আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার প্রেমিকেরা নিজেদের পাপের কথা কি ভুলে যাচ্ছ? আজ শপথ নাও, এদের পতাকা স্বাধীন বাংলাদেশে লাগাবোনা----- এই পোস্টের উত্তরে যা বলতে চাচ্ছি। !

ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস

এখান থেকে পোস্ট টি পড়ে আসুন। "বাংলাদেশ কে ভালোবাসি" ব্লগারের মূল কথার সাথে একমত পোষণ করছি। কিন্তু সব কথার সাথে না । খেলা নিয়ে খারাপ তো কিছু তো ঘটছে অবশ্যই। কিন্তু ভালো কিছু ্ও হইছে।

একেবারে সরলীকরণ হয়ে গেল না?? এরা আছে দেখেই তো, চার বছর পর পর তথাকথিত ফুটবল পাগল বাংগালী ফুটবলে শট করার জন্য মাঠে নামে। পাড়ায় পাড়ায় খেলা হয়। যারা খেলোয়াড় তারা তো এতো আক্রমণাত্নক না । ঐ রেসিস্ট আর এক্সট্রিমিস্ট দের আমারো পছন্দ না । এটার সাথে একমত।

বড় কোনো দলের সাপোর্টার হলে সবাই কাইজা করব। যতক্ষণ না দুইজনের ই ক্ষতি হয়। এইটাই বাঙালী সেন্টিমেন্ট। যেটা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে লেখছেন, একই কথা আমাদের দেশের বর্তমান এবং অতীত পলিটিক্স নিয়ে ্ও বলা যায়। ক্ষতি না হ্ওয়া বা ক্ষতি না করে, এরা শান্ত হয় না।

আর পতাকা উড়ানো নিয়ে দোষের কিছু দেখি না যদি , সেটা বিনোদনের উদ্দেশ্যে হয়। এটা যদি আপনার কাছে, অপচয় মনে হয়, তাহলে যারা ১০-১২ হাজার টাকা দিয়ে, হাত ঘড়ি বা ৭-৮ হাজার টাকা দিয়ে পারফিউম কেনে সেটা ্ও অপচয়। তাদের আমরা কিছু বলি না। এদের এক তরফা বলি কেন?? আর যারা এসব করে , তাদের বেশির ভাগ ই মধ্যবিত্ত। বন্যা ক্ষরার কথা বলেন, আর যে কোনো দুর্যোগ বলেন, এরাই সবার আগে সাহায্য করবে।

সো তাদের বিনোদন কে এভাবে এক কথায় বাদ দিতে পারেন না। এদের বিনোদন চার বছর পরের বিশ্বকাপ ফুটবল। এমন একটা খেলা যেটা রিকশা্ওয়ালা থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট পর্যন্ত দেখবে। আর সামান্য বিদ্যুত কই দেখলেন আপনে??? বিদ্যুত ঠিকমতো পাইছেন কতদিন?? ভাংচুর কি সবসময় করে। খেলা হচ্ছে নির্দোষ বিনোদন।

সেটা্ও যদি দেখতে না দেয় , বিদ্যুতের কারণে , তাহলে তো লোকজন ক্ষেপবেই । এমনি বাদ দেন । কিন্তু আপনের সখের জিনিসে কেউ হাত দিলে আপনিও (যদি ব্যতিক্রম না হয়) এইরকম ই করবেন। কম বেশি সবাই করবে। সামর্থ্য আমাদের সবার ই কম বেশি আছে।

দেয়ার মানষিকতা কয় জনের । এমনিতেই আমরা নানান সমস্যায় থাকি। এটা আমাদের জীবনে উন্মাদনা নিয়ে আসে। সারা বছর তো কেউ এগুলা নিয়ে পড়ে থাকবে না। চার বছর পর পর ই এটা হয়।

সব দেশেই কম বেশি এই টাইপের উন্মাদনা থাকবে। তবে শুধু মুখে ভালো ভালো কথা বলে তো আর অপ্রীতিকর ব্যপার ঠেকানো যায় না। কেউ ই তো শুরু করলে আর থামতে চায় না। আর বাস , ট্রেন এ হাতাহাতি প্রতিদিন ই হয় না এগুলো নিয়ে । আপনে কখনেই ৮৫% এর উপর সাকসেস আশা করতে পারেন না তাদের ব্যপারে।

সবাই সব কথা শুনবে না আবার সব খানেই কিছু এক্সট্রিম সাপোর্টার আছে। এরা খারাপ। তবে সবাই খারাপ না । ১১ তারিখের পর সব ঠান্ডা। আমাদের ক্রিকেট দল সব সময় হতাশ করে আমাদের ।

আমাদের ্ও ইচ্ছা করে দেশের বিশাল পতাকা টানিয়ে খেলা দেখি। মিরপুর স্টেডিয়ামে, এবং বগুড়ার শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামে যতবার খেলা দেখছি, দেশের পতাকাই নিয়ে গেছি। সেটা এখনকার বানানো ব্রাজিল আর্জেন্টিনার চেয়ে কোনো অংশে ছোট না । বেশির ভাগ সময় পতাকা গুটিয়ে নিয়ে ফিরতে হয়ছে। এরা আমাদের সাপোর্টিং এর ধরণ টাই নষ্ট করে দিছে।

কত ম্যাচ এভাবে চোখের সামনে হারতে দেখি নিজের দেশ রে। কই তখন তো এইসব কথা শুনি না। তারা সমানে হারে, তারপরে ্ও তাদের কিছু হয় না। দায়িত্ব দেখি না সবার মধ্যে। এভাবে ক্ষোভ জন্মে মানুষের মনে।

