কলকাতা, ২১শে জুন, ২০১০
১৯৭৭ সালের ২১শে জুন এরাজ্যের ব্যা পক সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের রায়ে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার গঠিত হয়েছিল। জনসমর্থনের সেই ধারাবাহিকতায় আজ এই সরকারের ৩৩ বছর পূর্তি হচ্ছে। সেই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণটিকে মনে রেখে বর্তমান প্রেক্ষিতে এই সরকারের কাজের অভিমুখ, অগ্রাধিকার ও সামনে যে চ্যালেঞ্জ, তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, ‘গণশক্তি’-র সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন অজয় দাশগুপ্ত। সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গত ৩৩ বছরে এরাজ্যে মানুষ এগিয়েছেন সামনের দিকেই।
বামফ্রন্ট যে কর্মসূচী রূপায়ণ করেছে, বর্তমানে যে কর্মসূচী নিয়ে চলছে, তার বিকল্প কর্মসূচী কী? বিরোধীরা যে ‘পরিবর্তন’-এর কথা বলছেন, সেটা এই রাজ্যকে পিছিয়ে দেবে। নৈরাজ্য দিয়ে কখনো পরিবর্তন হয় না। ওদের ‘পরিবর্তন’-এ শুধু অর্থনীতিতেই নয়, মানুষের জীবনেও বিপদ নেমে আসবে। আমরা আলোর দিকে যেতে চাই, অন্ধকারে নয়।
প্রশ্ন: ১৯৭৭ সাল থেকে প্রায় প্রতি বছর একটা করে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে এবং প্রতিবারই বামফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন পেতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচন থেকে বামফ্রন্ট ক্রমাগত সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। কেন এমন অবস্থার উদ্ভব হলো, আপনি কিভাবে এই পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করছেন?
ভট্টাচার্য: সাতাত্তর সাল থেকে পর পর সাতবার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের রায় আমরা পেয়েছি। গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ছিল এর ব্যাতিক্রম। তার পরবর্তী নির্বাচনগুলিতেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের পর আমরা এই ফলাফলের প্রাথমিক কিছু মূল্যাণয়ন করেছি।
আমাদের সরকারী পরিকল্পনা, কাজকর্মের মধ্যে কোথায় ভুল আছে, তা আমরা চিহ্নিত করেছি। যেমন জমি অধিগ্রহণের প্রশ্ন। আমাদের এখন সতর্ক। উর্বর জমিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। অনুর্বর জমিতে শিল্পায়নের দিকে আমাদের যেতে হবে।
শিল্পের জন্য যে জমি নেওয়া হবে, তার দাম নির্ধারণ ও পুনর্বাসনের কাজে আমাদের আরো আন্তরিক হতে হবে। সরকার ও পঞ্চায়েতের কাজকর্মের মধ্যে কোথাও গরিব মানুষ অবহেলিত হয়ে থাকলে, সেই ভুল আমাদের সংশোধন করতেই হবে। সংখ্যালঘু মানুষের উন্নয়নের প্রশ্নেও একইভাবে আরো আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন: কিন্তু সরকারের কাজ ছাড়াও এর একটা রাজনৈতিক-সাংগঠনিক দিকও তো আছে....
ভট্টাচার্য: হ্যাঁ , পার্টি সংগঠনের ক্ষেত্রেও আমরা কিছু দিক চিহ্নিত করেছি। আমরা লক্ষ্য করেছি কিছু অবাঞ্ছিত কাজকর্ম কোথাও কোথাও দেখা গেছে, যার ফলে পার্টির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
এগুলি দ্রুততার সঙ্গে সংশোধন করা প্রয়োজন। সেবিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের জনভিত্তি তৈরি হওয়ার পিছনে কৃষকদের নিয়ে জমির আন্দোলনের একটা বড় ভূমিকা। কিন্তু সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের ঘটনার পর শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে সেই কৃষকদের একটা অংশের সমর্থন বামফ্রন্ট থেকে সরে গেছে বলে নির্বাচনী ফলাফল দেখে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?
