কেউ না পড়লে অসুবিধা নাই
3 Idiots - এর চতুর চমৎকারের জায়গায় বলৎকার লাগিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছিল। আর আমি জীম পড়ানোর কোন পরিবর্তন না করে বরং থা যোগ করে বাড়িয়ে “থাপড়ানোর” বানাইলাম। আমি যেহেতু বাড়িয়েছি তাই আমারটা পড়লে বেশি আনন্দ পাবে বন্ধুরা।
গোলটেবিল বৈঠক:
আজ এই আলোচনায় সম্মানিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষন দেওয়া হবে কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানো উচিত। এখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন ছাত্র-ছাত্রীদের থাপড়ানোর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ স্কুল শিক্ষক মোঃ আক্কু মিয়া।
আমি আক্কু মিয়াকে এখন সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর উপর বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
মোঃ আক্কু মিয়ার বক্তব্য:
আমার বক্তব্যের প্রথমেই আমি স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংগালী বাংলাদেশের স্বপ্নদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই আজ আমরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীদের থাপড়ানোর মত একটি মহৎ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। আমাদের শিক্ষক সমাজের এক ও প্রধান কাজ হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে থাপড়ানো। বর্তমানে সরকার ছাত্রছাত্রীদের সঠিকভাবে শিক্ষাদান করার জন্য সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর মত একটি মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
আমি সকল শিক্ষকের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর নিয়ম চালু করার জন্য। এই নিয়ম চালু হলে ছাত্রছাত্রীদের সঠিক জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক ছাত্রছাত্রী প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আগ্রহ না পেয়ে তারা পড়ালেখা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমি মনে করি সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানো গেলে তাদের এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এখন আমি মূল আলোচনায় যাচ্ছি।
প্রথমেই আমাদের বলতে হবে সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোটা আসলে কী? পূর্বের শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু important question মুখস্থ করলেই ছাত্রছাত্রীরা পাশ করত। এতে শিক্ষকদের বেশি থাপড়ানোর সু্যোগ হত না। কারন important question গুলো গণহারে মুখস্থ করলেই ভাল নম্বর পাওয়া সম্ভব। সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর নিয়ম চালু হলে শিক্ষার্থীরা বাড়তি জ্ঞান নিতে বাধ্য। আমাদের দেশে বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষক দূরত্ব অনেক বেশি প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার কারনে।
সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হলে ছাত্র-শিক্ষক দূরত্ব কমবে। শিক্ষকরা তখন ছাত্রছাত্রীদের ভালভাবে বেশী করে থাপড়াইতে পারবে। এতে শিক্ষকদের মন অনেক প্রফুল্ল থাকবে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষকদের একদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর সময় শিক্ষার্থীরা যাতে কোন প্রকারে বিরক্তি প্রকাশ না করে সেদিকে শিক্ষকদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে পারে।
সাধারণত খারাপ ছাত্ররা সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর নিয়ম পছন্দ করবে না। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের খুব আস্তে আস্তে এগুতে হবে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানো গেলে শিক্ষার্থীরা নকল করতে দ্বিধা বোধ করবে।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর নিয়ম বাংলাদেশে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এ পদ্ধতিতে থাপড়ানোর ফলে ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে নতুন সম্পর্কের সূচনা হবে।
ছাত্ররা সমসময় শিক্ষকের পেছনে লেগে থাকবে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর জন্য ছাত্ররা আর প্রাইভেট পড়তে যাবে না। এতে তাদের মূল জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। পরিশেষে আমি এই সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর জয়গান গেয়ে আমার সংক্ষপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। আর বলে যাচ্ছি:
জয় হোক, জয় হোক
সৃজনশীল পদ্ধতিতে থাপড়ানোর জয় হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।