এছাড়াও বৃহস্পতিবারের এ ঝড়ে এ দুই দ্বীপ উপজেলায় অন্তত ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পাশাপাশি উপড়ে পড়েছে দুই সহস্রাধিক গাছ।
চরফ্যাশনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা এবং মনপুরার জন্য ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
চরফ্যাশনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর ই আলম ও মনপুরার ইউএনও আবদুল্লাহ হেল বাকি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চরফ্যাশনের ইউএনও নূর ই আলম জানান, সেখানকার মুজিবনগর চর মানিকা, ঢালচর ও চর কুকরি মুকরিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া মনপুরার কলাতলীর চর ও চর নিজামের মানুষেরা বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে জানান সেখানকার ইউএনও আবদুল্লাহ হেল বাকি।
চরফ্যাশনে সরজমিনে দেখা যায়, সেখানকার আইচা সড়কের উপরে ঝড়ে পড়া গাছ সরিয়ে নিচ্ছে সড়ক বিভাগের লোকজন।
তবে নজরুল নগরের নলুয়া বেড়িবাঁধ সড়কে শত শত গাছ এখনো সরানো হয়নি। ফলে লোকজনের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
এদিকে চরফ্যাশনে গত তিন দিন যাবত বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
চরফ্যাশনের রসুলপুর এলাকার আবদুল গণি (৩৫), চরমানিকার বিধবা নূর চেহারা বেগম (৬৫), চর মানিকারবেড়ি বাঁধের বিবি কুলসুম (৪৫),জাহানার বেগম (৩৫) জানান, তাদের ঘর ঝড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
কিন্তু এখনো তারা কোন সাহায্য পাননি।
চরফ্যাশনের মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, তার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। চাল বরাদ্দ হয়েছে এক টন। কোন টাকা বরাদ্ধ হয়নি।
মনপুরার ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, তার এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এখনো কোন বরাদ্ধ পাননি তিনি।
ঝড়ে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই উপজেলার মানুষ।
ভোলার জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ ফসলের ক্ষতির তালিকা করছে। ২/১ দিনের মধ্যে তা জানা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।