বাঙলা কবিতা
ভেদার্থ বর্ণিব তায় শতেক যন্ত্রণা।
অধুনা পণ্ডিতে দেয় ছহি কুমন্ত্রণা । ।
কুমন্ত্রণা দেন যিনি, তিনি আদিগুরু।
বহুপথ এসে পুন শুরু থেকে শুরু ।
।
পদার্থে বিব্রত জ্ঞানী, বহুবিধ মানে।
যথার্থ করিতে শুধু এক মূর্খ জানে । ।
সেই মূর্খ থাকে মহাদৃশ্যের ওপার।
বিস্তারিত চিনি পথ, ভুলি শতবার । ।
না-ভোলা সহজ আর ভোলা তো কঠিন।
সব কিছু ভুলিবার আসিতেছে দিন । ।
দিনে আর রাতে বলো কী আছে প্রভেদ?
এই ভেদ কোথা পাবো? জাগে বড় খেদ । ।
খেদ আর জেদ নিয়ে তবু বেড়ে উঠি।
আমার ভেতরে বাবা, মূর্খ আছে দুটি । ।
দু’জনার এক ধলা, আর এক কালো।
ধলা চায় রাত, ফের, কালো খোঁজে আলো । ।
আলো তো চিনি না সাধু, আলো কী প্রকার?
কে আলো কে অন্ধকার, কাহাতে বিচার ??
বিচার, শুনেছি ভবে, চোষট্টি ধরন।
সংখ্যাবিবেচনা এক আদি-প্রকরণ ।
।
সাকার-আকার কেবা, কেবা নিরাকার?
অধম জানে না আজও নামটি তাহার । ।
নাম আছে, নাম থাকে, নাম নিতে মানা।
জগতে অনন্য রীতি, নামেরি বাহানা ।
।
ভেদকথা বলি তবে, শোনো কাব্যবতী।
বেশুমার দেহলীলা দেবী তবু সতী !!
সতীত্বের গুণে বেশ্যা দেবীর সমান।
রাধার সতীত্ব বটে কৃষ্ণতে প্রমাণ । ।
প্রমাণ, সম্মান আর আছে অভিমান।
সত্য কাঁধে করি আমি সত্যের সন্ধান । ।
সন্ধান কে দেবে তার? কে দেবে ঠিকানা?
জগতে আছেন বটে তিনটি জেনানা । ।
একজন উভচর, দু’জনা খেচর।
তাহাদের খ্যাতি বড়, তারা জাতিস্মর । ।
জাতির পদার্থে করি জাতের বিচার।
কাজেই যথার্থ গুরু, ভেদ-সমাচার ।
।
স্বঘোষিত জ্ঞানী থাকে জ্ঞানের প্রবাসে।
জ্ঞানী বিজ্ঞানীর দম্ভে রহমান হাসে । ।
বর্ণনা তামাম, বলি, ভেদকথা খাঁটি।
জগতে ভেদার্থ জ্ঞান চল্লিশ প্রজাতি । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।