ভট্টাচার্য: শ্রমিক-কর্মচারী, শিক্ষক, ছাত্র-যুব-মহিলাসহ সমাজের অন্যাান্য অংশের সঙ্গে ধারাবাহিক কৃষক আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই এরাজ্যে বামফ্রন্টের জন্ম।
জমির লড়াই, বর্গার লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই বামফ্রন্ট এগিয়েছে, কংগ্রেস আমলে কৃষকরা উপেক্ষিত হয়েছেন। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে কৃষকরা মর্যাদা পেয়েছেন। ভূমি সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এই সময়ে ১১ লক্ষ একর জমি গরিব ও প্রান্তিক কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বর্গা রেকর্ড হয়েছে ১৫ লক্ষের বেশি বর্গাদারের নামে। কৃষকদের বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠ অংশ বামফ্রন্টেরই সমর্থক।
সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের ঘটনার একটি দিক হলো, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। কিন্তু একাংশের কৃষক ও সাধারণ মানুষ সেটা গ্রহণ করেননি। তাঁদের কাছে শিল্পের জন্য জমি চলে যাচ্ছে এই আশঙ্কাটাই প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু তার বিকল্পটা কী তা দেখেননি। তাই এখন আমরা সতর্ক হয়েছি। শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনের নীতিকে আমাদের আরো বাস্তবসম্মত করতে হবে, যাতে কৃষক ও সাধারণ মানুষ সেটা গ্রহণ করেন এবং স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন: মাওবাদী উগ্রপন্থীদের আক্রমণে রাজ্যের জঙ্গলমহলে প্রতিদিনই খুন হচ্ছেন গরিব সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থক। মাওবাদীদের সঙ্গে সরকারবিরোধীদের অনেকে যোগাযোগ রেখে চলছে। সেই প্রেক্ষিতে মাওবাদী সমস্যার কতটা রাজনৈতিক?
ভট্টাচার্য: জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সন্ত্রাস ও হত্যা অভিযান একটা বড় সমস্যাই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে সংগ্রাম চালাচ্ছি। কিন্তু জটিলতা হলো প্রধান বিরোধী দল, কিছু সংগঠন ও ব্যক্তি মাওবাদীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করে চলেছে।
এরফলে সমস্যাছটি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। অবশ্যই এটি রাজনৈতিক সমস্যাছ। এবং আমাদের রাজনৈতিকভাবেই একে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রশ্ন: এই সমস্যার একটা সর্বভারতীয় প্রেক্ষিতও তো আছে?
ভট্টাচার্য: হ্যাঁ , সমস্যাটিকে সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটেও দেখতে হবে। ৭-৮টি রাজ্যে মাওবাদীরা সক্রিয়।
যেহেতু তারা গরিব অঞ্চল ও দূর্গম এলাকা বেছে নিয়েছে, তাই তাদের বিচ্ছিন্ন করার জন্য আর্থ-সামাজিক কর্মসূচীও নিতে হবে। অন্যদিকে, পুলিশ প্রশাসনকে সক্রিয় করার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিকভাবেও এদের মোকাবিলা করতে হবে।
প্রশ্ন: কিন্তু কতদিন ধরে মাওবাদীদের হাতে এভাবে নিরীহ মানুষ খুন হতে থাকবে?
ভট্টাচার্য: আমরা সবদিক থেকে চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু এটা দীর্ঘস্থায়ী লড়াই। এর কোনও সহজ সমাধান নেই।
প্রশ্ন: গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশে সরকারের কাজে যেভাবে বাধা আসছে, তাতে সরকার কতটা কাজ করতে পারছে?
ভট্টাচার্য: এটা ঠিক যে গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে সরকারের বহু প্রকল্প রূপায়ণে বাধা আসছে। যেমন নয়াচরে পেট্রোকেমিক্যালস, কাটোয়ায় বিদ্যুৎপ্রকল্প, ৩৪নং জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ, রাজারহাট উপনগরীর বিদ্যুতায়ন প্রভৃতি। কিন্তু সরকারের সমস্ত কাজকে আটকে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। এই সময়ের মধ্যে কৃষিতে আমরা এগিয়েছি, ফসল উৎপাদন বেড়েছে। ধান সংগ্রহের কাজ ভালোভাবে সফল হয়েছে।
শিল্পে বিনিয়োগও আসছে। গত এক বছরে আমাদের রাজ্যে ৭হাজার কোটি টাকার বেশি শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগ হয়েছে। ছোট শিল্পের ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। স্কুল-কলেজের সংখ্যাঁও বেড়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজও হয়েছে।
প্রেসিডেন্সি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়েছে। সিধো-কানহু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ অল্প সময়ের মধ্যেই শুরু হবে। এরকম বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা কাজ করে চলেছি।
প্রশ্ন: কিন্তু বিরোধীদের পক্ষ থেকে বাধাও তো আসছে?
ভট্টাচার্য: হ্যাঁ , বাধা আসছে। কিন্তু বিরোধীদের উচিত ছিল উন্নয়নমূলক কাজে সরকারকে সহযোগিতা করা।
তারা যদি শুধু বাধাই সৃষ্টি করেন, তাতে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। আমরা আমাদের কাজ করে যাবো।
প্রশ্ন: সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের চার বছর সময়কালকে আপনি কিভাবে দেখছেন? ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ’-এর যে স্লোগান দিয়ে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন অর্জন করে এই সরকার গঠিত হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে সরকার কতটা সাফল্য পেয়েছে?