আস্তে আস্তে সেটা এক সময় প্রকাশ পায়। আমাদের এখন সেই ক্রান্তিকাল টাই যাচ্ছে। না পেতে পেতে পা্ওয়ার সুযোগ থাকলে সেটা আকড়ে ধরতে চেষ্টা করি্ । না পেলে হতাশ লাগে। ক্ষুধার্তের মতো জিততে চাই।

সেটা যাকে নিয়েই হোক। আমদের দেশে ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে ্ও তো মাঝে মাঝে এমন টা হয়। যদি ্ও এক্সট্রিমিস্ট না খুব বেশি , তবু ্ও তো হয়। নিজের দেশ টা যদি এমন পারত। ক্রিকেট বা ফুটবলে .... হাহাকার লাগে।

কত অনুন্নত দেশ চান্স পায়। আর আমাদের সুযোগ থেকে ্ও পাই না। খুব ইচ্ছে করে বাংলাদেশের বিশাল পতাকা হাতে নিয়ে সারা মাঠে দৌড়াই আর বলি বাধভাঙা আবেগে, বাংলাদেশ জিতছে। কিন্তু এই সুযোগ টা কতবার পাইছি????? হয়ত এরকম পুঞ্জিভূত অনেক না পা্ওয়ার ক্ষোভ, একসাথে ভিড়ে যায়। আমরা হই হিংস্র।

... নিজের দেশ ছাড়া কেউ হারলে বা জিতলে আমাদের কিছুই না। কিন্তু ঐ যে মানষিক শান্তি লাগে। আমরা যাকে পছন্দ করি তাকে জিততে দেখতে পছন্দ করি। অন্যায়ের কি আছে তাতে?? মারামারি কাটাকাটি তো অবশ্যই খারাপ। কিন্তু এটা পুরোপুরি কখনোই বন্ধ করতে পারব না আমরা।

কারণ টা আগেই বলছি। আমরা ক্ষুধার্ত । যদি দেশের জয় দেখতাম ক্রমাগত, এইসব সংঘাত এমনিতেই কমে যেত। মানুষের সহজাত আবেগ কে অস্বীকার করার বিপক্ষে আমি। খারাপ হলে এটলিস্ট এটা বলা এবং বোঝা উচিত কেন তারা খারাপ।

...... ব্লগার কাশিফ ভাই এরপর কিছু বলেছেন । সেটা ্ও এড করে দিলাম। আমি তার কথার সাথে ্ও একমত । সবাই আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল বা অন্য কোন দেশের পতাকা উড়ায় কিন্তু বাংলাদেশের কেনো উড়ায় না?উড়ায় না কারণ কোন সুযোগ পায় না বলে। ১৬ই ডিসেম্বর বা ২১ শে ফেব্রুয়ারী অথবা ২৬শে মার্চ কিন্তু আমরা ঠিকই বাংলাদেশের পতাকা উড়াই।

কারণ আমরা এই জাতির সেই মহান কীর্তি গুলো স্বরণ করি। কিন্তু এগুলো ছাড়া আর কোন কীর্তি কি আছে আমাদের যার কারনে পতাকা উড়ানো যায়?নাকি বলতে চান দূর্নীতিতে প্রথম হবার জন্য পতাকা উড়াবো?নাকি বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে প্রথম রাউন্ডে হারার কারনে পতাকা উড়াবো?নাকি মুসা ইব্রাহীমের বিতর্কিত হিমালয় জয়ের কারনে উড়াবো?দেশকে আপনার থেকে আমি কম ভালোবাসি না। অন্য একটি দেশে পতাকা একটি বিশেষ সময় ও কারণে উড়ানোর এই মানে না যে আমি দেশকে ভালোবাশি না...। আর্জেন্টিনা বা বিশ্ব আমরা কম পরিচিত কেন?কেন তারা আমাদের নাম জানে না?কেন বলে বাংলাদেশ কোথায়?কারন আমাদের বাব-দাদারা এত কষ্ট করে যে দেশ স্বাধীন করে গেছে তার জন্য আমরা নতুনরা কিছুই করি নি। আগর কে বলা লাগে না আমি আগর পুড়লে সবাই চিনে সে আগর।

তেমনি আমাদের কিছু করতে হবে যার কারণে বিশ্ব আমাদের চিনবে। আমেরিকা বা অস্ট্রেলিবা বা অন্য কোন দেশে যখন আমাদের দেশের পতাকা উড়ায় তখন তো আমরা খুশি হই কারণ তারা আমাদের ভালো কোন কাজের জন্য পতাকা উড়িয়েছে। তেমনি আমরাও অন্য কোন দেশের ভালো কোন কাজের জন্য তাদের পতাকা উঠাতে পারি। কিন্তু তার মানে এই না দেশকে ভূলে গেলাম। গোপন রাখতে চেয়েছিলাম তবুও বলি।

২০১১ এর ক্রিকেট বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের জন্য বিশাল এক পতাকা বানিয়েছি। এবার আর্জেন্টিনার পতাকার থেকেও প্রায় দ্বিগুন। কিন্তু আমরা কি পারবো এর সম্মান দিতে?নিজের পতাকের সম্মানের জন্য কি করতে পেরেছে?শুধু কথার ফুলঝুরি। ... শেষে শুধু একটা কথাই।

ফুটবল বিনোদন নিয়ে আসুক। আবার। বারবার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।