আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলুন ঘুরে আসি পাহাড়পুরের সোমপুর বৌদ্ধবিহার।

কত আজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট,বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।
নওঁগা জেলার এবং বদলগাছি থানায় অবস্থীত বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ন প্রত্নস্থল সোমপুর বৌদ্ধ বিহার। বিস্তীর্ণ সমভূমি থেকে প্রায় ২৪ মিটার উচুঁ এই প্রাচীন মন্দির। স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম১৮৭৯সালে এই ঢিপি ব্যাপক আকারে খনন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু এ জমির মালিক বলিহারির জমিদার বাধা দেন ফলে তাকে এই ঢিপির খুব সামান্য অংশ খনন করেই খান্ত দিতে হয়। এখন এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে এবং সরকার খুব ভালভাবে এর সংরক্ষনের ব্যাবস্থা করেছে দেখে খুব ভাল লাগলো।

অথচ দশ বছর আগে আমি ওখানে যেয়ে এই বিহারের অপব্যাবহার দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এখন সত্যিকারের অর্থেই তা সংরক্ষিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্দির ছাড়াও বিহারের উন্মুক্ত অঙ্গনে রয়েছে ছোট ছোট ইমারতের ধ্বংসাবশেষ। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ন হল বিভিন্ন আকার ও আয়তনের বেশ কিছু নিবেদন স্তুপ, কেন্দ্রীয় মন্দিরের প্রতিকৃতি, পঞ্চ মন্দির, রন্ধনশালা, ভোজনশালা , পাকা নর্দমা ও কূপ। এছাড়া ছাত্রদের হোস্টেল সেখান পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুবন্দবস্ত সত্যিই অবাক করার মত।

পাহাড়পুরের পোড়ামাটির শিল্পে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত নর নারীর চিত্র সহ রয়েছে সাপ, হরিণ, সিংহ, বাঘ, হাতি, শূকর, বানর শিয়াল, খরগোশ,মাছ, পাতিহাঁস, রাজহাঁস নিজস্ব ভঙ্গীমায় চিত্রিত। গাছের চিত্র খুব কম। শুধু কলা গাছ ও পদ্ম ফুলের ছবিই পাওয়া গেছে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.