লেখক/কবি
সেই সব আত্মপ্রবঞ্চকের সাথে ঘুরে ঘুরে
তাদের কথার খেই খুঁজতে গিয়ে
আমিও ভুলে গেছি ভেবে নিতে চশমার রং
কবে যেন ধেয়ে গেল আগুন মুখ শকুনগুলো
জোড়া পাহাড়ের গায়-
অতঃপর সেখানে ধাতব স্যান্ডউইচের মাঝে পড়ে ছিল মানুষের রোস্ট
আর দাম্ভিকেরা পাশেই দাঁড়িয়ে বলেছিল
দেরি নেই মানবতার দেখবি কবর- কেননা
আশপাশেই লুকানো ছিল হননের অগণিত আশ্চার্য ডিম
আহারে ধোঁয়ার গন্ধে মাতালের দল ছুটছে দিগ্বিদিক
অতি উৎসাহীরা আলোগুলো লেপটে নিয়ে দেখিয়ে দিল সবাইকে
যেখানে গ্যাস সিলিন্ডার পকেটে পুরে ট্যাবলেটখোর
জ্ঞানীর চা অন্নের ধোঁয়ায় তোলে
সজ্ঞানে চলে যাওয়া পরবাসের গল্প
সস্ত্রীক নয় তবে সন্ধ্যার পর ভর করে ক্লানি- ভীষণ
ভাবছিল সীমারেখা টানবে কি করে এমন জটিলতার খুব
সহজ করে
মাইলস্টোন গুনতে ভুলে যাওয়া শিষ্ট ছেলের দল ফুটো প্লেট হাতে
ছুটে আসে কিসের টানে : আঙ্গিকের জুয়াখেলা হচ্ছে যখন
এখানে সেখানে
হয়তোবা দেখবে কেউ ঈশ্বরের জ্যোতি
তবুও তো আত্মা বেঁচে কেউ কেউ রয়ে গেছে সতি
এমন মাত্রায় সাজানো জগৎ : কেতাগুলো সব অসম্পূর্ণ
ছাঁচে মনে হয়
কবিতাকে তাই মাপবো কি দিয়ে কোন ধাঁচে
যদিও অনেক সিঁড়ি ভেঙেছি বহুদূর হেঁটে এসে
তারপরও কেউ কেউ ভাবে নর্দমা থেকে
কি করে উঠে আসতে পারে এখানে কেউ :
(এমন তো নয় যেন স্বর্গ ভুবন)
এভাবে শ্যাওলা খেলে কতদিন ঠেকানো যাবে অমঙ্গল
না হয় বুদ্ধের ধ্যান ভেঙে দিতে
বেশ্যাপাড়ার শান- মেয়ের চুনকালি নিয়ে খেলা
আর সঙ্গী সমেত আড্ডার ঢং
উপোস দ্রাক্ষারসেও তুমি এমন মন'র
কেবলই দেখলে আর কেবলই শুনলে
অপ্রস'ত হয়ে হাতে, মুখে, চুলে জল ছিটবার তরে
চলে গ্যালে- তোমাকে তো বুঝবে না কোন নেল-পলিশ
অথবা নখ
এ বিশ্ব সংসারে শিখেছে সব ভুল বুঝতে
বাকি সব শেয়ালের দল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।