দৈনিক প্রথম আলো তাদের ১০ জুলাই, ২০১০ ইং-এর সংখ্যার ৫ম পৃষ্ঠায় রাজনীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতি চালু' শিরোনামে পরিবেশিত খবরে বলেছে যে ধুমপান ও রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন করেছেন। এর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর তিন বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরাও রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লেন বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। এটা যে সার্বিকভাবেই অসদুদ্দেশ্যে করা হয়েছে, তার প্রমাণ হলো এটা এমন শিক্ষকেরা করেছেন যারা ছাত্রজীবনে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এরা আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছে কি করে সরকারের ভিতরে থেকে সরকারকে ঘোলাপানি খাওয়ানো যায়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৪৩(৪) নম্বর ধারায় বলা আছে, কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হইতে পারিবেন না।
' এমনকি শিক্ষকেরা চাকুরীর সময় লিখিত চুক্তির মাধ্যমে রাজনীতি করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে কুমিল্লার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আমির আলী চৌধুরী বলেন, এখন বঙ্গবন্ধু পরিষদ হয়েছে। পরে জিয়া পরিষদ হবে। এতে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি বাড়বে। ' প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এখন শিক্ষকরা পড়ানোর দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে নোংরা রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত।
যার ফলে এদের সম্মন আজ তলানিতে এসে ঠেকেছে। এদের অধিকাংশই আজ নৈতিকতা বিবর্জিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কামাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বলা আছে, কোনো শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হতে পারবেন না। তাছাড়া ক্যাম্পাস ধুমপান ও রাজনীতিমুক্ত। এখন শিক্ষকেরা যদি কোনো সংগঠন করে থাকেন, এ ব্যাপারে আমার কথা বলা ঠিক হবে না।
আমি বিষয়টি জেনেছি। ' প্রশ্ন হলো, যে সকল শিক্ষক অঙ্গীকারনামায় সই করে চাকুরী পাওয়ার পর সেই অঙ্গীকারনামাকেই দুরে ছুঁড়ে ফেলে নীতিবহির্ভুত কাজ করে, তাদের ঐ পদে বহাল রাখার কোন যৌক্তিকতা আছে কি? এদের প্রত্যেকের হাতেই ডিসচার্জ লেটার তুলে দেওয়া অতি জরুরী। তাহলেই আগামী দিনের শিক্ষকেরাও এ ধরণের ভুল করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে নোংরা রাজনীতির কলুষতার পাপ থেকে মুক্ত রাখার জন্য অবিলম্বে ঐ সকল শিক্ষকদের ক্যাম্পাস থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।