যে বেসেছে ঝর্ণা ভালো, যে বেসেছে ঝিনুক। তার হাতে আয়ু রেখায় ভীষন রকম অসুখ। ।
ভরামেঘের কানা ধরে উল্টানো কলসি ঠোঁটে
সোনাটিয়া,
তুমি ভালোবাস পৃথিবী-ভোর?
এই যে জলে নুয়ে এসে বেথুনের লতা
দোল খেতে খেতে ঘুমপাড়ায় মাকড়ের ঘরে,
বলে এসে ঘুমচোখে হাওয়া, নিরাময় হও ইনসমোনিয়া,
আমাদের স্বপ্ন স্বপ্ন হাওড় ভরে যায় যে লালশাপলার রঙে
তুমি বাস তার রঙ ভালো?
কাদাজলে খেয়াল মাখা শৈশব গুলে
আমাদের পাঠশালা দূর পথ, পায়ে ঝরাপলাশ থ্যাতঁলে গেলে
আলতা আলতা মেঠোপথ লাজুক গান শোনায় ভিনগাঁয়েবাস কিশোরীর।
গান ভালোবাস? বৈকুন্ঠের ওপারে কারা থাকে, কারা খোলে
তেপান্তর মাঠের সোনাদরজা সংকেতচাবি?
কারা জাগে নাড়া ভিজানো শিশিরের পথে
ফোটাতে পৌষের ফুল?
যে কথা লিখা থাকে বৃক্ষশিকড়ে যে ইতিহাস গুঁজে
থাকে শিলায়; যে বসন্ত উত্তরাধিকারে পায়
ঝরাপাতার বনভূমি, তাকে ধরে রাখি বুকে।
আমাদের এইতো বুকে তুলে রাখা সোহাগ আর
অজস্র অজস্র ভোর ভরা মেঘের পানে চাতকদৃষ্টি মেলা।
এই সব উদ্বৃত্ত বিস্ময়াবলী
পালকে গুঁজে রেখে দূর মেঘে পাখিমন
আড়াল করে উড়ে যাও সশব্দ পাখা মেলে।
ওপারে কে থাকে জ্যোর্তিময়, কে লিখে
শিকড় পত্রবৃন্ত পদচ্ছাপের হিসেব, সে থাকুক একাকী।
আমাদের মেঘের এপারে দৃষ্টি বাঁধা, চোখ মেলে দেখা এই
ভরামেঘ আর উল্টানো কলসি ঠোঁটে সোনাটিয়া।
এত রঙ ভালোবাসি এত জলের কান্না
তাকে বলি বেঁচে থাকা।
।
১৩ জুলাই ২০১০
(ছবিটি ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত
"flight to freedom"
by Fantasy Artist Josephine Wall)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।