সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ আমার হাবিজাবি লেখা পড়ে কারো মেজাজ খারাপ হলে আমি দায়ী নই!!
আজকে পবিত্র শবে বরাত।
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ' যখন অর্ধ শাবানের রাত্রি আসে, তখন তোমরা রাত জেগে ইবাদত কর
এবং পরের দিনটিতে রোজা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মহান
আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে
কী? আমি তাকে ক্ষমা করবো। কোন রিজিকপ্রার্থী আছে কী? আমি তাকে রিজিক দান
...করবো। কোন বিপদগ্রস্ত আছে কী? আমি তাকে বিপদমুক্ত করবো।
আর সুবহে সাদেক পর্যন্ত এ ডাক অব্যাহত থাকে। (ইবনে মাজা)
এ রাতটি একটি ফযীলতপূর্ণ রাত। আল্লাহ এ রাতে বান্দার গুনাহ মাফ করার সুসংবাদ দিয়েছেন। এ রাতে বেশী বেশী করে ইবাদত, ক্ষমা প্রার্থনার কথা বলা হয়েছে। তবে নফলের চেয়ে ফরজের গুরুত্ব অনেক বেশী।
তাই ওয়াক্তের নামাজ ও কোন নামাজ কাযা থাকলে কাযা আদায় করাটাই বেশী জরুরী।
শবে বরাতে কিছু প্রচলিত ভুল প্রথা নিয়েই লিখলাম আজকে।
হালুয়া রুটিঃ
শবে বরাত মানেই হালুয়া রুটি। বিকেল থেকে সব ইবাদত বাদ দিয়ে হালুয়া রুটি বানানোর দৃশ্য প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই দেখা যায়। অথচ এটার কোন ভিত্তি নেই।
হালুয়া তৈরী করতে গিয়ে অনেকে নামায পড়তে পারেন না, আর এটা অনেকটা উৎসবের মতো হয়ে যায়, যার কোন ভিত্তি ইসলামে নেই।
গোসল করাঃ
অনেকে মাগরিবের সময় গোছল করে এবং বলে যে, প্রতি ফোঁটা পানির সাথে একটা একটা করে গুনাহ ঝরে যায়, এটাও ভিত্তিহীন।
কাপড় বানানো, গরু জবাই করা, পটকা ফোটানোঃ
অনেক জায়গায় শবে বরাতে ঈদের মতো নতুন কাপড় বানায়, গরু জবাই করা বিলি করে, পটকা ফোটায়, এগুলো সম্পুর্ণ বিদ'আত। মুলত এত আনুষ্ঠানিকতা সেরে ইবাদত করা হয়না কিছুই, মাঝখান থেকে আরও কিছু গুনাহ সৃষ্টি হয়।
দলবেধে কবর জিয়ারত করাঃ
শবে বরাত উপলক্ষে দল বেঁধে নারী-পুরুষ একসাথে কবর জিয়ারতে যায়, এটাও অনুচিত।
শবে বরাতে নামাজ আদায় করা, কুরআন তেলাওয়াত করা, তসবীহ পাঠ, ইত্যাদি করা, মোট কথা আল্লাহর ইবাদতে সময় কাটানোই উত্তম। তবে ফরয টা অবশ্যই আগে। অনেকে রাত তিনটা চারটা পর্যন্ত নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে ফলে ফজর কাজা হয়। এতে কিন্তু গুনাহ ই বেশী হবে।
সবাই ভালো থাকবেন, আমার জন্য দোয়া চাই।
( অনেক দ্রুত এবং বরাবরের মতো অনেক অগোছালো লেখা,)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।