আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিষ্যদের ওপর আস্থা নেই ক্রুইফের!

লোডডিক ক্রুইফের উপর আস্থা আছে ফুটবলপ্রেমীদের। অনেকের আশা অন্ধকারে ডুবে থাকা ফুটবল জেগে উঠতে পারে ক্রুইফের মাধ্যমে। আগে অর্থ নিলেও কোচদের ভেতর কেমন জানি গা ছাড়া ভাব ছিল। কোনো রকমে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে নামিয়ে দায়িত্ব শেষ করতেন তারা। এ জন্য অবশ্য ফুটবল ফেডারেশনকে দায়ী করা যায়।

টুর্নামেন্ট যখন দ্বারপ্রান্তে তখন যেনতেন প্রস্তুতিতেই ফুটবলারদের মাঠে নামানো হতো। এ জন্য ফল হতো লজ্জার। ক্রুইফ তার ব্যতিক্রম এনেছেন, ফেডারেশনকে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো ফল পেতে চাইলে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আগে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলেও বাফুফেও এবার ভালো কিছু পেতে চায়। ফুটবলে দৈন্যদশা কাটিয়ে তুলতে হলে এ মুহূর্তে সাফে সাফল্যটা জরুরি।

সে কারণে ক্রুইফ বা তার সহকারী রেনে কোস্টারকে মোটা অঙ্কের বেতন দিয়ে থেমে থাকেনি। তারা যেসব সুযোগ সুবিধা চেয়েছেন তার পুরোটা দিতে কার্পণ্য করছে না ফেডারেশন। বিশেষ করে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এ ব্যাপারে আন্তরিক হওয়াতে ফুটবলে সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি চলছে।

কথা হচ্ছে সব ভালোভাবে চললেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ জ্বলে উঠতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এমনিতেই গ্রুপে তিন শক্তিশালী দল ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানকে মোকাবিলা করতে হবে।

সেক্ষেত্রে শিরোপার আশা করলেও ক্রুইফের শিষ্যরা সেমিফাইনালে যেতে পারবেন কিনা সেই ভয়টা থেকেই যাচ্ছে। কোচ বলছেন তিনি ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী। সেটাই যদি হয় তাহলে শেষের দিকে এসে শিষ্যদের নিয়ে আস্থাহীনতায় ভুগছেন কেন? ঈদের পর বাফুফে একাদশের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে তিনি এমিলিদের ওপর নাখোশ হন। বুধবার আরেক প্রস্তুতি ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে ১-২ গোলে হেরে গেছে তার দল। বাফুফে একাদশের বিপক্ষে খারাপ খেলার পর তিনি তার ক্যাম্পে ডাকেন সেই দলের সজিবকে।

ধানমন্ডির সঙ্গে হারায় দেখা গেল ক্যাম্প থেকে কেস্ট কুমার বোস ও ইয়াসিন আহমেদ চৌধুরী মুন্নাকে ছাঁটাই করে ক্যাম্পে নতুনভাবে ডাকেন মোনায়েম খান রাজুকে। যেখানে চূড়ান্ত দল ঘোষণার সময় এসে গেছে সেখানে কিনা শেষের দিকে এসে নতুনভাবে খেলোয়াড়দের ডাকছেন কেন? নিশ্চয় তিনি শেষ মুহূর্তে এসে আস্থাহীনতায় ভুগছেন। আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে। পূর্ব সিডিউল অনুযায়ী ২৫ আগস্ট দলের নেপাল যাওয়ার কথা। অথচ এখনো তিনি নতুনভাবে খেলোয়াড় পছন্দ বা অপছন্দ করছেন।

তাহলে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবেন কেন? সজীব বা রাজুকে নেওয়ার পর নিশ্চয় তিনি তাদের ভালোভাবে দেখবেন। কথা হচ্ছে এখনো যদি দেখেন তাহলে ফুটবলাররা মাঠে লড়বে কীভাবে? কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে তিনি যদি চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে বাকি সময়টা আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ করাতেন এতে কি ভালো হতো না। পুরো ব্যাপারটি নিয়ে বাফুফেও নাকি এখন বিরক্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় দল অনুশীলন ম্যাচে যে কোনো দলের কাছে হারতেই পারে। তাই বলে একেবারে শেষের দিকে এসে ক্যাম্পে নতুন করে খেলোয়াড় নিতে হবে কেন? তিনি প্রশ্ন তোলেন এত দিন তাহলে ক্রুইফ কি প্রশিক্ষণ করালেন।

তাছাড়া তিনি নিজেইতো অনুশীলন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। এখন যদি কোচ আস্থাহীনতায় ভোগেন তাহলেতো এর প্রভাব খেলোয়াড়দের উপর পড়বে। এমন অবস্থায় টুর্নামেন্টে ছেলেরা কি নিজেদের ঠিকমতো তুলে ধরতে পারবে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।