চট্টগ্রামবাসীকে সম্মান দেখিয়ে হরতাল প্রত্যাহার করুন
শওগাত আলী সাগর
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে পত্রিকায় যেমন, ব্লগেও তেমন বিশ্লেষন হচ্ছে। গুরুগম্ভীর এই বিশ্লেষনগুলো থেকে একটা সহজ উপসংহারে পৌঁছা যায়। অধিকাংশ মানুষই মনে করছেন চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচনে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো প্রতাপশালী ব্যক্তিকে কূপোকাত করে দিয়ে জনগন সরকারকে আসলে একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছে। অনেকেই অবশ্য খোলামেলাই বলেছেন,জনগন সরকারকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছে।
সবকটি বিশ্লেষনের সঙ্গেই আমি একমত পোষন করি।
সরকারকে একটি সতর্কতা বার্তা দেওয়া হয়েছে এই নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে। সরকার তা থেকে শিক্ষা নেবে কী না সেটি অবশ্য তাদের ব্যাপার। তবে আমরা চাইবো সরকার জনগনের রায় গভীরভাবে অনুধাবন করবেন।
জনগন কিন্তু প্রধান বিরোধীদলকেও একটি বার্তা দিয়েছে। সেই বার্তাটা কি? বার্তাটি স্পষ্ট, সরকারের বিকল্প শক্তি হিসেবে বিরোধী দলকে জনগন মনে রাখছে এবং সরকারের প্রতি যে কোনো ধরনের ক্ষোভটা তাদের জন্যে সমর্থন হয়ে যাচ্ছে।
বিরোধী দলের দায়িত্বশীল আচরন, যথাযথ কর্তব্য পালন জনগনকে আশ্বস্থ করে, তাদের সমর্থনটা বিরোধীদলের দিকে নিয়ে যায়। যেমনটি হয়েছে চট্টগ্রামের নির্বাচনে।
সরকারকে শিক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায়ে বেগম খালেদা জিয়া একটি হরতাল ডেকেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই হরতালের বিপক্ষে। আওয়ামী লীগ যখন হরতাল ডেকেছে তখনো তার বিরুদ্ধে কথা বলেছি।
এখনও বলছি। তবে এই মুহুর্তে প্রেক্ষাপটটা অনেকখানি ভিন্নতর। চট্টগ্রামের নির্বাচনে বিজয়মাল্য গলায় পড়ার পর বিরোধী বিএনপিকে সবকিছুই নতুন করে ভাবতে হবে। জনগন অন্তত সেই ধরনের প্রত্যাশাই করে।
চট্টগ্রামে জনগন বিএনপিকে যা দিয়েছে, তার প্রতিদান দেওয়া বিএনপির পক্ষে কঠিন।
আমার প্রস্তাব ,চট্টগ্রামের নির্বাচনে জনগনের যে ম্যাণ্ডেট দিয়েছে, তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিএনপি তাদের আসন্ন হরতালটাকে প্রত্যাহার করে নিক। বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করবো ,এইবারের হরতালটা অন্তত প্রত্যাহার করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।