সব কথা বলা যাবে, সত্যটা বলা যাবে না।
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল থেকে: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগ নেতা। ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে উল্লাস প্রকাশ করেছে সে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতা মামলা করলেও তার পুরো পরিবার ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। আসামিরা প্রতিনিয়তই হুমকি দিচ্ছে তাদের হত্যা করার।
এ ঘটনায় পুলিশ আকাশ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা ও সখীপুর থানার এস আই মিজানুর রহমান জানান, সখীপুর পৌর এলাকার কাহারতা গ্রামের ওই মেয়েটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নবম শ্রেণীতে পড়ে। গত ৫ই জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি থেকে সখীপুর বাজারে আসে খাতা কেনার জন্য। বাড়ি ফেরার সময় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ ইতিহাস ওরফে হাবিব, ছাত্রলীগ নেতা আরিফ, সখীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত সিকদারের ভাগ্নে বাবুল ও তার নাতি আকাশ মোটরসাইকেলযোগে সখীপুর হাজিপাড়ায় আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় তাকে। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ ইতিহাস তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় তার সহযোগীরা ধর্ষণের চিত্র ভিডিওতে ধারণ করে। পরে আরেকজন ধর্ষণ করতে গেলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীরা পিছু হটে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে পরের দিন ৬ই জুলাই সখীপুর থানায় হাবিব, আরিফ, বাবুল ও আকাশকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আকাশ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
মামলা দায়েরের পর থেকে তা তুলে নেয়ার জন্য আসামিরা ধর্ষিতার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ মামলার আসামি আকাশকে গ্রেপ্তারের পর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত সিকদার থানায় গিয়ে আসামিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি ও অশোভন আচরণ করেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোজাম্মেল হক বলেন, আসামি ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ রাজিব বলেন, এ ধরনের ঘটনার কথা শুনেছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনা যদি সত্য হয় তবে সাংগঠনিকভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধর্ষিতার ভাই ফারুক আহমেদ বলেন, মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়তই আমাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
সূত্র মানবজমিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।