেট আমাকে কিছু কথা বলেন, তিনি বলেন তুমি যে তোমার দেশকে নিয়ে এত হতাশা প্রকাশ করলে, তাতে কিন্তু দেশের কিন্তু কোন সাহায্য হলো না, বরং তোমার দেশেরই দুর্নাম হলো, আমরা জানলাম, আমদের থেকে অন্যরা জানবে, এতে তোমার দেশেরই ব্যাড ব্র্যান্ডিং হলো। আমি পরে এই ব্যাপারটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। উপলব্ধি করেছি কথাটার যথার্থতা।
আমাদের দেশে যেকোনও লোকের প্রতিটি নেতিবাচক কর্মকান্ডই সামগ্রিক ভাবে আমাদের দেশের জন্য নেতিবাচক। আজ জামিল নামের এই প্রতিবন্ধীর এই কর্মকান্ডে বাংলার লাভ কি হলো, বরং সামগ্রিক ভাবে আমাদের ক্রিকেটেরই একটা নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং হলো। এমনিতে বিশেষতঃ পশ্চিম বাংলায় অবৈধ অভিবাসী নিয়ে আমাদের নাজুক অবস্থান তাতে, এই ধরনের গাধামীতে আমাদের হাস্যস্পদ হতেই কি হলো না?
"দ্য গ্লোবাল সোস্যাল অ্যাটিটিউডস" নামের এক ভূইফোর সংস্থা বলেছে বিশ্বের সবচেয়ে অসহনশীল দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ, আর সবচেয়ে সহনশীল বর্নবাদের সূতিকাগার ব্রিটেন। আমার ধারণা জরিপে নিশ্চিত কোন গরমিল আছে। না হলে কালকের মীরাক্কেলে এই কর্মকান্ডের পর আমরা মোটামুটি শান্তই আছি।
আমাদের ক্রিকেট নিয়ে হাসি তামাশার পরও আমাদের কোন উচ্চবাচ্য নেই! আমরা সহনশীল জাতি না তো আর কারা? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।