সূত্রঃ বিডিস্পোর্টসনিউজডটকম
দক্ষিণ কোরিয়া’কে একেবারে উড়িয়েই দিল ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। গঞ্জালো হিগুয়েইনের করা এই বিশ্বকাপের প্রথম হেট্রিকে দক্ষিণ কোরিয়া’কে হারিয়েছে তারা ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। গোল না পেলেও অসাধারণ খেলেছেন মেসি। দুটো গোলতো একেবারে তার নিজের তৈরি করা, অবদান রেখেছেন আরেকটা গোল করার ক্ষেত্রেও।
আর্জেন্টিনা সেই দলগুলোর একটা যারা সব বিশ্বকাপেরই ফেভারিট।
কিন্তু ম্যারাডোনার নৈপুণ্যে সেই ৮৬ বিশ্বকাপ নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ জয়ের পর কাপটা থেকে গেছে তাদের ধরাছোয়ার বাইরেই। মাঝখানে বেশ কয়েক বিশ্বকাপে সম্ভাবনা জাগিয়েও ছিটকে পরেছে তারা। এবারের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বেও খারাপ সময় পার করেছে তারা। ম্যারাডোনাকে পরতে হয়েছে তোপের মুখে। চিরকালীন ফেভারিটের তকমা ছাড়া বলতে গেলে আর তেমন কিছুই নিয়ে আসতে পারেনি তারা এই বিশ্বকাপে।
প্রথম ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেলেও ছিলোনা বিশ্বচাম্পিয়ন হওয়ার মতো নৈপুণ্যে। কিন্তু প্রতিভাবান আর তারকা খেলোয়াড় ভরা এই আর্জেন্টাইন দলটার খেলোয়ার’রা আজ যেভাবে জ্বলে উঠলেন তাতে আর্জেন্টিনা যে এবার বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার সেই খবরটা ভালোমতোই পৌঁছে গেছে এবারের অন্যান্য ফেভারিটদের কাছে। পুরো মাঠ দাপিয়ে বেরিয়েছেন তেভেজ। মেসির পায়ে বল মানেই কোরিয়ার রক্ষনভাগ ফুঁড়ে এগিয়ে যাওয়া, আর এগুয়েরা নেমেই মেসির সাথে যুগপৎ যে আক্রমণ গড়ে তুললেন তাতে শেষ ছোয়া দিয়েই না একটা গোল করলেন হিগুয়েন। ৯ নম্বর জার্সি পরা হিগুয়েইন একজন ভালো স্ট্রাইকারের মতো প্রতিবারই ছিলেন যায়গা মতো, গোলের সুযোগ’কে গোলে পরিণত করতে ভুল করেননি একবারও।
আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার যে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতমা তারক খ্যাতির দাবিদার তাতে সন্দেহ নেই। বড় ব্যাবধানে জয়, তাও জয়টা আরো বড় হতে পারতো। ভাগ্য সহায় হলে অন্তত আরো দুটো গোল হতে পারতো। বিশ্বকাপের অন্য দল গুলোকে এখন থেকে মাথা ঘামাতে হবে কিভাবে এই দুর্দান্ত আক্রমনভাগ’কে গোল বঞ্চিত করা যায়।
তবে আর্জেন্টিনার দুশ্চিন্তার কারনও কম নেই।
তাদের এই দলটার দুর্বল রক্ষনভাগ নিয়ে কথা উঠেছে আগেও। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মাত্র মিনিট আগে যে ১ গোল তারা হজম করেছে তাও তাদের রক্ষনভাগের খেলোয়াড়দের ভুলেই, কোরিয়ার লি চুং ইয়ং শুধু সুযোটা বুদ্ধিমানের মতো কাজে লাগিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছুক্ষণ উজ্জীবিত খেলা খেলে কোরিয়ান’রা। এসময়টায় আর্জেন্টাইন রক্ষনভাগকে যথেষ্ট দুর্বল মনে হয়েছে। ব্রাজিল, জার্মানি, পর্তুগালের মতো দলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার এই রক্ষনভাগ কতটা দৃঢ়তার পরিচয় দেয় সেটা এখন দেখার বিষয়।
তবে এই দুর্বলতা কাটাতে পারলে আর্জেন্টিনাকে হারানো এবারের বিশ্বকাপের যেকোন দলের জন্যই কঠিন হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।