আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি ও আমার চাকুরী

"হার্টলেছ"

২০০৫ সালের ফ্রেবুয়ারিতে একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পাই কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে। আজও সেই অবস্থায় আছি। মাঝখানে হারাতে হয়েছে আমার সরকারী চাকুরীর বযস। প্রাপ্য এইটুকুই। এখানে যতদিন ইচ্ছা ততদিন চাকুরী করা যাবে কিন্তু অস্থায়ী হিসাবেই।

এই কয়েক বছর বেশ সুনামের সহিত কাজ করে আসছি। সবার কাছেই প্রিয়। বেতন্ও খারাপ না। তাছাড়া স্ব-পরিবারে মাথা গোজার ঠাইও তারা করে দিয়েছে (বেশী দিন হয়ত এই সুযোগটা আর পাওয়া যাবে না)। এরই মাঝে সার্কুলার হল, এপ্লাই করলাম, ইন্টারভিউতে টিকলাম, কন্টাক্ট করলাম কেন্দ্রীয় কর্মচারী ইউনিয়ন নেতাদের সাথে (একটা কথা বলে রাখা ভাল যত ভালই পরীক্ষা দেন না কেন ঘূষ ছাড়া চাকুরী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই), ভাইভা দিলাম (ভাইভা বোর্ড এ পিএসসির একজন প্রতিনিধি ছিল সে আমাকে যে প্রশ্ন করেছিল তা হল- দিনে দিনে আমরা একটি জিনিষ হারাচ্ছি এবং ক্রমাগত ভাবে তা চলছে, জিনিষটা কি? সময়টা ছিল ফখরুদ্দিনে আমল, তাই বুঝতে মোটেই অসুবিধা হলো না উনি কি বুঝাতে চেয়েছেন।

ভালভাবেই উত্তর দিলাম সামাজিক অবক্ষয় ও মূল্যবোধের ব্যাপারে। ভদ্রলোক্ও আমার উত্তরে সন্তুষ্ট হয়েছিল। হায়রে মূল্যবোধ!!)। উল্লেখ্য ভাইভা দেয়ার আগেই নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম দু'লক্ষ টাকা (নিরুপায় হয়ে কারন যে দিন এপ্লাই করার শেষ দিন সেই দিনই আমার সরকারী চাকুরীর বয়স শেষ। তাই যে করেই হোক চাকুরীটা আমার চাই চাই)।

প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে ভাল করেই জানতাম লবিং ছাড়া কোন ক্রমেই চাকুরী হবে না। তো যাই হোক শেষ পর্যন্ত আমার চাকুরিটা আর হলো না (পুরো টাকাটা অবশ্য ফেরৎ পেয়েছি ক্রমাগত ভাবে, এটাও কম ভাগ্যের কথা নয়!!!)। সেই থেকেই মনটা ভিষন খারাপ । চাকুরীতে ঠিক মত মন দিতে পারছি না। এখন আমি ভিষন হতাশাগ্রস্থ ।

প্রিয় পাঠক, আপনাদের এত কথা শুনাতে আমার ইচ্ছা নাই, কিন্তু মনের কথা যে কাউকে বলবো সে রকম বন্ধু বান্ধব ও আমার অনেক অভাব। সে যাই হোক আমি একটা ব্যাপারে আপনাদের মতামত নিতে চাই তা হলো এখন আমি আমার গ্রামের বাড়ীতে ফিরে যেতে চাই। নতুন করে আবার শুরু করতে চাই জীবনটা। আমাদের গ্রামের বাড়ীটা অনেক বড় (পুরাতন দ্বিতল ভবনসহ প্রায় ৬/৭ একর জমি) এবং এটা বরিশাল শহরতলীতে অবস্থিত। বাড়ীতে ছোট বড় ৫টি পুকুর (১ একর, ৪০ শতাংশ, ৩০ শতাংশ, ১৫ শতাংশ ও ১০ শতাংশ) বিদ্যমান।

আমি সেখানে এগ্রো বেজডৃ ব্যবসা শুরু করতে চাই। প্রাথমিক অবস্থায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস চাষ ও লেয়ার মুরগীর খামার (শুরুতেই ২ হাজার লেয়ার), শাক সবজ্বি উৎপাদন ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক আপনাদের গুরুত্বপূর্ন মতামত আশা করছি। পরিশেষ একটা কথা বলি আমার বিবি সাহেব এখন গ্রামে থাকার নামও শুনতে পারে না, ওখানে নাকি বাচ্চার লেখাপড়া হবে না (এই নিয়ে বড় সমস্যায় আছি) অথচ নাগরিক সকল সুবিধাই আমাদের গ্রামে বিদ্যমান (সিরিয়াল দেখার জন্য ডিশ কেবল লাইনও আছে)। আরেকটা কথা মূলধনের ব্যাপার।

কম করে হলেও ২০/২৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। ব্যাংক লোনের চিন্তা করছি। এই ব্যাপারে যদি কেহ পরামর্শ দিতে চান মেইল করুন এই ঠিকানায়ঃ । এতক্ষন ধৈর্য্য ধরে পোষ্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।