অগণন যাত্রিকের প্রাণ,খুজে মরে অনিবার/পায় নাকো পথের সন্ধান,চরণে জরায়ে গেছে শাসনের কঠিন শৃঙ্খল। ফেসবুকে আমি ঃ www.facebook.com/bhutergolirbasinda
চেন্নাই এক্সপ্রেস নিয়ে চারদিকে অনেক গুঞ্জন শুনে মুভিটা দেখতে বসলাম। পরিচালক রোহিত শেত্তির মুভি বলে ধরেই নিয়েছিলাম অনেক ধ্রুম দ্রাম থাকবে এবং তা ছিলও। কিন্তু বলা যায় অন্যান্য মুভি থেকে তা অনেক রিয়েলিস্টিক ছিল। তবে এই মুভিতে রোহিতের একটা কাজ খুব ভালো লেগেছে আর তা হল স্পট সিলেকশন।
অনেক দারুন সব স্পটে শুট হয়েছে যা মুভিটায় কিছুটা বৈচিত্র্য এনেছে। আমার কাছে সব চেয়ে সুন্দর স্পট লেগেছে; প্রথম যখন রাহুল মিনাকে নিয়ে তাদের গ্রামের স্টেশনে নামে সেই জায়গাটা। মিনা চরিত্রে দীপিকার অভিনয়টা ভালো লেগেছে। সে আসলেই প্রতি ছবিতে তার অভিনয়শৈলীর দারুন প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তবে দিপিকাকে নিয়ে আমি একটু ভয়ে ছিলাম, যেভাবে প্রতি ছবিতে ক্রমেই তার পোশাকের পরিধি কমছিল কিন্তু এবার তার পোশাকনির্বাচন সুন্দর ও সুশ্রী ছিল ।
এই তো গেল ভালো দিকগুলো। তবে পুরো ছবি দেখে আমার কখনই মনে হয় নি এই ছবি এতো ব্যাবসা করবে। এতো ব্যাবসা করার শুধু এক্টাই কারন আর তা হল ‘শাহরুখ’ ব্র্যান্ড। এমন ব্র্যান্ড থাকার পরেও ছবির মধ্যে ট্রেনের ভেতর নোকিয়া মোবাইল নিয়ে শাহরুখের ব্রান্ডিং খুব দৃষ্টিকটু লেগেছে। শাহরুখের সেই একি কিসিমের ডায়লগ, সেই হাত প্রসারন করা, সেম এক্সপ্রেশন এখনো কিভাবে মানুষের ভালো লাগলো তা আমার বোধগম্ম নয়।
বিশেষ করে ছবির শেষে পুরো গ্রামের সামনে দীপিকাকে হাগ করা আমার কাছে কিছুটা অতিরঞ্জিত লেগেছে।
অন্যান্য কুশীলবদের মধ্যে ভিলেনের চরিত্র রুপদাঙ্কারির অভিনয় খুব একটা খারাপ হয় নি। ওভারল বলা যায় ছবিটা হিট হত তবে সুপারডুপার হিট খেতনা যদিনা শাহরুখ-রোহিত ব্র্যান্ড না থাকতো। আমি ছবিটাকে ৫এর মধ্যে ২.৫ দেব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।