রোববার দিল্লিতে মনমোহন সিংয়ের দেয়া ভোজসভায় সিপিআই (এম) নেতা সিতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে রবীন্দ্রসাহিত্য নিয়েও কথা বলেন ভারত সফররত চীনা প্রধানমন্ত্রী লি।
তিনি বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়া এই বাঙালি সাহিত্যিকের বহু লেখা চীনা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। নিজের মাতৃভাষায় রবীন্দ্রনাথ পড়ে তিনি অভিভূত হয়েছেন।
“তার বিশ্ববিক্ষা বিস্ময়কর। ঠাকুর যেভাবে তার সমসাময়িক চীনা সাহিত্যিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, তাও আমাকে অবাক করে।
”
ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, তার ছেলে রাহুল গান্ধী এবং পার্লামেন্টের বিরোধী দল বিজেপির নেতা সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলিসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা চীনা প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দেয়া এই রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় অংশ নেন।
গবেষক চিত্রলেখা বসু জানান, রবীন্দ্রনাথের লেখা মোটামুটি গত একশ বছর ধরেই চীনা ভাষায় অনূদিত হয়ে আসছে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম চেন ডুশিউ ১৯১৫ সালে গীতাঞ্জলি থেকে চারটি কবিতা অনুবাদ করেন, যা চীনের একটি খ্যাতনামা সাময়িকিতে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ নোবেল পান এর দুই বছর আগে।
এরপর চীনে রবীন্দ্র সাহিত্য অনুবাদের প্রবণতা দিন দিন বাড়তে থাকে।
১৯২৪ সালে চীনে যান রবি ঠাকুর; সেখানে তিনি থাকেন ৪৯ দিন।
এতোদিন রবীন্দ্রনাথের নিজের করা ইংরেজি অনুবাদ থেকে তার লেখাগুলো চীনা ভাষায় অনূদিত হয়ে এলেও বেইজিং ফরেইন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডং ইয়োশেন ও তার দল গত দুই বছর ধরে সরাসরি বাংলা থেকে ‘রবীন্দ্র সমগ্র’ অনুবাদের কাজ চালিয়ে আসছেন।
এর প্রথম পাঁচটি খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে ২০১১ সালে, কবির স্বার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে। আর ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে পুরো ২৪ খণ্ডে রীবন্দ্র সমগ্র চীনা ভাষার পাঠকের হাতে তুলে দেয়ার আশা করছে রেনমিন পাবলিশিং হাউজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।