যত সব উল্টা পাল্টা চিন্তা, ভাবনা, ধ্যান ধারনা
বাইরে কাজ শেষে অফিসে আসার পথে দুই বুড়া-বুড়ি ধরল, বাবা কিছু খাওন দেন, চাওয়াটা এমনই ছিল, না করা একেবারেই অসম্ভব ছিল
যাইই হোক বললাম চলেন পাউরুটি-কলা কিনে দেই(আমি সব সময় টাকা না দিয়ে খাওয়া কিনে দেই) বলল পাউরুটি-কলা খাইতে পারিনা সমস্যা হয়
তাহলে কি খাবেন (বলেই ফেসে গেলাম)
যা বলল শুনে আক্কেলগুড়ুম, বলে কি ফকরুদ্দিনের বিরানি খামু বোরহানি সহ
ওনাদের চাওয়া, বলার ঢং, মুখের অভিব্যাক্তি এমনই যে একজন ভিক্ষুকও ভিক্ষা দিয়ে দিবে আর আমিতো কে
যাইই হোক ফকরুদ্দিন থেকে দুইটা কাচ্চি বিরানি ও এক বোতোল বোরহানি কিনে এনে ওনাদের হাতে দিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করলাম
মনে মনে বললাম যাক সকাল সকাল একটা সওয়াবের কাম করলাম।
যাইই হোক লান্চের সময় সব কলিগরা বসে লান্চ করছি, এমন সময় এক কলিগ বলল আজকে এক মজার কাহিনি ঘটছে, অফিসের সামনে দেখি দুই বুড়া-বুড়ি খাওয়া চাইতেছে, অন্য কিছু খাবে না ফকরুদ্দিনের বিরানি খাবে তাও আবার বোরহানি সহ এবং ওনাদের চাওয়ার ধরন এমনই না করার কোন উপায় নাই তাই তাদেরকে বিরানি ও বোরহানি কিনে দিলাম।
পাশ থেকে এক কলিগ বলে উঠল বলেন কি আমিওতো নিচের দুই বুড়া-বুড়িকে বিরানি ও বোরহানি কিনে দিলাম
আমি চুপ থাকলাম, চিন্তা করলাম খাক না একদিন ওনারা পরিবারের সবাই মিলে বিরানি ও বোরহানি
আবার এও চিন্তা করলাম পরবর্তিতে আবারও এরকম যদি কেও খাইতে চায় যারা আসলেই ক্ষুধার্ত, আমি কি তাদের খাবার কিনে দিব, বা আমার কলিগরা খাবার কিনে দিতে আগ্রহ বোধ করবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।