সত্যানুসন্ধিৎসু
বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন, সম্প্রতি রাশিয়ায় ১০ জন পুরুষকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করার দায়ে হরর ফিল্ম ও মাকড়সা (স্পাইডার) সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত জনৈক যুবতি মহিলার বিচার চলছে। অনেকদিন আগে (১৯৭৪-'৭৫ এর দিকে) ঢাকার গুলশানে ঘটেছিল এরূপ আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তিন যুবতী রাতে গাড়ি চালিয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার সময় একা পেয়ে এক যুবককে অপহরণ করে এবং বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাতভর ঘর্ষণ শেষে ভোরবেলা আবার তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে খবরের কাগজে ছাপা হয়েছিল ঘটনাটি।
life.ru নামক একটি রুশ সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইটের উদ্ধুতি দিয়ে mosnews.com-এর খবরে বলা হয়, রাশিয়ার তামবভ সিটিতে বসবাসরত ভ্যালেরিয়া কে. নাম্নী ৩২ বছর বয়স্কা ওই মহিলা দেখতে অত্যন্ত সুন্দরী ও নম্র স্বভাবের হলেও, পুলিশ তার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে তাজ্জব বনে যায়, যে কিনা একজন রহস্যময়ী পুরুষ-ধর্ষণকারিনী, ক্লোনিডাইন নামক অজ্ঞান করার ঔষধ খাইয়ে স্থানীয় অন্তত ১০জন লোককে সে বলাৎকার করেছে।
ভ্যালেরিয়া, যে ইতিমধ্যেই তার আসল নাম পাল্টে স্পাইডারকে ভালবাসার কারণে ‘ব্লাক উইডো’ ছদ্মনাম গ্রহণ করে এবং লোকজনের সাথে মিশে তাদেরকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে ডেকে আনতো। তারপর সে তাদেরকে ক্লোনিডাইনমিশ্রিত পানীয় পান করতে দিতো যা সাথে সাথেই তাদের পরবর্তী ২৪ ঘন্টার জন্য ঘুম পাড়িয়ে রাখতো। অতঃপর, সে তাদেরকে বিবস্ত্র করে পুরুষাঙ্গে শক্ত করে সুতা বেধে উত্থান ঘটিয়ে ধর্ষণ করতো।
ক্লোনিডাইন বিষাক্ততা ও পুরুষাঙ্গের ট্রমাজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে স্থানান্তরিত হবার পর প্রত্যেক ভিকটিমই স্মরণ করতে সক্ষম হয় - বন্ধুবেশে এক সুন্দরী তাদেরকে কিছু পান করতে দিয়েছিল।
যাহোক, স্থানীয় পুলিশ ব্যাপারটা অবগত হবার পর অপরাধীকে খুজে বের করে এবং গ্রেফতার করে।
পুলিশের খাতায় ওই ১০জন ভিকটিমের নাম থাকায় তাদের সবার পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে; তবে তাদের মধ্যে একজন ওই মহিলার নামে অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
“ঘটনাটি অপূর্ব”-একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বলে। “এরকম কামাসক্ত মহিলাই আমার পছন্দ। শুধু চাই সে যেন আমার ওপর ক্লোনিডাইন ব্যবহার না করে। ”
এখন বিচারে ধর্ষক মহিলার কী শাস্তি হয় সেটাই দেখার বিষয়!
প্রিয় ব্লগার, কী বুঝলেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।