~ ভাষা হোক উন্মুক্ত ~
একদা এক ১৬ই জুলাই তারিখের গভীর রাত্রীতে উপরওয়ালার হেড অপিসের বার্থ রেজিষ্টার মহাশয় আড়াইহাজার পাঁচশত বৎসর কর্ম করিবার পরে এগারো সেকেন্ডের লাঞ্চ বিরতিতে যাইবার কালে তার পোষা হনুমানটির পৃষ্ঠদেশে বেত্রাঘাত করিয়া তাহার পাত্থর নির্মিত কম্পিউটারটির কাছে বসাইয়া দিয়া বলিলেন - "ওহে হনু, মুই গেনু। ভুলেও যেনু ধরিসনে কি-বোর্ড"।
বেচারা হনু মার খাইয়া লোভাতু্র দৃষ্টিতে কম্পিউটারের দিকে তাকাইয়াই একখানি লালবাত্তিকে জ্বলিতে আর নিভিতে দেখিতে পাইলো। হনুমান হইলেও সে অশিক্ষিত নয়, তাই সে পাত্থুরে মনিটরের কাছে গিয়া দেখিতে পাইলো যে একখানি পরমা সুন্দরী বান্দর কইন্যা জন্মলাভের আবেদন করিয়া ওয়েটিং লিষ্টের প্রথমে দাঁড়াইয়া "আর্জেন্ট" লিখা বুতাম খানি চাপিতেছে।
হনুমানের লেজ রহিয়াছে বলিয়া তাহার সৌন্দর্য জ্ঞ্যান থাকিবেনা এমনিটি ভাবা উচিৎ নহে।
সে তাহার এক দশমিক সতের গ্রাম ওজনের মস্তিস্ক তোলপাড় করিয়া সিদ্ধান্ত নিলো যে জীবনে অকাজ ছাড়া কোন কাজ তো সে এই যাবত কালে করিতে পারে নাই, তাই এই সুযোগে একটি হইলেও ভালো কাজ সে করিয়া যাইবে। যেই ভাবা সেই কাজ। হনু দ্রুত আঙ্গুলে নব ঘুরাইয়া সে ওয়েটিংরত কইন্যাটিকে বাংলাদেশ নামক সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা কান্ট্রিতে চালান করিয়া দিবার বুতাম চাপিলো।
এগারো সেকেন্ডের লাঞ্চ দশ সেকেন্ডেই শেষ করিয়া বার্থ রেজিষ্টার মহাশয় আপন ডেস্কে ফিরিয়া আসিয়াই দেখিতে পাইলেন কে যেন তাহার ওয়েটিং লিষ্টে দাঁড়াইয়া থাকা লম্বা লাইনটিকে খানিকটা পাতলা করিয়া দিয়াছে। অবাক হইয়া রেকর্ড চেক করিতে গিয়া তিনি সব দেখিতে পাইলেন ও বুঝিলেন যে ইহা হনুরই কাজ।
রাগে অগ্নিশর্মা হইয়া বার্থ রেজিষ্টার মহাশয় হনুকে এক চড় মারিয়া পঞ্চান্ন হাজার পাঁচশত অষ্টাশী বর্গ কিলোমিটার দূরে পাঠাইয়া দিবার প্রাক্কালে বলিলেন - "কইচ্চিস কি? তুই কইচ্চিস কি? আফ্রিকার জঙ্গলের ওরাং ওটাংরে তুই বাংলাধেশে পাটিয়ে দিয়েচিস? একন আমি বচের কাচে কি জবাব দিবাম?"
বার্থ রেজিষ্টার মহাশয় কি-বোর্ডে ঝাপাইয়া পড়িয়া তারাতারি আনডু বুতাম চাপিলেন, কিন্তু তার পাত্থুরে মনিটরে ইরোর ম্যাসেজ আসিল - "ওহে ব্যাক্কল, শুরুতেই তো জানতে চাইছিলাম যে তুমি শুওর ... থুক্কু, শিওর কি না। এখন তো প্রসেস প্রায় শেষ আর মেইন প্রোগ্রামার এই স্ক্রিপ্টে কোন ক্যানসেল বা ব্যাক বাটন রাখেন নাই, সো ... ইউ আর নট পারমিটেড টু আনডু দিস একশন " রাগে দুঃক্ষে বার্থ রেজিষ্টার মহাশয় আপন মস্তক হইতে একটি একটি করিয়া চুল ছিড়িয়া চিবাইতে লাগিলেন।
যাহা হোউক, উক্ত ১৬ই জুলাই রাত্রীতে মানব সম্প্রদায়ের ঘরে এক বানর কইন্যার জন্ম হইলো যে দেখিতে অবিকল নিচের ছবিটির মত ছিল।
ক্রমে সেই বানর কইন্যা বড় হইতে লাগিলো এবং তার ক্ষ্যাতি চারিদিকে দাবানলের মত ছড়াইয়া পড়িতে লাগিলো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সে এলাকায় এতই পপুলার হইয়া উঠিয়াছে যে - এলাকার বাদাম ও চানাচুরওয়ালা তাকে নিয়মিত চাঁদা দিয়া থাকে, অন্যথায় তাহাদের ব্যাবসা লাটে উঠিবে
তো যাহা বলিতেছিলাম আর কি - আজিকে ১৬ই জুলাই সেই বানর কইন্যা আম্বি ওরফে হাস মুরগীর মা, ওরফে মিস বিটুলের শুভ জন্মদিন আসেন আমরা এই আনন্দের দিনে উপরওয়ালার হেড অপিসের বার্থ রেজিষ্টার মহাশইয়ের হুনুমানের সেই সুকর্মটিকে স্বরণ করিয়া সকলে মিলিয়া কিঞ্চিৎ মিষ্টি ও ঝালমুখ করি ও ব্লগার আম্বিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই
অনেক অনেক শুভ জন্মদিন আপুমনি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।