যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
অনেক পাতি সন্ত্রাসীর ক্রসফায়ারে জীবন গেছে - ভবিষ্যতে আরো যাবে। একসময়ে ক্রসফায়ার মানে আইনের ফাঁক থেকে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের রক্ষা পাওয়ার প্রতিরোধ হিসাবে বিবেচিত হতো। বিশেষ করে হিন্দি সিনেমার সুবাদে একজন সৎ পুলিশের ক্রসফায়ারের মাধ্যমে গুন্ডাপান্ডা নিধনের একটা হিরোইজম জনপ্রিয় হয়েছিল বলা যায় এ-উপমহাদেশে।
সেজন্য র্যাবের ক্রসফায়ারে যখন সন্ত্রাসী মরে, আমাদের আনন্দ হয়। আমরা কল্পনা করি অসীম ক্ষমতার অধিকারী বিত্তবান মাফিয়াকে মারার জন্য প্রচলিত আইন উপযুক্ত নয় - তার জন্য আবির্ভূত হতে হবে কোন ক্যারিশম্যাটিক হিরোর।
র্যাব হয়তো কারো কারো তেমন চাওয়ারই এক স্বপ্নিল বাস্তবতা।
তবে এপর্যন্ত যত ক্রসফায়ারে পড়েছে তাদের মধ্যে মাফিয়াটাইপের কতটা আছে বলা মুশকিল। আর র্যাবও সৎ নাগরিকের মত নিজের হাতে আদালত তুলে নেয়ার ভূমিকাতেও বা কতটুকু আছে প্রশ্ন সাপেক্ষ। এসব আমার বোঝার বিষয় নয়, জানার কথাও নয়। আমি কেবল সিনেম্যাটিক ভাবতে চাই।
শাহআলমের মত অসীম ক্ষমতার অধিকারী ভূমিদস্যুদের বিচার করার ক্ষমতা কি আদৌ আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থার আছে? আইনের হাত থেকে বেচে যেতে পারে ভেবে র্যাব কি পারবে শাহআলমকে ক্রসফায়ারে মারতে?
যদি নাই পারে তবে শাহআলমের চেয়ে কম অন্যায় করে যারা ক্রসফায়ারে মরেছে তাদের আবার জীবিত করা ছাড়া র্যাবের কোন ক্ষমা নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।