সমস্ত আকাশ থেকে রাত্রি আর বৃষ্টি ঝরে পড়ে
দেখতে পাও? ছাই চড়ুই এর সৌহার্দ্য,
রাতবিরেতে স্পন্দমান বুকের গভীরে
এখনও ঘুরতে যাও?
ঐ বাজনার ধুন
নিমজ্জিত সূর্যের মত
নদীময় সন্ধ্যা শরীরে রয়ে গেছে
আমি সেই জলাভূমির সহবাসী
তক্ষশীলার কারিগর
বর্ষার জলময় ব্যস্ত সময়ে আমি
রাতবিরেতের শ্রুতলিপি লিখে রেখেছি
মুছে ফেলেছি তনুর তেজাব
মার্জনা করে গেছি
সব অপরাধ।
এখন বৃষ্টির এই বন
আমার স্বরাজ।
রূপোর জলে লিখে রাখি
অদৃষ্টময় যমুনা সোয়াশ;
মুঠোবন্দী করে ফেলি
স্বপ্নবিমুখ শাদা স্বপ্নসারস
চুমুকে সাবড়ে দেই
গোধূলির রূপ গন্ধ রস
মুক্তাশুক্তি ভাঙ্গি -
এ আমার ক্ষত্রিয় সাহস
একটা চোখের কুঁড়ি ফুটিয়ে তুলতে
সশ্রম দিনের আলোয়
অথবা রাতনীলনির্জনে
তক্ষশীলার মত অহর্নিশ
গড়েছি সেই কিংবদন্তীর নগর
কত সাদর অপেক্ষা !
মেঘরাত কেটে কেটে
স্বপ্নাদ্য সোনার মাদুর, তারপর
তারার ওপর ক্রমশ জেগে ওঠা ভূপালী ভোর
চুলের প্রত্যন্তে লক্ষ্ণৌর ভুলভুলাইয়া
ঘুরে ঘুরে, ডেকে ডেকে জন্মনাম
যমুনা চরের শণঘরে
অলস দুপুরে
বৃষ্টি নয় নদী নামা
নখের আঁকশিতে নামিয়ে আনা
স্যাফ্রন স্নায়ুফুল
জলজবাতাস
তবু
এ কেমন নৈঃসঙ্গ্যের হাওয়া?
থিতানোবিষাদ,
তবু
বারবার মুখ ফিরে চাওয়া !
আজ আষাঢ় যুবতী যত
খুলে দিয়েছে নাগরিক বিউটিপার্লার
চন্দন চর্চিত মুখ ধুয়ে গেছে।
হৃষিতার মুখজুড়ে পড়িয়েছে মাদকমিশ্রণ
কোন বৃষ্টিবনের সুগন্ধী মেখে
সমগ্র শরীরে জাগিয়েছে
আসক্তের সুরার বুদ্বুদ
আর কত সুরাসক্ত বশীভূত পৌত্তলিক চাও তুমি?
থৈথৈ অতলান্তে আর কত মুক্তা-ডুবুরির ডুব?
অ্যাকুরিয়াম জীবন যাপন
বেঁচে বর্তে থাকার উপায় বুকে নিয়ে
প্রতিক্ষণ - প্রতিটি ক্ষণের সাথে
আপোষের শঙ্খজড়াজড়ি
ক্ষিপ্রগামী বিস্মরণের তীর
নিয়ে গেছে সাথে করে
দূরতর রেশমের রঙ
জ্যোতির্ময় আঁধার বরণ
তুরীয় সমর্পণ
আমাদের বৃষ্টিবন তবু
দিল-দাগা ঠোঁটের কিনারে তিলের মত
ভুলে যাওয়া গুণিন সুবাতাস রেখে গেছে
শুনতে পাও?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।