ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
এই ব্লগের কতিপয় ব্লগার বালের আদালতের উপর বিশ্বাস রাখতে রাজী ছিলেন না। আমি বলেছিলাম, আমার দেশ ফিরে এলে আদালতের আদেশেই ফিরে আসবে।
তারা সেটা মানেননি।
তারা বলেছিলেন , বালের আদালতের প্রতি তাদের কোন আস্থা নেই।
এখন কি প্রমাণিত হল না যে, আদালত স্বাধীন? বিচারকগণ নির্ভীক?
দেখুন না আমার দেশের একটি লেখা:
বিশেষ সম্পাদকীয় : আমার দেশ-এর দ্বিতীয় পুনঃপ্রকাশ : ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক রায়ের ফলে আজ থেকে দৈনিক আমার দেশ দ্বিতীয়বারের মতো পুনঃপ্রকাশ হতে শুরু করেছে। এর জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। সরকার ১ জুন আমার দেশ প্রকাশনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে আমার দেশ পাবলিকেশন্সের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ জুন রিট আবেদন গ্রহণ করে আমার দেশ-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং এ পদক্ষেপকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না ৪ সপ্তাহের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য সরকারের প্রতি রুল জারি করেন।
হাইকোর্টের রায়ের পর আমার দেশ-এর পুনঃপ্রকাশ শুরু হয়েছিল ১১ জুন থেকে। কিন্তু এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আপিল করলে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত ঘোষণা করেন এবং আমার দেশ-এর প্রকাশনা আবার বন্ধ হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাতে আমার দেশ-এর দ্বিতীয় পুনঃপ্রকাশ সম্ভব হয়েছে। আইনি লড়াইয়ে আমাদের এ বিজয় আসলে মত প্রকাশের স্বাধীনতারই জয়। আমরা আশা করব, আমার দেশ প্রকাশের পথে আর কোনো মহল থেকে কাঁটা বিছানোর চেষ্টা করা হবে না।
পত্রিকা হিসেবে আমার দেশ সবসময় সংবাদ পরিবেশন ও মন্তব্য প্রকাশকালে কারও প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে বস্তুনিষ্ঠতার অনুসারী থেকেছে। সবার ওপরে জাতীয় স্বার্থ—এটাই হচ্ছে আমার দেশ-এর মূলমন্ত্র। আমাদের দেশ নানা সমস্যায় জর্জরিত। নিখাদ পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমার দেশ এসব সমস্যা তুলে ধরেছে, সমস্যার কারণ অনুসন্ধানে সচেষ্ট থেকেছে, সমস্যা সমাধানের পথ বাতলানোর চেষ্টা করেছে। আমাদের অবস্থান সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে; মিথ্যা, দুর্নীতি ও যাবতীয় অপরাধের বিরুদ্ধে।
এ অবস্থান অব্যাহত রেখে আমরা সত্ সাংবাদিকতাকে ধারণ করে আসছি। আমাদের দৃঢ়তাকে ঔদ্ধত্য বা উগ্রতা বলে ভুল করার কোনো সুযোগ নেই।
আজ সব সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে আমার দেশ আবার প্রকাশিত হচ্ছে। এ আনন্দের দিনে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং প্রাণপুরুষ মাহমুদুর রহমান আমাদের মাঝে নেই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে অচিরেই তাকে কারামুক্ত করা সম্ভব হবে।
আমার দেশ-এর চরম দুর্দিনে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সবাইকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই তাদেরও, যারা মুখটিপে হেসেছেন; কারণ আমরা ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।