আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রবেশিকা / রহমান হেনরী

বাঙলা কবিতা

ভেদার্থ বর্ণিব তায় শতেক যন্ত্রণা। অধুনা পণ্ডিতে দেয় ছহি কুমন্ত্রণা । । কুমন্ত্রণা দেন যিনি, তিনি আদিগুরু। বহুপথ এসে পুন শুরু থেকে শুরু ।

। পদার্থে বিব্রত জ্ঞানী, বহুবিধ মানে। যথার্থ করিতে শুধু এক মূর্খ জানে । । সেই মূর্খ থাকে মহাদৃশ্যের ওপার।

বিস্তারিত চিনি পথ, ভুলি শতবার । । না-ভোলা সহজ আর ভোলা তো কঠিন। সব কিছু ভুলিবার আসিতেছে দিন । ।

দিনে আর রাতে বলো কী আছে প্রভেদ? এই ভেদ কোথা পাবো? জাগে বড় খেদ । । খেদ আর জেদ নিয়ে তবু বেড়ে উঠি। আমার ভেতরে বাবা, মূর্খ আছে দুটি । ।

দু’জনার এক ধলা, আর এক কালো। ধলা চায় রাত, ফের, কালো খোঁজে আলো । । আলো তো চিনি না সাধু, আলো কী প্রকার? কে আলো কে অন্ধকার, কাহাতে বিচার ?? বিচার, শুনেছি ভবে, চোষট্টি ধরন। সংখ্যাবিবেচনা এক আদি-প্রকরণ ।

। সাকার-আকার কেবা, কেবা নিরাকার? অধম জানে না আজও নামটি তাহার । । নাম আছে, নাম থাকে, নাম নিতে মানা। জগতে অনন্য রীতি, নামেরি বাহানা ।

। ভেদকথা বলি তবে, শোনো কাব্যবতী। বেশুমার দেহলীলা দেবী তবু সতী !! সতীত্বের গুণে বেশ্যা দেবীর সমান। রাধার সতীত্ব বটে কৃষ্ণতে প্রমাণ । ।

প্রমাণ, সম্মান আর আছে অভিমান। সত্য কাঁধে করি আমি সত্যের সন্ধান । । সন্ধান কে দেবে তার? কে দেবে ঠিকানা? জগতে আছেন বটে তিনটি জেনানা । ।

একজন উভচর, দু’জনা খেচর। তাহাদের খ্যাতি বড়, তারা জাতিস্মর । । জাতির পদার্থে করি জাতের বিচার। কাজেই যথার্থ গুরু, ভেদ-সমাচার ।

। স্বঘোষিত জ্ঞানী থাকে জ্ঞানের প্রবাসে। জ্ঞানী বিজ্ঞানীর দম্ভে রহমান হাসে । । বর্ণনা তামাম, বলি, ভেদকথা খাঁটি।

জগতে ভেদার্থ জ্ঞান চল্লিশ প্রজাতি । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।