ভট্টাচার্য: ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ’-কথাটা নিছক একটা স্লোগান নয়। উন্নয়নের প্রশ্নে এটি একটি সুচিন্তিত সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। গরিব, ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে জমি বিলি, বর্গা রেকর্ড এবং পঞ্চায়েতী ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষির যে ব্যাপক সাফল্য আমরা অর্জন করেছি, তাকে ধরে শিল্পের উন্নয়নে আমরা যদি এগিয়ে যেতে না পারি, তবে পরবর্তী আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
সাধারণভাবে এর প্রয়োজনীয়তা সকলেই বোঝেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে যে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে বের হয়ে আসছে, সেই শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের সামনে একমাত্র ভবিষ্যৎ এটাই। এটাই পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাপে উঠতে রাজ্যের কাছে অনিবার্য শর্ত। অনেক বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আমরা কাজটা শুরু করতে পেরেছি, একথা বলতে পারি।
প্রশ্ন: এই মূহুর্তে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় কী কী কাজ রয়েছে?
ভট্টাচার্য: এখন আমাদের অগ্রাধিকার রয়েছে ভূমি সংস্কারের ভিত্তিতে কৃষির যে সাফল্য এসেছে, তাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে।
শিল্পায়নের গতিকে আমাদের ত্বরান্বিত করতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে মানবোন্নয়নের লক্ষ্যে অর্জিত সাফল্যকে আমরা আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। সবচেয়ে বেশি আমরা অগ্রধিকার দিয়ে দিয়েছি অনগ্রসর অংশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে। তফশিলী জাতি, আদিবাসী ও সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের আরো ওপরে তুলে নিয়ে আসতেই হবে।
প্রশ্ন: গত শনিবারই তো আপনারা মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করলেন।
সেখান থেকে কোন্ কোন্ কাজের ওপর জোর দেওয়া হলো?
ভট্টাচার্য: সামনের দিনগুলিতে আমরা জমি বিলি, বিশেষ করে শহরে ও গ্রামে গরিব ভূমিহীনদের মধ্যে বাস্তুজমি বন্টনের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করার ওপর জোর দিয়েছি। জোর দিয়েছি কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর প্রশ্নে। বিশেষ করে তফশিলী জাতি, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা যেকটি কর্মসূচী নিয়েছি, সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে রূপায়িত করতে।
প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার গত ৩৩ বছরে রাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রায় যে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে ‘পরিবর্তন’-এর স্লোগানকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
ভট্টাচার্য: আমরা যে কর্মসূচী নিয়ে চলেছি, আমরা যে কাজ রূপায়ণ করেছি, তার পরিবর্তন মানে কি? কৃষকের হাতে যে জমি এসেছে, তা ফিরিয়ে দিতে হবে জোতদার-জমিদারদের হাতে? শিল্পের জন্য যে বিনিয়োগ এসেছে, তা ফিরিয়ে দিতে হবে? ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের পথে গড়ে উঠেছে পঞ্চায়েত ও পৌরব্যবস্থা। সেগুলিকে তুলে দিতে হবে? শিক্ষার প্রসার ঘটেছে, সর্বস্তরে।
সেগুলিকে গুটিয়ে আনতে হবে? গত ৩৩ বছরে এরাজ্যের মানুষ এগিয়েছেন সামনের দিকেই। বামফ্রন্টের বর্তমান কর্মসূচীর বিকল্প কর্মসূচীটা কী? নৈরাজ্য দিয়ে কখনো পরিবর্তন হয় না। বিরোধীরা যে ‘পরিবর্তন’-এর কথা বলছেন, সেটা এই রাজ্যকে পিছিয়ে দেবে। শুধু অর্থনীতিতেই নয়, মানুষের জীবনে বিপদ নেমে আসবে। কর্মসূচীহীন নৈরাজ্য কি ‘পরিবর্তন’? আমরা আলোর দিকে যেতে চাই, অন্ধকারে নয়।
প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার প্রকৃত বামপন্থার পথে চলছে না বলে কোনো কোনো মহল থেকে অভিযোগ উঠছে। এই প্রসঙ্গে আপনার বক্তব্য কী?
ভট্টাচার্য: ‘অতি-বামপন্থী’-দের পক্ষ থেকে এই আক্রমণ আগেও এসেছে। এই সরকারের যে ভূমিনীতি বা কৃষিনীতি, তার বিকল্প বামপন্থা কী? কর্মসংস্থান সবচেয়ে জরুরী প্রশ্ন। তার জন্য আমাদের শিল্প গড়তে হবে। শিল্পায়নের জন্য পুঁজি চাই।
ওঁরা বলছেন, পুঁজির প্রয়োজন নেই। তাহলে কি শিল্পায়নও হবে না? না কি শুধু সরকারী উদ্যোগে শিল্প হবে? যা বাস্তবে সম্ভব না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাকণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁরা সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু তথাকথিত ‘বামপন্থী’ কর্মসূচী তুলে ধরছেন না। এরাজ্যে গণতান্ত্রিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত। মাওবাদীরা ও তাদের সমর্থকরা এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে এবং নিরীহ মানুষদের খুন করছে।
তাদের সম্পর্কে তাঁরা নীরব কেন?
প্রকাশিত: গণশক্তি, ২১শে জুন, ২০১০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।