আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাজারীকে বরখাস্ত করে আ. লীগ অন্যায় করেছে: গাফফার চৌধুরী

মানুষের সমাজে এক মুহূর্ত বাঁচতে চাই

প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, ‘জয়নাল হাজারী অন্যায় করে থাকলে তাঁকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তাঁকে বরখাস্ত করে আওয়ামী লীগ অন্যায় করেছে। সতীত্বের প্রমাণ দিতে সীতাকে আগুনের ওপর দিয়ে হাঁটতে হয়েছে। জয়নাল হাজারীর বেলায়ও এমনটা হয়েছে। ’ প্রথম আলো ও যুগান্তর পত্রিকার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে গাফফার চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক টিপু সুলতানকে প্রহারের খরব অন্যদিকে প্রবাহিত করে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটকে নীরবে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ফেনীতে আমার এক দুঃসম্পর্কের আত্মীয় আছেন। পরে তাঁর কাছ থেকে জেনেছি যে টিপু সুলতানকে হাজারী প্রহার করেননি। টিপু সুলতানের প্রহারের খবর নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। অথচ ওই পত্রিকাগুলোর সম্পাদকেরা ১/১১-এর পর তাঁদের দুই সাংবাদিককে ডিজিএফআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন। ’ তবে তিনি ওই দুই সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করেননি।

অনেকে বাধা দিলেও আজকের অনুষ্ঠানে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে এ প্রবীণ সাংবাদিক বলেন, ‘জয়নাল হাজারী একজন লেখক। আমি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসেছি। ’ জয়নাল হাজারীর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ জয়নাল হাজারী বলছি -এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ সোমবার প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হয়। বইটি প্রকাশ করে তরফদার প্রকাশনী।

গাফফার চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি স্বাধীনতা পুরস্কার নিতে চাইনি। যে পুরস্কার ছারছিনার পীর ও বঙ্গবন্ধুর খুনি মাহাবুবুল আলম পেয়েছেন সেই পুরস্কার আমি নিতে চাইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এই নিয়ে চিঠি লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা আমাকে বুঝিয়েছেন। ’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সাবেক প্রেস সচিব আমিনুল হক বাদশা, জয়নাল হাজারী, তরফদার প্রকাশনীর প্রকাশক মাহবুবুল আলম প্রমুখ।

জয়নাল হাজারী বলেন, ‘হিটলার দুর্ভাগা। কারণ, তিনি তাঁর কালিমা মোছার জন্য সুযোগ পাননি। আমি সেই সুযোগ পেয়েছি। ’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি মরে যাই, এ বইটাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। আমার বইয়ে ভালো-মন্দ সব দিক আছে।

’ জয়নাল হাজারী বলেন, ‘আমি আমার বইয়ে তুলে ধরেছি সাংবাদিক টিপুকে নিয়ে কীভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার হয়েছে। বাঁধন, তসলিমা নাসরিন ও ফেনীর বিজুসহ অন্যান্য ব্যাপারে বইয়ে আমার অবস্থান তুলে ধরেছি। ’ সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে জয়নাল হাজারী বলেন, ‘আপনি ফেনী দখল করতে গেছেন, আমি ঢাকার মিডিয়াপল্লী দখল করছি। ’ তাঁর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে ভোট দেননি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।