গতকাল ছিল বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিন। অনেকে এই দিনটিকে চৈত্র সংক্রান্তি বলে থাকে । কারন বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের এই দিনটিকে চৈত্র সংক্রান্তি বলে। ঠিক বার টা ১ মিনিট থেকে শুরু হয়ে গেছে লাল-সাদার মেলা। ১৪১৯ সালকে বিদায় দিয়ে আমরা মাটির সানকিতে করে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ, আলু ভর্তা, শুটকি ভর্তা, কাঁচা মরিচ এবং ডুগি-তবলা, একতারা ও ঢোলের বাজনা বাজিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছি ১৪২০ সালকে।
এই দিনটি আসলে অন্তত একবারের জন্য মনের মধ্যে উদয় দেয় যে আমরা খাঁটি বাংগালী। নতুন বছরটি অনেকে অনেক ভাবে মনের মাধুর্য দিয়ে উদযাপন করে থাকে। বাঙ্গালী মেয়েরা হাতে কাঁচের চুরি ও সাদা শাড়ী লাল পার পড়ে রমনা বটমূল এ যায়, আবার অনেকে যায় নাগরদোলায় চর্কি ঘুরানো দেখতে। ছোট ছোট শিশুরা বিভিন্ন রঙ এ আঁকা মুখোশ পরে আনন্দ করতে যায় শিশু পার্ক ও চিরিয়াখানায়। এই দিনে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য পন্যে নিয়ে বিভিন্ন মেলায় ভীড় থাকে হাজার হাজার মানুষের।
যে কোন বয়সের নারী পুরুষ সমস্ত ধর্ম ও বর্ণ ভুলে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দিনটিকে একাত্ব ভাবে উদযাপন করে থাকে। নববর্ষের এই দিনে আমরা অবশ্যই আশে পাশের গরীব-দুঃখীদের অংশীদারী করে সকল ভেদাভেদ ভুলে উদযাপন করবো তাহলেই না পাবো সার্থকতা। মেলায় যায়রে, মেলায় যায়রে এই সুর বন্ধনে উদযাপন করুন সবাই শুভ নববর্ষ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।