আমি হিমেল, আমার ব্লগে আপনাকেস্বাগতম।
আজ একটু ভিন্ন রকম ব্লগ লেখা, টাইটেল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ইতালীতে এসেছি প্রায় চার বছর আগামী সেপ্টম্বরের ১৭ তারিখে পুরাপুরি চার বছর হবে। আম্মু আমি ও ছোট দুই ভাই ফ্যামিলী ভিসা মানে family reunification ইতালীয়ান ভাষায় যাকে ricongiungimento familiare বলে সে হিসেবে ইতালীতে আসি।
আব্বু এখানে ছিল আমাদের আসার ও প্রায় ৬ বছর আগে থেকে।
আসার পরপর ই আমরা প্রথমে দুবছরের স্ট্যে পারমিট বা অবস্থানের অনুমতি পাই। ডকুমেন্টে যখন আমার বয়স ১৫ চলছিল, দুবছর পার হবার পর আবার পেরমেচ্ছ দি সোজর্ণ নবায়নের জন্য দিয়েছিলাম তখন আমার পেরমেচ্ছ দি সোজর্ণ নবায়ন করা হতো আব্বুর ডকুমেন্ট দিয়ে। এখানে আসার পর তিনটি বছর ভালই চলেছে, পেরমেচ্ছ দি সোজর্ণ নবায়নের জন্য আমার কোন কিছুর চিন্তা করতে হয়নি। সমস্যায় পরলাম গত ডিসেম্বরের পরে যখন আমার বয়স ১৮ পার হলো।
এখন আমাকে আমার কাজ করে সেই কাজের ডকুমেন্টস দিয়ে পেরমেচ্ছ দি সোজর্ণ নবায়ন করতে হবে।
আমি ইতালীতে আসার পরপর দারুন একটি কাজ পাই আর তা হচ্ছে আব্বু ছোট্ট একটি প্রতিষ্ঠানের কিছু টাইম দেওয়া পাশাপাশি পড়াশুনাও চালিয়ে যাওয়া। আমি যে আব্বুর প্রতিষ্ঠানে কাজ করি তাতে আমার কোন বেতন ও দেওয়া হয়নি আর আমার কাজের জন্য আলাদা কোন ডুকুমেন্টস ও করা হয়নি।
আমার বসয় ১৮ হবার পর আমি একদিন পুলিশ অফিসে যায় আমার পেরমেচ্ছ দি সোজর্ণ নবায়নের তথ্য জানার জন্য। গত দিন বছরে বিভিন্ন কারনে থানা বা পুলিশ অফিসে যাতায়াত করতে হয় সেই সুবাদে দুজন পুলিশের সাথে ভাল পরিচয় হয়। তাদের একজন আমাকে পরামর্শ দিল যে আমি তো এখানে পড়াশুনা করছি তাহলে আমি ছাত্র হিসেবে পেরমেচ্ছ দি সোজর্ণ নবায়ন করতে পারি।
তার পরামর্শ অনুযায়ী পাসপোর্টের ফটোকপি ও আমার কলেজ থেকে উপস্থিতি সার্টিফিকেট তুলে পোষ্ট অফিস থেকে ফরম তুলে তিন মাস আগে নবায়নের জন্য আবেদন করেছিলাম গত মাসে একবার ডেকেছিল ভিঙ্গার স্ক্যনিং এর জন্য আজ হাতে পেলাম নিচের ছবির মতো একটি কার্ড।
যা আমি আগেও পেয়েছিলাম কিন্তু সেখানে পেরমেচ্ছ দি সোজর্ণ দেবার কারনের জায়গায় লিখা ছিল আমি ফ্যামিলির সাথে আছি তাই আর আজ যেটা উঠালাম তাতে লেখা আমি ছাত্র।
আজাইরা পেচাল : হাতে টাইম থাকলে হিমেলের ছোট্ট ঘর থেকে একটু ঘুরে আসবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।