অর্থনৈতিক অঙ্গনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালনা করার ল্েয সেগুলোতে সংস্কার সাধন করা মুসলমানের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। বিশেষত এমন এক পুরবেশে যার গোটা অর্থ ব্যবস্থা সুদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে সে পরিবেশে আথিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সূদ বিহীন ভিত্তির উপর পূনর্গঠন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ।
যে সব লোক শরীয়তের মূলনীতি , আদর্শ এবং তার অর্থনৈতিক দর্শন সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিফহাল নন, তারা কখনও কখনও মনে করে থাকেন যে, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সূদমুক্ত করলে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থাকবে না বরং সেগুলো সমাজ সেবামুলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। যার উদ্দেশ্য হবে বিনা লাভে আর্থিক সেবা প্রদান করা।
প্রকৃতপে এ ধারণাটি সম্পূর্ন ভ্রান্ত।
শরীয়তের দৃষ্টিতে সুদবিহীন ঋণ একটি নির্দিষ্ট পরিমন্ডলের জন্য ; ব্যাপক ভাবে ব্যাবসায়িক লেনদেনের জন্য নয়। বরং তা পারস্পারিক সহযোগিতা এবং কল্যানমুখী কর্মকান্ডের জন্য হয়ে থাকে। তবে যেখানে বানিজ্যিক ভিত্তিতে পুজি সরবরাহের প্রশ্ন জড়িত সেখানে ইসলামী শরীয়তের নিজস্ব এক স্বয়ং সম্পুর্ন দিক নির্দেশনা বা নীতিমালা রয়েছে। সেেেত্র ইসলামের মূলনীতি হল , যে ব্যক্তি অপরকে ঋণ প্রদান করছেন তাকে প্রথম সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তিনি কি এ ঋণ দ্বারা শুধু দ্বিতীয় পকে সাহায্য করতে চান, নাকি তার মুনাফায় অংশীদার হতে চান? যদি তিনি এ ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতাকে কেবল সাহায্য করতে চান তাহলে ঋণগ্রহীতা থেকে ঋণের পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত দাবী করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তার মূল পুজি নিরাপদ ও সুরতি থাকবে।
( অর্থাৎ দ্বিতীয় পরে তি বা লোকসান হলেও ঋণদাতার মূলধন ফেরত পাওয়ার অধিকার সংরতি থাকবে। ) কিন্তু মূল পুজির অতিরিক্ত কোন মুনাফার হকদার তিনি হবেন না। ারি তিনি যদি অন্যকে এই উদ্দেশ্যে পুজি সরবরাহ করেন যে, তার ব্যবসায় অর্জিত মূনাফায় অংশ নিবেন এমতাবস্থায় তিনি অর্জিত মূনাফায় পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আনুপাতিক হারে মুনাফা দাবী করতে পারবেন। তবে, এ েেত্র যদি লোকসান হয়ে যায় তাহলে তাকে উক্ত লোকসানের ও দায় বহন করতে হবে।
সুতরাং এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড থেকে সূদের পরিসমাপ্তির অর্থ এই নয় যে, পুজির যোগানদাতা কোন মুনাফা অর্জন করতে পারবে না।
বরং যদি ব্যবসার উদ্দেশ্য পুজির যোগান দেওয়া হয়, তাহলে লাভ-লোকসানে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ ল অর্জিত হতে পারে। এ জন্যই ইসলামী বাণিজ্য আইনের শুরুতেই মুশারাকা এবং মুদারাবা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এমন কিছু ত্রে আছে যে সকল েেত্র কোনভাবেই মুশারাকা এবং মুদারাবা পদ্ধতিতে অর্থায়ন করা যায় না , সে সব েেত্র অর্থায়নের জন্য সমকালীন আলিমগন অন্যান্য কিছু প্রক্রিয়া ও উদ্ভাবন করেছেন, যেগুলো অর্থায়নের ল্েয ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন- মুরাবাহা, ইজারা, সালাম এবং ইসতিসনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।