আর কেন সম্মেহন-এ পাপ, থাক- ‘বেদনা আমারি থাক’
ফুটবল উন্মাদনা আর উত্তেজনার সঙ্গে আরেকটি নাম মিলেমিশে একাকার আর তা হচ্ছে ভুভুজেলা। বাফানা বাফানাদের দেশের ঐতিহ্য দাবি করা হচ্ছে অদ্ভুতুড়ে এ বাশিটিকে। ফুটবলাররা মাঠে ভুভুজেলার জালায় অতিষ্ঠ হলেও ঐতিহ্যের কথা চিন্তা করে চুপ থেকেছে। সেই ভুভুজেলাই এখন আফ্রিকার সীমানা ছাড়িয়ে এবার ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে। অথচ অনেকে হয়তো জানেনই না ফুটবল মাঠের তৃতীয় শক্তি এ বিষ্ময়কর বাশিটি আসছে চীন থেকে।
১২৮ ডেসিবল শব্দ উৎপাদনকারী এ বাশিটির পক্ষে-বিপক্ষে কথা হচ্ছে অনেক, তবে তাতে ভুভুজেলার বিক্রি কমছে না। বিশ্বকাপ ঘিরে ভুভুজেলার ব্যবসা ভালোই জমিয়েছে চীন। ওদিকে ভুভুজেলার ওপর বিরক্ত দর্শকদের জন্য বিকল্প পন্থা উদ্ভাবন করেছে একটি ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল।
এবারের বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে চীনের পূর্বাঞ্চলের ঝেজিয়াং প্রদেশে জিয়াং কর্পোরেশন নামের একটি প্লাস্টিক কারখানা প্রথম ভুভুজেলা বানানো শুরু করে। এতে শুরুতেই সাফল্যের মুখ দেখে তারা।
বছরের প্রথম চার মাসেই ভুভুজেলার বিক্রি ১০ লাখ পিস ছাড়িয়ে যায়।
জিয়াং কর্পোরেশন নামের ওই কারখানার মহাব্যবস্থাপক উ ইজুন বলেন-‘আরো ৫ লাখ ভুভুজেলা তৈরি হচ্ছে। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই তা বাজারে আনতে হবে; এজন্য পুরোদমে কাজ চলছে ওই কারখানায়’। ইজুন আরো জানান, এ পর্যন্ত তারা ৩৭ রকমের ভুভুজেলা তৈরি করছেন আর এতদিন বিদেশে পাঠালেও এখন দেশের বাজারেও বাড়ছে এর চাহিদা। স্থানীয় বাজারে প্রতিটি ভুভুজেলা বিক্রি হচ্ছে দুই ইউয়ানে, যা ২৯ সেন্টের সমপরিমাণ।
চীনের পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস জানায়-‘দক্ষিণ আফ্রিকায় যত ভুভুজেলা বাজছে, তার ৯০ শতাংশই গেছে চীন থেকে। এবারের বিশ্বকাপে চীন নেই, তাতে কী? চীনের তৈরি ভুভুজেলা তো আছে। আর রমরমা ব্যবসাও তো হচ্ছে’। ইজুন আশা করছেন, ভুভুজেলার কেরামতিতে বছর শেষে তার প্রতিষ্ঠানের আয় দ্বিগুণ হবে। গুয়াংডং প্রদেশের চেংহাই এলাকার প্লাস্টিক কারখানাগুলোতে মূলত খেলনা বানানো হয়।
অথচ বিশ্বকাপে ভুভুজেলার সাফল্য দেখে, এখন তারাও নেমে পড়েছে ভুভুজেলা বানাতে। চাহিদা,বেশি থাকায় রাতদিন কাজ চলছে সেখানে।
কোম্পানিগুলো মনে করছে, বিশ্বকাপ শেষ হলেও ভুভুজেলার চাহিদা ফুরিয়ে যাবে না। বেশ কিছুদিন বাজারে এর ক্রেজ থাকবে। তাই আরো বানাতে হবে ভুভুজেলা।
ভুভুজেলার বিক্রি যতই বাড়ছে, খেলার সময় গ্যালারিতে বনবন শব্দও বাড়ছে। আর তা নিয়ে আপত্তি-বিরক্তি তো শুরু থেকেই চলছে। তবে ফিফার সায় ভুভুজেলাতেই। তাই বলে কানে তুলা গুঁজে তো আর খেলা দেখা যায় না। তবে কী করা? এর একটা সমাধান বের করেছে ফ্রান্সের চ্যানেল প্লাস টিভি।
তারা এক প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু ভুভুজেলার শব্দ আলাদা করতে পেরেছেন। এরপর তা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে টিভিতে খেলা দেখার সময় মাঠের অন্য সব শব্দ শোনা গেলেও ভুভুজেলার শব্দে কান ঝালাপালা হবে না বলে জানিয়েছে ওই টিভি কর্তৃপক্ষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।